পথের গানে সহযোগিতার সুর

কারও ডাকের অপেক্ষা তাঁরা করেননি। চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে হঠাৎ যখন বন্যা হানা দিল, তখন ক্যাম্পাসভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন বন্যার্তদের সেবায় এগিয়ে এসেছে নিজেদের মতো করে। নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে তহবিল গঠন করেছেন তাঁরা, সংগ্রহ করেছেন ত্রাণ। পড়ুন তেমনই একটি সংগঠনের উদ্যোগের কথা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গানের দল স্বরব্যাঞ্জো, ক্যাম্পাস বাউলিয়ানা ও অমরত্বের শিল্পী সদস্যরা পথে পথে গান গেয়ে তহবিল সংগ্রহ করছেন রাজশাহী শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
ছবি: সংগৃহীত

‘সুনামগঞ্জের জন্য গান’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে আছেন একজন। বাকিরা নানা বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছেন, লোকগানের সঙ্গে সুর মেলাচ্ছেন। গান শুনছেন কয়েকজন পথচারী। সামনে রাখা বাক্সে কেউ কেউ দিচ্ছেন অনুদান।

আরও পড়ুন

সিলেট বিভাগের বন্যার্ত মানুষকে সহযোগিতার জন্য গানকেই অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের গানের দল স্বরব্যাঞ্জো, ক্যাম্পাস বাউলিয়ানা ও অমরত্বের শিল্পী সদস্যরা পথে পথে গান গেয়ে তহবিল সংগ্রহ করছেন রাজশাহী শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। একই চিত্র পাওয়া গেছে উত্তরাঞ্চলের আরও দুই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান—বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

শুধু বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নয়, শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে গিয়ে গান পরিবেশনের ফলে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিতে পেরেছেন এই তহবিল সংগ্রহের কাজে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই বড় অঙ্কের তহবিল সংগ্রহ করতে পেরেছেন গানের দলের সদস্যরা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং স্বরব্যাঞ্জোর সদস্য তানভীর আল আজাদ বলছিলেন, ‘এ ধরনের উদ্যোগ স্বরব্যাঞ্জোর জন্য নতুন নয়। অনেক জাতীয় বিপর্যয়েই আমরা এ ধরনের কাজ করেছি। সুস্থ বিনোদন দিই বলেই আমরা ভালো সাড়া পাই। খেটে খাওয়া শ্রমিক থেকে শুরু করে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ, স্থানীয় মসজিদ কমিটি সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে। ফলে আমরা মাত্র দুই দিনে এক লাখ টাকার বেশি সংগ্রহ করতে পেরেছি। এই টাকার একটি অংশ আমরা সুনামগঞ্জে লাইটার ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। বাকি টাকা বিভিন্ন খাতে ভাগ করে কয়েকটি অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে।’