হাঁপিয়ে উঠছেন? তাহলে এই ৫টি বিষয় মেনে চলুন

দৈনন্দিন দায়িত্ব-কর্তব্যের ভিড়ে নিজের জন্য সময় বের করা বেশ কঠিন। একটা সময়ে গিয়ে মনে হয়, আর পারছি না, হাঁপিয়ে উঠছি। অথচ প্রতিনিয়ত মনে হয়, নিজের জন্য কিছু সময় দরকার, যাতে মিলবে একটু স্বস্তি। নিজের জন্য সময় বের করতে না পারলে উদ্বিগ্ন হবেন না, এ ক্ষেত্রে দরকার কিছু উপায় খুঁজে বের করা। জেনে নিন তারই খোঁজ...

নিজের চাহিদা প্রকাশ করুন

প্রতিদিন থেকে একটু হলেও সময় নিজের জন্য রাখুন
ছবি : প্রথম আলো

নিজের চাহিদা প্রকাশ করা যে চমৎকার একটা ব্যাপার হতে পারে, সেটা অনেকেই কল্পনা করতে পারি না। সবার পক্ষে এটা করা কঠিন বটে, তারপরও মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য নিজের চাহিদা প্রকাশ করা অন্যতম উপায়। আপনার আশপাশের সবাই হয়তো জানেন, নিজের জন্য আপনার আরেকটু বেশি সময় দরকার, সে ক্ষেত্রে আপনি যদি তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন, দেখবেন, এটা আপনার জন্য কী দারুণভাবে কাজে দিচ্ছে।

দুপুরে একা একা খান

মাঝেমধ্যে একা খেতে চেষ্টা করুন, তবে সেটা রোজ নয়
ছবি : প্রথম আলো

অফিসে সবাই একসঙ্গে খাওয়ার চেয়ে নিজে নিরিবিলি কোথাও বসে লাঞ্চ সেরে ফেলুন। এতে নিজের জন্য কিছুটা বাড়তি সময় আপনি পাবেন। হ্যাঁ, এতে কেউ কেউ আপনাকে অসামাজিক হিসেবে বিবেচনা করতেই পারে। তাই রোজ নয়, মাঝেমধ্যে চেষ্টা করুন একা খেতে।

আরও পড়ুন

স্ক্রিনমুক্ত সময় কাটান

হাঁটতে যান, দুশ্চিন্তা বিদায় হবে,মন থাকবে সতেজ
ছবি : প্রথম আলো

আমরা বেশির ভাগই অবসর কাটাই টিভি কিংবা মুঠোফোনে। অবসরের এই সময়ে নিজেকে স্ক্রিনের বাইরে রাখুন। তখন বরং আপনি পার্কে হাঁটতে যান, বই পড়ুন, গাছের যত্ন নিন, ধ্যান করুন কিংবা আঁকাআঁকি করুন। দেখবেন, মনটা সতেজ হয়ে গেছে, দুশ্চিন্তা নিয়েছে বিদায়।

ছোট ছোট বিরতি নিন

শেষ না হওয়া বইয়ের কিছু অংশ পড়ুন, নিজেকে বেশ ঝরঝরে লাগবে
ছবি : প্রথম আলো

কাজ করতে করতে নিজের ভেতরে একধরনের অস্বস্তি টের পাচ্ছেন হয়তো। ছোট ছোট করে কিছু সময় পরপর বিরতি নিন। নিজের মতো করে কাটান সময়টা। যেমন পাজল মেলাতে পারেন, বন্ধুকে ফোন করতে পারেন কিংবা শেষ না হওয়া বইয়ের কিছু অংশ পড়তে পারেন। ফলে কাজে ফিরে নিজেকে বেশ ঝরঝরে লাগবে।

‘না’ বলতে শিখুন

মন ফুরফুরে রাখতে সুন্দর করে ‘না’ বলতে শিখুন
ছবি: প্রথম আলো

কোনো কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আপনি হয়তো ‘হ্যাঁ’ বলে দিচ্ছেন, কিন্তু এটা আপনার জন্য কখনো কখনো বিশাল চাপ হয়ে উঠবে। তাই কী হবে, তা না ভেবে সুন্দর করে কীভাবে ‘না’ বলা যায়, সেটা আয়ত্ত করুন। দেখবেন, আপনি বাড়তি কিছু দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাবেন, সেই সঙ্গে নিজের জন্যও মিলবে বাড়তি কিছু সময়।

সূত্র: হার বিউটি

আরও পড়ুন