এবারের মিস ইউনিভার্সে কী হয়েছিল মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশের সঙ্গে?

প্রতিবছরই মিস ইউনিভার্স আলোচনায় থাকে সুন্দরীদের নানা গল্প দিয়ে। তবে এবারের মিস ইউনিভার্স আলোচনায় আছে তাদের নিজেদের কর্মকাণ্ড নিয়ে। প্রতিযোগীকে অপমান করা, দুয়োধ্বনি শোনানো থেকে শুরু করে প্রতিযোগীদের অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে এবার। আর সেসব ঘটনা দিয়েই আলোচনায় এসেছেন মেক্সিকো থেকে আসা মিস ইউনিভার্সের প্রতিযোগী ফাতিমা বশ। কেন তিনি আলোচনায়?

১ / ১৩
২৫ বছর বয়সী মডেল ফাতিমা বশের জন্ম মেক্সিকোর তাবাস্কো রাজ্যে। তাবাস্কো রাজ্য থেকে প্রথম মিস ইউনিভার্স মেক্সিকো হয়েছেন ফাতিমা
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
২ / ১৩
ছোটবেলা থেকেই ডিসলেক্সিয়া (পড়া ও লেখায় অসুবিধা, উচ্চারণে সমস্যা ইত্যাদি) ও এডিএইচডিতে ভুগেছেন ফাতিমা। তাই স্কুল-কলেজে বুলিংয়ের শিকারও হয়েছেন। তবে পরবর্তী সময়ে এই অক্ষমতাকেই নিজের শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
৩ / ১৩
ফাতিমা ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়াশোনা শেষ করেছেন মেক্সিকোর ইবেরোআমেরিকানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি দেন ইতালি, তারপর যুক্তরাষ্ট্রে। মিলানের বিখ্যাত নুয়েভো বেল আর্ট একাডেমি ও ভেমন্তের বিখ্যাত লিনডন ইনস্টিটিটিউটেও কিছুদিন পড়াশোনা করেছেন
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
৪ / ১৩
সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে, তাবাস্কোর ‘ফ্লোর দ্য অরো’ জেতার মাধ্যমে। ২০২৫ সালে এসে সেই ফাতিমা জিতে নিলেন মিস ইউনিভার্স মেক্সিকো খেতাব
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
৫ / ১৩
তবে তাঁর মিস ইউনিভার্স মেক্সিকো জেতা নিয়ে উঠেছিল বেশ কিছু প্রশ্ন। মাথায় মুকুট পরিয়ে দেওয়ার সময় দর্শকসারি থেকে দুয়োধ্বনি শোনা গেছে। এমনকি তাঁকে অভিনন্দন জানাতে আসেননি বেশ কয়েকজন প্রতিযোগী
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
৬ / ১৩
যদিও ফাতিমা তা সামাল দিয়েছেন দক্ষতার সঙ্গে। ফাতিমার কথা, ‘জীবনের এই পর্যায়ে এসে অন্যের ভাবনাচিন্তা, কাজের ওপর ভিত্তি করে মন খারাপ করার কিছু নেই। এতে নিজেরই ক্ষতি। বরং আমাকে কে কে অভিনন্দন জানিয়েছেন, তা নিয়েই খুশি থাকতে চাই।’
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
৭ / ১৩
মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে এসেও আলোচনা তাঁর পিছু ছাড়েনি। মূল প্রতিযোগিতায় এসেও অপমানের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। থাইল্যান্ডে মূল পর্ব শুরুর আগে সবাইকে নিয়ে প্রি-প্যাজেন্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
৮ / ১৩
নিয়ম অনুযায়ী যে দেশে মিস ইউনিভার্স অনুষ্ঠিত হয়, সেই দেশের একটি প্রমোশনাল ভিডিও করতে হয় প্রতিযোগীদের। আনুষ্ঠানিক ফটোশুটের বাইরেও কিছু ছবি তোলা হয়। কিন্তু মিস ইউনিভার্স মেক্সিকো তা সময়মতো সামাজিক মাধ্যমে দিতে পারেননি। যে কারণে মিস ইউনিভার্স থাইল্যান্ডের পরিচালক নাওয়াত ইতসারাগ্রিসিল তাঁকে সবার সামনে ‘ডাম্ব’ (বোকা) বলেন
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
৯ / ১৩
সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জবাব দেন মিস মেক্সিকো ফাতিম বশ। সরাসরি বলেন, ‘আপনি আমাকে একজন নারী হিসেবে যথাযথ সম্মান দিচ্ছেন না।’ এরপরও নিরাপত্তা বাহিনীকে ডেকে তাঁকে শাসানোর চেষ্টা করেন সঞ্চালক। কিন্তু ততক্ষণে মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর পক্ষ নিয়ে নেন বাকি প্রতিযোগীরা। একযোগে আসন থেকে উঠে হল ত্যাগ করেন সবাই। মিস ইউনিভার্সের সেই ইভেন্ট সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছিল ফেসবুকে। সেখানে সবাই সরাসরি দেখতে পায় ঘটনাটি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
১০ / ১৩
ঘটনার পর মিস ইউনিভার্স মেক্সিকো এক সাক্ষাৎকারে জানান, একুশ শতকে এসে একজন নারী কখনোই হাতের পুতুল হয়ে থাকতে পারে না। যা ইচ্ছা তা–ই বলতে পারেন না কিংবা সাজাতে পারেন না। আমি এখানে এসেছি সব নারীর প্রতিনিধিত্ব করতে। আমাকে অসম্মান করা মানে পুরো নারী জাতিকে অসম্মান করা।’
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
১১ / ১৩
ঘটনার পর তিনটি ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে ক্ষমা চেয়েছেন সঞ্চালক। কিন্তু তাতে মন গলেনি মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষের। এ বছরই পরিচালকের দায়িত্ব পাওয়া নাওয়াতকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
১২ / ১৩
এই ঘটনার পর হু হু করে জনপ্রিয়তা বাড়ছে মিস ইউনিভার্স মেক্সিকো ফাতিমা বশের। এমনকি তাঁর সঙ্গে অনুষ্ঠান বর্জন করায় প্রশংসা কুড়াচ্ছেন বাকি প্রতিযোগীরাও
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
১৩ / ১৩
বর্তমান ইনস্টাগ্রামে মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর ফলোয়ার লাখ দশেক, টিকটকে ফলোয়ার ৭ লাখ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
আরও পড়ুন