মরক্কোর ভ্রমণ ভিসার আবেদন করতে কী কী লাগে

মরক্কো ভ্রমণে গেলে অনেকে সাহারা মরুভূমিতেও ঘুরতে যান
ছবি: লেখকের সৌজন্যে

পশ্চিমাদের কাছে জনপ্রিয় এক ভ্রমণ গন্তব্য উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো। মনে করা হয়, খ্রিষ্টপূর্ব আট হাজার বছর আগেও এখানে মানুষের বসবাস ছিল। যুগে যুগে বহু জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মানুষ বসতি গড়েছে এই ভূখণ্ডে। তাই দেশটিতে পাওয়া যায় মিশ্র সংস্কৃতির স্বাদ। এই মিশ্র সংস্কৃতির জন্যই বিশ্বপর্যটকদের আগ্রহের জায়গা হয়ে উঠেছে মরক্কো।

১১ দিনের সফরে সম্প্রতি মরক্কো ঘুরে এসেছি। মরক্কোর ভিসা–সংক্রান্ত তথ্য জানতে গুগল করে জানতে পারি বাংলাদেশেও মরক্কোর দূতাবাস আছে। অনলাইন থেকে ফোন নম্বর নিয়ে দূতাবাসে কথা বলি। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পর্যটক ভিসার জন্য নতুন ফরম তৈরি করেছে দূতাবাস, আগে সেই ফরম আমাকে সংগ্রহ করতে হবে।

ঢাকার বারিধারায় মরক্কো দূতাবাসে গিয়ে দেখি দূতাবাস একদম ফাঁকা, লোকজনের তেমন একটা ভিড় নেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ফরম আর পর্যটক ভিসার আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজের একটি তালিকা আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন। তালিকা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় ও সঠিক কাগজ জমা দেওয়ার ২১ কার্যদিবস পরই মরক্কোর ভিসা পেয়ে যাই।

আরও পড়ুন

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা

১. কভার লেটার। একটি আবেদনপত্র লিখতে হবে, সেখানে আপনার নাম, পেশা, পাসপোর্ট নম্বর, ভ্রমণের উদ্দেশ্য, মরক্কোর যে শহরগুলো ভ্রমণ করতে চান তার তালিকা ও উড়োজাহাজের টিকিটের তথ্য (যাওয়া-আসার) থাকতে হবে।

২. সদ্য তোলা দুই কপি রঙিন ছবি। ছবির সাইজ ৪/৩ সেন্টিমিটার, ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা।

৩. জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।

৪. পাসপোর্ট (মেয়াদ থাকতে হবে অত্যন্ত ৯০ দিন)।

৫. পাসপোর্টের ফটোকপি (যে দুই পাতায় আপনার সম্পর্কে তথ্য আছে)।

৬. যাওয়া ও আসার এয়ার টিকিটের কপি।

৭. হোটেল বুকিংয়ের কপি (বুকিং ডটকম থেকে খুব সহজেই তা করা যায়)।

৮. তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

৯. জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি।

সব কাগজপত্র গুছিয়ে দূতাবাসে জমা দিতে হবে। সেখানকার কর্মকর্তারা আপনার কাগজগুলো যাচাই করে দেখে নেবেন। তারপর ৪ হাজার ২০০ টাকা ভিসা ফি জমা দিতে হবে (আমি গত ফেব্রুয়ারিতে জমা দিয়েছিলাম। সেই সময় এই ফি দিয়েছি। ডলারের বিনিময় হারের সঙ্গে ভিসা ফি ওঠানামা করে)।