সফলতার আনন্দ নিয়েই দেশে ফিরছেন ইকরামুল হাসান

৯ জুলাই ‘গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল’ অভিযান সম্পন্ন করেন ইকরামুল হাসান
ছবি: সংগৃহীত

‘গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল’ সম্পন্ন করতে গিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন বাংলাদেশি তরুণ পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান। প্রথম আলো অনলাইনে এ খবর জেনে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ।

হিমালয় পর্বতমালার মধ্য দিয়ে নেপালের পূর্ব থেকে পশ্চিমে চলে যাওয়া পথটি ‘গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল’ নামে পরিচিত। ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুর্গম এই পথ হেঁটে পাড়ি দেওয়ার কঠিন অভিযানে নেমেছিলেন ইকরামুল হাসান। ৯ জুলাই কাঞ্চনজঙ্ঘা উত্তর বেজক্যাম্প পাংপেমাতে পৌঁছানোর মাধ্যমে অভিযানের ইতি টানেন তিনি। বর্তমানে নেপালের কাঠমান্ডুতে অবস্থান করছেন। অভিযান সম্পন্ন করলেও আর্থিক জটিলতায় দেশে ফিরতে পারছিলেন না।

গতকাল শনিবার প্রথম আলো অনলাইনে ‘“গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল” সম্পন্ন করে ইকরামুল হাসান কেন দেশে ফিরতে পারছেন না?’ শিরোনামে ইকরামুল হাসানের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। সেই সাক্ষাৎকারে ইকরামুল জানান, অভিযানে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান তাঁর পাশে দাঁড়ালেও এখনো সম্পূর্ণ অর্থ জোগাড় হয়নি। গাইড ও পোর্টারের বিল বাবদ নেপালের বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন। সেগুলো পরিশোধ করে তবেই দেশে ফিরতে পারবেন। দেশবাসীর কাছে সহযোগিতা চেয়ে ইকরামুল বলেছিলেন, ‘আপনারা পাশে দাঁড়ালেই খুব শিগগির সফলতার আনন্দ নিয়ে দেশে ফিরতে পারব।’

আরও পড়ুন
তানভীর এ মিশুকের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেন মিল্টন তালুকদার (বাঁয়ে)
ছবি: সংগৃহীত

প্রথম আলোর খবরটি নগদ কর্তৃপক্ষের নজরে এলে ইকরামুল হাসানের শুভাকাঙ্ক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেয় তারা। আজ দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক প্রয়োজনীয় দুই লাখ টাকা তুলে দেন। অর্থ গ্রহণ করেন ইকরামুলের বন্ধু মিল্টন তালুকদার।

তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘প্রথম আলোর সংবাদে জানতে পারি, আর্থিক সংকটের কারণে ইকরামুল হাসানের দেশে ফেরা বিলম্ব হচ্ছে। গ্রেট হিমালয়া ট্রেইলের মতো অভিযান সম্পন্ন করে যে তরুণ দেশের মুখ উজ্জ্বল করল, তার অর্থকষ্টের কথা জেনে খুব মন খারাপ হলো। নগদের পক্ষ থেকে তখনই পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিই।’

নেপাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ইকরামুল হাসান বলেন, ‘ঋণের অর্থ পরিশোধ করা নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নেপালি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সময়মতো অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তাম। এর সঙ্গে শুধু তো আমার নয়, দেশের ভাবমূর্তিও জড়িয়ে আছে। নগদ আমাকে চিন্তামুক্ত করল।’