ছাপচিত্র নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আউটডোর ক্যাম্প

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপচিত্রের শিক্ষার্থীরা এক হয়েছিলেন এই আয়োজনে
ছবি: সাদ্দাম হোসেন

ছবি আঁকার যত প্রচলিত পদ্ধতি আছে, ছাপচিত্র তার মধ্যে অন্যতম। বলা হয়, অষ্টম শতাব্দীতে বৌদ্ধভিক্ষুরা বুদ্ধের বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তা কাঠের পাটায় খোদাই করে কাগজে ছেপে প্রথম ছাপছবির আবিষ্কার ও প্রচলন করেছিলেন। সেখান থেকেই শুরু। তারপর ছাপচিত্রে এসেছে নানা মাত্রা।

চলছে ছাপচিত্র তৈরির কাজ
ছবি: সাদ্দাম হোসেন

শিল্পের এই ধরনকে আরও ছড়িয়ে দিতেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপচিত্র বিভাগের প্রায় ৬০ শিক্ষার্থী। ২৬ থেকে ২৮ জানুয়ারি তাঁরা অংশ নিয়েছেন আউটডোর ক্যাম্পে। ছাপচিত্র মূলত একটি স্টুডিওভিত্তিক বা ইনডোর শিল্প হলেও ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিন ও মজুমদার’স প্রিন্ট ল্যান্ড নামের একটি বেসরকারি ছাপচিত্র স্টুডিও। খুলনা অঞ্চলের প্রাণপ্রকৃতিই ফুটে উঠবে ছাপচিত্রের মাধ্যমে।

২৬ থেকে ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে আউটডোর ক্যাম্প
ছবি: সাদ্দাম হোসেন

এ ধরনের ক্যাম্প আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী বা শিল্পীরা কীভাবে উপকৃত হবেন, জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলার সাবেক শিক্ষার্থী শাকিল মৃধা বলেন, ‘ছাপচিত্রের মতো স্টুডিওভিত্তিক ছবি আঁকার মাধ্যমকে প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে আসা এবং এমন একটি পরিবেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছাপচিত্রশিল্পী ও ছাত্রদের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে পারা একটা দারুণ সুযোগ। বিশেষ করে নবীন ছাত্র ও নবীন শিল্পীদের জন্য এমন আর্টক্যাম্প তাঁর ভবিষ্যৎ শিল্পীজীবনেও বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’

ছাপচিত্রে এসেছে নানা মাত্রা
ছবি: সাদ্দাম হোসেন

মজুমদার’স প্রিন্ট ল্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা মজুমদার শাকিল বলেন, ‘দেখবেন, দেশের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদ আছে, প্রায় সব জায়গায় ছাপচিত্র বিভাগ আছে। কিন্তু কেন যেন সাধারণ মানুষের মধ্যে এই নিয়ে ধারণা খুবই কম। আউটডোরে এই উদ্যোগের পেছনে অন্যতম কারণ—সাধারণ মানুষের কাছে শিল্পের এই মাধ্যমটাকে আরও ছড়িয়ে দেওয়া। ভবিষ্যতে আমরা আন্তর্জাতিক ছাপচিত্র উৎসব করতে চাই। এই ক্যাম্পকে সেটারই প্রস্তুতিপর্ব বলতে পারেন।’