ছোটদের ডাকে রাস্তায় নামে লাখো মানুষ

পরিবেশ রক্ষায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করছেন দেশ-বিদেশের অনেক কিশোর-তরুণ। পড়ুন এমন একজনের কথা।

ইসরা হিরসি
ছবি: পিন্টারেস্ট

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটাবাসী ইসরা হিরসির বয়স ১৮। জাতিগতভাবে তিনি একজন সোমালি আমেরিকান। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই ‘ইয়ুথ ক্লাইমেট স্ট্রাইক’ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। তখন তাঁদের লক্ষ্য ছিল—বছরে দুবার দেশব্যাপী পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন করা। ২০১৯ সালে তাঁদের প্রথম আন্দোলনে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যই নয়; পুয়ের্তো রিকো, কলম্বিয়াসহ এক হাজারটির বেশি জায়গায় পালিত হয় ধর্মঘট। ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারসহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে পথে নেমেছিলেন তাঁরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরিবেশবিষয়ক প্রতিবাদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে হিরসিদের এই আন্দোলন। শুধু নিউইয়র্কেই অংশ নেন প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী। প্রতিবাদের জোয়ারে যোগ দেয় বেন অ্যান্ড জেরিস আইসক্রিম, লাস কসমেটিকস, পাতাগোনিয়ার মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে এই দলটির ডাকে সাড়া দিয়ে আবারও রাস্তায় নামেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ।

এত বড় আন্দোলনের ফল? প্রতিবাদের চাপে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনীদের একজন, জেফ বেজোস, পরিবেশ রক্ষার্থে বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণের অঙ্গীকার করেন। সময়সীমার ১০ বছর আগেই জাতিসংঘের প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যগুলো পূরণের প্রতিজ্ঞাও করেন বেজোস।

এই অল্প বয়সেই ফরচুন ম্যাগাজিনের ‘সরকার এবং রাজনীতি’বিষয়ক ৪০ জনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন ইসরা হিরসি। পেয়েছেন ‘বাওয়ার ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘ভয়েস অব দ্য ফিউচার অ্যাওয়ার্ড’। ব্ল্যাক এন্টারটেইনমেন্ট নেটওয়ার্কের ‘ফিউচার ৪০’ তালিকায়ও তিনি আছেন। ২০২০ সালের একটি ইয়ুথ কংগ্রেসে ইসরা বলেন, ‘এই আন্দোলন একজন মানুষের নয়, একটি দলেরও নয়। এটা আমাদের সবার আন্দোলন। পরিবেশদূষণ পৃথিবীজুড়ে মানুষের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে। কিন্তু এর দায় আমাদের সবাইকে ভাগ করে নিতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে।’