জয়ের আগেই জয়ের সুবাস পেয়েছিল ‘পরিধি’

পরিধির দলের সদস্যরা পড়ছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েছবি: সংগৃহীত

ভিভাসফট এআই হ্যাকাথন মূলত জাতীয় পর্যায়ের একটি প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণকারীকে এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কোনো সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান বের করতে হয়। সম্প্রতি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শিক্ষার্থীদের দল ‘পরিধি’। পরিধির পরিধিটা বেশ বড়ই বলতে হয়। নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সদ্য স্নাতকেরা আছেন দলে। সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগের তাহ্নিক আহ্‌মেদ (দলনেতা), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিকস ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আবদুর রহমান, একই বিভাগের সদ্য স্নাতক রায়হান ইসলাম ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের স্নাতক আবদুল্লাহ আল আসিফ।

২৫ ও ২৬ জানুয়ারি প্রতিযোগিতার মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার বনানীতে। এর আগে দুই মাস ধরে চলে আইডিয়া ও প্রকল্প জমা দেওয়ার কাজ। অংশ নেয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান থেকে আসা ৩৭৮টি দল। সব দলকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হয়েছে পরিধি। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে ক্রেস্ট, ট্রফি ও দুই লাখ টাকা।

আরও পড়ুন

পুরস্কার পেয়ে দারুণ খুশি রায়হান ইসলাম। বলছিলেন, ‘দুই মাসের পরিশ্রমের স্বীকৃতি পেলাম। বাস্তব জীবনে প্রয়োগের দিক থেকে আমাদের প্রকল্পটি যে বেশ কার্যকর, বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সেই বৈধতাও পেলাম।’

যেহেতু প্রতিযোগিতাটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে শুরু করে অনেক সফটওয়্যার প্রকৌশলী, মেশিন লার্নিং প্রকৌশলী ও এআই প্রকৌশলীরাও অংশ নেন। তাঁদের সবাইকে টপকে শিরোপা জয় করতে পেরেছেন বলে পরিধির সদস্যরা একটু বেশি খুশি। তাহ্নিক আহ্‌মেদ জানালেন, দলগত সমন্বয়ের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। বলছিলেন, ‘যেহেতু আমরা প্রফেশনালি এআই ইঞ্জিনিয়ারিং, ডেভঅপস, ব্যাকঅ্যান্ড ও ফ্রন্টঅ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইট রিলায়েবিলিটি নিয়ে কাজ করি; সেই অভিজ্ঞতা আমাদের সাহায্য করেছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রায় সময়ই কিছু না কিছু শেখার ওপর থাকতে হয়। এই শেখার অভ্যাস গড়ে তোলার পেছনে আমাদের মেন্টর সজল আহমেদ ভাইয়ের অবদান অনেক।’

পুরো প্রতিযোগিতায় পরিধি এতই প্রভাব বিস্তার করে যে ফল ঘোষণার আগেই অনেকে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন পুরস্কার কারা পাচ্ছে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিকস ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলছিলেন, ‘ফলাফল ঘোষণার সময় উপস্থাপক যখন সবাইকে জিজ্ঞেস করছিলেন, চ্যাম্পিয়ন কে হতে পারে? প্রায় সবাই আমাদের নাম বলেছিলেন। এটাও একটা দারুণ ব্যাপার।’