প্রেমের সম্পর্কে আলোচনায় ছিল পাপি লাভ, ডিলিউশনশিপ, সিচুয়েশনশিপ, সফট লঞ্চিং, ব্রেডক্র্যাম্বিংয়ের মতো শব্দগুলো

আরও একটি বছর বিদায় নিচ্ছে আজ। আমাদের জীবনযাপনে এই একটি বছর ছিল ঘটনাবহুল। ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে পরিবার, দাম্পত্য জীবন, কর্মক্ষেত্র, স্বাস্থ্য, খাদ্যাভ্যাসের মতো নানা বিষয়ে কোন জিনিসগুলো ট্রেন্ডে ছিল। এখানে রইল সম্পর্কের নানা আলোচিত বিষয়গুলো।

তরুণ নেটিজেনদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে অরেঞ্জ পিল থিওরিমডেল: রাজন ও তুর্জি। ছবি: কবির হোসেন

দাম্পত্য সম্পর্কে ঝগড়া, মান–অভিমান স্বাভাবিক। সেখানে অভিজ্ঞ মতামত এনে দিতে পারে সুফল, এ ধারণা থেকেই কাপল কাউন্সেলিংয়ের গুরুত্ব বেড়েছে। দাম্পত্য সম্পর্ক মজবুত করতে অনেকেই ছুটেছেন বেড়াতে। টিকটিকের দরুন দাম্পত্য সম্পর্কে আরেকটি বিষয়ও কিছুদিন চর্চায় ছিল—সেটা অরেঞ্জ পিল থিওরি। নিজেদের বন্ডিং দেখাতে অনেকেই সঙ্গীর সঙ্গে কমলার খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে ভিডিও বানিয়েছেন।

প্রেমের সম্পর্কে ঘুরেফিরে আলোচিত হয়েছে পাপি লাভ, ডিলিউশনশিপ, সিচুয়েশনশিপ, সফট লঞ্চিং, ব্রেডক্র্যাম্বিংয়ের মতো শব্দ। এর মধ্যে সিচুয়েশনশিপ দুই বছর ধরেই ট্রেন্ডে ছিল, এবার সেটার পাশাপাশি শোনা গেছে ডিলিউশনশিপ (কল্পনায় প্রেম–ভালোবাসা)। এটা এমন এক ধারণা, যেখানে প্রেমিক–প্রেমিকারা বাস্তবে যার অস্তিত্বই নেই, মনে মনে তাকে ভালোবাসেন।

আরও পড়ুন
সামাজিক মাধ্যমে এভাবে ছবি দিয়ে প্রেমিক বা প্রেমিকাকে ‘সফট লঞ্চ’ করানোর ট্রেন্ড এখন
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে নিজের প্রেমিক বা প্রেমিকার ছবি একবারে প্রকাশ না করে, শুধু তার একটি অংশের ছবি প্রকাশ করার ট্রেন্ডই হলো সফট লঞ্চিং। হয়তো দুজনে একসঙ্গে আছেন সেই ছবি আপলোড করলেন প্রেমিকা, কিন্তু প্রেমিকের চেহারা না দেখিয়ে তাঁর হাত বা পায়ের একটি অংশ দেখালেন। সবাই বুঝল আপনি প্রেম করছেন, কিন্তু মানুষটাকে সরাসরি চিহ্নিত করতে পারল না।

আর ব্রেডক্র্যাম্বিং হলো এমন ধারণা, যেখানে অন্য পক্ষকে আপনি ঝুলিয়ে রাখবেন। মানে আপনি আগ্রহী, এমন আশা জিইয়ে রেখে মাঝেমধ্যে মেসেজ দিলেন, কিন্তু নিশ্চয়তা দিলেন না।

এ তো গেল প্রেম আর দাম্পত্য সম্পর্কের বিষয়। এবার একটি অন্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা যাক। সেটা গুরু–শিষ্য সম্পর্ক, মানে ছাত্র আর শিক্ষকের মধ্যকার সম্পর্ক। বছরজুড়ে নানাভাবে এ সম্পর্কটি আলোচিত হয়েছে। শ্রদ্ধা–স্নেহের চিরায়ত এ সম্পর্কটিতে নানা কারণেই গত বছর চিড় ধরেছে। এ বছরও অনেক ছাত্রকেই শিক্ষকের ওপর চড়াও হতে দেখা গেছে, অপমান–অপদস্থ করা ছাড়াও শারীরিকভাবে তাঁদের আঘাত করার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

আরও পড়ুন