জনগণ চায় দেশ খুলে দেওয়া হোক: ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা আমাদের দেশ খুলে দিচ্ছি। জনগণ চায়, দেশ খুলে দেওয়া হোক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দেওয়া হবে।’ ১৩ মে কলোরাডো ও নর্থ ডাকোটার গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকের পর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার অর্থনীতি পুরোদমে চালু করতে উদ্‌গ্রীব হয়ে আছেন। এর বিরুদ্ধে কোনো কথাই তিনি শুনতে চাইছেন না। হোয়াইট হাউসের করোনা-সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি অ্যান্থনি ফাউসির বক্তব্যে তাই বিস্মিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লকডাউন উঠিয়ে দিলে করোনায় মৃত্যু আরও বাড়বে বলে ফাউসির বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘আমার জন্য এটি কোনো গ্রহণযোগ্য উত্তর হতে পারে না। বিশেষত স্কুল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে।’

অল্প বয়স্কদের মধ্যে বয়স্কদের মতো ভাইরাসের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত।’

করোনাভাইরাসের নাজুক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না নিয়েই আমেরিকায় সব খুলে দেওয়ার ব্যাপারে চরম সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন আমেরিকার মহামারিবিষয়ক শীর্ষ চিকিৎসক অ্যান্থনি ফাউসি। ১২ মে মার্কিন কংগ্রেসে এক গুরুত্বপূর্ণ শুনানিতে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করে তিনি বলেছিলেন, লকডাউন উঠিয়ে দেওয়ার পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নাজুক হয়ে উঠবে, মৃত্যু বাড়বে। এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়া সবকিছু না খোলার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

আসছে হেমন্ত মৌসুমে (ফল) মার্কিন শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সহজলভ্য হয়ে উঠবে বলে ফাউসি মনে করেন না। প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী এক বা দুই বছরের মধ্যে করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে।

উল্লেখ্য, আমেরিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৪ মে পর্যন্ত পর্যন্ত প্রায় ৮৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে বা বাড়ি ও সেবাকেন্দ্রে মারা যাওয়া অনেকের নামই এ তালিকায় আসেনি। করোনাভাইরাসে আমেরিকায় সংক্রমিত হয়েছেন এ পর্যন্ত ১৪ লাখের বেশি মানুষ।