এর মাঝে কোনো হোটেল গুগলে পাওয়া যায়নি। তাহলে আমরা চেষ্টা করতে পারতাম। একটা উপায় আছে। পেছনে যে বাসস্টপে হোটেল দেখেছিলাম, তাতে যাওয়া। কিন্তু এই পুরো রাস্তাটা ওঠা। ইচ্ছে করল না। যাওয়া যে যেত না, তা কিন্তু নয়। ঢালের কথা ভেবে মন সায় দিল না।
এই রেস্টুরেন্টে একটা রুম ফাঁকা আছে। আমরা থাকতে চাইলে থাকতে পারি। এটা ভাড়ার জন্য তৈরি নয়। অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। থাকার ব্যবস্থা বলতে একটা চৌকি আছে। বেশি হলে দুজন থাকা যাবে। তোশক আছে কিন্তু গায়ে দেওয়ার কিছু নেই। মশারির কথা বললাম। না, তা-ও নেই। দুজন চৌকিতে থাকতে পারলেও মেঝেতে থাকা কঠিন হবে। তার ওপর মশা। খারাপ রুমে থাকার বিস্তর অভিজ্ঞতা থাকলেও এমন রুমে থাকা হয়নি। একটাই দরজা। কোনো জানালা নেই। সিমেন্টের দেয়াল। একেবারে বদ্ধ আর স্যাঁতসেঁতে। এই রুমের ভাড়া চাইল ৬০ ডলার! আকাশ থেকে পড়লাম। আমরা ভেবেছিলাম পরিস্থিতি বিবেচনায় ভাড়া হয়তো নেবেই না বা নিলেও কম। যেহেতু খেতে হবে এখানেই, তাই থাকার জন্য কম টাকা চাইতেই পারত। কিন্তু একদমই নয়। কমাবে না। (চলবে)