সার্ধশত জন্মবার্ষিকীর শ্রদ্ধা
অন্য অবনীন্দ্রনাথ
চিত্রশিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল। চিত্রশিল্পে তাঁর ছিল বঙ্গীয় িনজস্বতা আর শিশুসাহিত্যে ছিল ছবির মতো গল্প বলে যাওয়ার ক্ষমতা। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা।
এই আগস্টের সাত তারিখে আধুনিক ভারতশিল্পের অন্যতম রূপকার শিল্পগুরু অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমরা মূলত জানি আধুনিক ভারতশিল্পে পুনরুজ্জীবনবাদী ধারার অন্যতম পুরোধা হিসেবে। এটুকু জানাই যে তাঁকে পুরোপুরি জানা নয় এবং অনেকাংশে সীমিত বা ভুলভাবে জানা সে ব্যাপারে আমরা অনেকেই হয়তো অবগত নই। এ উপস্থাপনে আমাদের প্রয়াস থাকবে, সেই সীমিত পরিচয়ের বাইরেও চিত্রকলায় ও ভাস্কর্যে তাঁর একেবারে ভিন্নধর্মী সৃজনশীলতা এবং লেখক হিসেবে বাংলা সাহিত্যে তাঁর একেবারে নিজস্ব ও অনন্য অবদানটিকে অনুধাবন। পাশাপািশ ভারতীয় দৃশ্যকলার সুপ্রাচীন শিল্পতত্ত্বের বিশ্লেষণে ও ভারতীয় লোককলার অন্তর্লোককে উদ্ঘাটনে তাঁর গুরত্বপূর্ণ ভূমিকাটিকে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করা।
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে নানাবিধ প্রতিভাসম্পন্ন নারী-পুরুষ কম ছিলেন না। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ নামের জ্যোতিষ্কটির দ্যুতিতে এ বাড়ির অন্য অনেক প্রতিভা যথাযথ মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেনি। রবীন্দ্রনাথ তাঁর নামকরণকে সার্থক প্রমাণ করে ভুবনব্যাপী আলোক ছড়িয়ে অন্য সবাইকে ম্লান করে দিয়েছেন। এর ভেতর থেকে মাথা তুলে নিজেকে স্পষ্টভাবে জানান দিতে পেরেছেন একজনই। তাঁর জ্ঞাতিভাই গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অবনীন্দ্রনাথরা তিন ভাই। জ্যেষ্ঠ গগনেন্দ্রনাথকেও হিসাবে তিন নম্বরে রাখতে হবে। তিন ভাই–ই চিত্রশিল্পী, মাঝের সমরেন্দ্রনাথও ছবি এঁকেছেন, তবে সেভাবে বিশিষ্ট হয়ে উঠতে পারেননি। দুই বোনও ছিলেন চিত্রশিল্পী, কনিষ্ঠ সুনয়নী দেবী আধুনিক ভারতে প্রথম উল্লেখযোগ্য মহিলা চিত্রকর হিসেবে স্বীকৃত।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের রূপকার নিশ্চয়ই রবীন্দ্রনাথ। অবনীন্দ্রনাথ পিছু পিছু হয়ে উঠলেন আধুনিক ভারতশিল্পের অন্যতম দিশারি। ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে যে নানাবিধ কর্মোদ্যোগ দানা বাঁধছিল, স্বদেশি আন্দোলনে তা আত্মপরিচয়ের সন্ধান ও তার সমকালীন প্রতিরূপ নির্মাণের প্রয়াসে এসে ঠেকল। বিদেশি তথা মূলত বিলেতি যা কিছু বর্জন আর সেসবের দেশীয় বিকল্প অর্জনের পথ অনুসন্ধানের একটি প্রয়াস শুরু হলো। দৃশ্যকলাও তার বাইরে রইল না। কেরলের রবি বর্মা পশ্চিমা উপকরণ ব্যবহার করে ভারতীয় বিষয় উপস্থাপনের যে নজির উপস্থাপন করে ভারতব্যাপী বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন, শতাব্দীর পৃষ্ঠা উল্টে সেটিও পাল্টে গেল। বিদেশি চলবে না, চাই স্বদেশি ঐতিহ্যিক বিষয়, সঙ্গে দেশি উপকরণ ও অঙ্কনপদ্ধতি। এটি মাথায় ঢোকালেন কলকাতা আর্ট কলেজের প্রিন্সিপাল ই বি হ্যাভেল। এতে মজলেন রবীন্দ্রনাথ-অবনীন্দ্রনাথ শুধু নয়, কুমারস্বামী-অরবিন্দ-বিবেকানন্দ থেকে নিবেদিতা, ও সি গাঙ্গুলি, নন্দলাল বসু—সবাই।
অবনীন্দ্রনাথ হ্যাভেলের প্রভাবে যখন আঁকতে শুরু করলেন, তখন তাঁকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করল মুঘল শিল্প, কিছুটা বা অজন্তা, রাজপুত চিত্রকলা। এর সঙ্গে অবচেতনেই মিশল ইউরোপীয় শিল্পীর কাছে শেখা পশ্চিমা ত্রিমাত্রিক দৃশ্য সৃষ্টির পারঙ্গমতা। জাপানি চিত্রকরদের সান্নিধ্যে এসে ছবিতে প্রয়োগ করতে শিখলেন ওয়াশ বা ধোয়া পদ্ধতি। ফলে বেঙ্গল স্কুল বা নব্য বঙ্গীয় রীতি নামে যা দাঁড়াল, তা হলো এ তিনের মিশ্রণে ঐতিহ্যবাহিত আধুনিকতার এক নিজস্ব ধরন, অবনীন্দ্রনাথের এক নিজের ঘরানা। যা হোক, এ শিল্প রবি বর্মাকে হটিয়ে ভারতের জাতীয় শিল্পের রূপকল্প হিসেবে ঠাঁই পেল ঘরে ঘরে।
মাঝখানে এসে পড়ল লেখালেখির ঝোঁক। অবনীন্দ্রনাথের বিশেষ ক্ষমতা ছিল নানাবিধ বানানো গল্প দিয়ে ছোটদের আবিষ্ট করে রাখবার। দেখে রবীন্দ্রনাথ ডেকে বললেন, ‘অবন, তুমি লেখো না কেন? যেমন করে মুখে মুখে গল্প বানিয়ে ছোটদের বলো, তেমন করেই লেখো।’ অবনীন্দ্রনাথ বললেন, ‘আমি কি আর লিখতে পারব, বানানটানানের ঠিক নেই।’ রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘সে আমি দেখে দেব, তুমি লেখো।’ এভাবেই শুরু হলো বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য কথনরীতি, একেবারে আনকোরা ঝরঝরে এক ভাষাভঙ্গি। লেখালেখির ভুবনে আবির্ভূত হলেন আরেক ঠাকুর, ছবির মতো গল্প লিখে যাওয়া অবন ঠাকুর।
লিখে গেলেন একে একে শকুন্তলা, ক্ষীরের পুতুল, রাজকাহিনি, নালক, বুড়ো আংলা, আলোর ফুলকি—মূলত ছোটদের জন্য লেখা। ভাষা ক্রমেই নেমে এল একেবারে দৈনন্দিন মুখের বুলিতে,যা সাহিত্যে তখনো বেশ দুর্লভ। রাজকাহিনির ভাষা যেখানে সংস্কৃতঘেঁষা, সেখানে বুড়ো আংলায় পূর্ববঙ্গের স্থানীয় ভাষার ব্যবহারও দেখা দিল। পাশাপাশি ভারতশিল্পের জনজীবনের নন্দনতত্ত্বকেও ভালো করে বুঝে নেবার চেষ্টা করছেন,লিখলেন বাংলার ব্রত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে রানি বাগেশ্বরী বক্তৃতামালা দিলেন ১৯২১ থেকে ১৯২৯ সালের মধ্যে। পরে এটি লিখিত রূপে প্রকাশিত হয় বাগেশ্বরী শিল্পপ্রবন্ধাবলী নামে, যা আমাদের দৃশ্য শিল্পের তত্ত্বজগতে এক আকরগ্রন্থ হয়ে রয়েছে।
এদিকে সাহিত্যে উঁকি দিতে শুরু করেছে গ্রামীণ যাত্রাপালার ঢঙে লেখা কিছুটা এলোমেলো বাগ্বিস্তারের এক ভিন্ন স্বাদের লেখনরীতি। অবনীন্দ্রনাথ যেন তাঁর পারিবারিক কৌলিন্য আর পরিশীলিত সংস্কৃতির জগত ছেড়ে একেবারে প্রান্তিক জনের অসংস্কৃত স্বভাবশিল্পের মধ্যে নিজেকে স্থাপন করতে চাইলেন। তবে বাংলা সাহিত্যে তাঁর শ্রেষ্ঠতম কীর্তি সম্ভবত তাঁর আত্মজীবনীর ঢঙে বলে যাওয়া আপন কথা, ঘরোয়া আর জোড়াসাঁকোর ধারে টুকে নিয়েছেন রানি চন্দ। অবনীন্দ্রনাথের বুড়ো আংলা, আলোর ফুলকি, পথে বিপথে, আপন কথা, জোড়াসাঁকোর ধারে-কে অনায়াসেই বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠতম কীর্তিগুলোর পাশে স্থান দেওয়া যাবে।
১৯৩০ সালে ‘আরব্য রজনী’র সিরিজ আঁকবার পর দীর্ঘ আট বছর অবনীন্দ্রনাথ ছবি আঁকেননি। এর কোনো ব্যাখ্যা আছে কি না জানি না, তবে কিছু ঘটনার পরম্পরা আমাদের ভাবায়। ১৯২৬-২৭-এর দিক থেকে রবীন্দ্রনাথ ছবি আঁকা শুরু করেন, ১৯৩০ সালে প্যারিসে তাঁর প্রথম ও পরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রদর্শনী হয়, শিল্পী হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। রবীন্দ্রনাথ এ সময় লেখার জগৎ ছেড়ে মনোনিবেশ করলেন ছবি আঁকায়, প্রায় সমসময়ে অবনীন্দ্রনাথ আঁকা ছেড়ে পুরোপুরি লেখার মধ্যে ডুবে গেলেন। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য ও অন্যান্য চর্চার হাই আর্টের পরিশীলনের বিপরীতে দাঁড়ালেন যেন অবনীন্দ্রনাথ, গ্রাম্য মানুষের চেনা পটচিত্রের ঢঙে ছবি আর পাঁচালি-পালার মতো করে অসংখ্য পালা রচনার মাধ্যমে। সাবধান করলেন কাছের মানুষদের, ‘রবিকার প্লে আর আমার পালা কিন্তু মোটেই এক জিনিস নয়।’
১৯৩৮ সাল থেকে তাঁকে ছবি আঁকায় ফিরতে দেখা গেল। ‘কবিকঙ্কনচণ্ডী’, ‘কৃষ্ণলীলা’ সিরিজে আমরা দেখা পেলাম একেবারে ভিন্ন এক অবনীন্দ্রনাথের। উচ্চমার্গীয় পরিশীলিত শিল্পভুবন ছেড়ে তিনি নেমে এসেছেন একেবারে নিম্নবর্গীয় মানুষের লোকশিল্পের জগতে। তাঁর লেখার ভুবন এসে মিলল যেন ছবির ভুবনে। ‘কাটুমকুটুম’-এ অবনীন্দ্রনাথ যে ভারতবর্ষে প্রথম ফাউন্ড অবজেক্ট দিয়ে শিল্প বানানোর উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন, মুখোশচিত্রগুলোয় যে একেবারে আনকোরা নিরীক্ষা ছিল, সে কথা শিল্প-ইতিহাসবিদেরা মনে রাখেননি। অবনীন্দ্রনাথের ‘কবিকঙ্কনচণ্ডী’ বা ‘কৃষ্ণমঙ্গল’ সিরিজের মধ্যে যে দেশি পটচিত্রের আদলে আঁকা আর লেখার সমন্বয় রয়েছে, সে নিয়েও তেমন কিছু বলা হয়নি।
১৯৩০ সালের দিক থেকে অবনীন্দ্রনাথ রামকাহিনি থেকে নানান খণ্ডচিত্র নিয়ে পালা লিখতে শুরু করেন, যার মধ্যে একধরনের এলোমেলো কল্পনা ও ভাষাভঙ্গির ব্যবহার দেখা যায়। রবীন্দ্রনাথ একে বলেছেন ‘বিশুদ্ধ পাগলামির কারুশিল্প’। অবনীন্দ্রনাথ নিজে বলেছেন কল্পনার হিস্টিরিয়া। পরবর্তী বিশাল একটি সময়কালজুড়ে তিনি লিখে গেছেন পালাগান, একেবারে গ্রামীণ পুঁথির ঢঙে।
তবে ১৯৩৪ থেকে ১৯৪২-৪৩ সালের মধ্যে তাঁর এক অনন্য সৃষ্টি অনেক পরে হলেও যথেষ্ট চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এর নাম ‘খুদ্দুর যাত্রা’ বা ‘খুদি রামলীলা’। বিশেষ করে ২০০৯ সালে এর একটি উচ্চমানের হুবহু প্রতিলিপি গ্রন্থ (ফ্যাক্সিমিলি) প্রকাশিত হওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ ও আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। এর গুরুত্বের দিক হচ্ছে, এখানে লেখা ও ছবির আশ্চর্য সম্মিলন। অবনীন্দ্রনাথ নিজে শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও এর অলংকরণগুলো তাঁর নিজের আঁকা কোনো ছবি নয়, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার ছবি, বিজ্ঞাপনের হ্যান্ডবিল, লেবেল কেটে বসানো—অনেকটা কোলাজের ঢঙে। প্রথমে মনে হতে পারে, ছবিগুলোর সঙ্গে লেখার সম্পর্কই নেই, কিন্তু ক্রমেই একধরনের পারস্পরিক সম্পর্ক আমরা আবিষ্কার করতে থাকি, সম্পর্কগুলোর মধ্যে যখন নানান ইঙ্গিত ধরতে পারি, তখন খটকাও লাগে। এখানে প্রধান কুশীলব চাষা-মুচি-ডোমদের মতো সমাজের একেবারে নিম্নবর্গীয় মানুষেরা, তারা কথাও বলে ওদের ভাষায়। ওদের নাম হাঁচি, টিকটিকি, তালচড়াই, মেটেভূত, মহামারি, আদিমধ্যিঅন্তি—এ রকম। তারা বলে, ‘আমরা চাষা, চাষবাস করি, ইচিং বিচিং চাঁচিমুচি, আমরা কামারকুমোর হাড়িমুচি।’ রামায়ণের কাহিনির চরিত্রদের যখন একেবারে আধুনিক কালের ফটো, সিনেমার পোস্টার, বিজ্ঞাপন থেকে কেটে, এর শরীরে ওর মাথা জুড়ে তৈরি করেন, তার মধ্যে তখনকার পশ্চিমা কোলাজ চিত্রের আভাস যেমন পাই, অ্যাসেমব্লেজ বা মিশ্র শিল্প নির্মাণের এক সম্ভাবনার দিকে যাত্রার সূচনামুখও দেখতে পাই। সুভদ্র ও সুবিন্যস্ত শিল্পের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ আজকের দৃশ্যকলাজগতে ক্রমেই প্রবল হয়ে উঠছে, তার কিছু ইঙ্গিত যেন এর মধ্যে ধরা আছে।
এই যে মানুষটি তাঁর সৃষ্টিকর্মের জগতে শিক্ষিত ও অভিজাতজনের ধ্রুপদি মূল ধারার মধ্যে জীবনের অনেকখানি পথ অতিক্রম করবার পর তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে নেমে যাচ্ছেন একেবারে ব্রাত্যজনের, সমাজের একেবারে নিম্নবর্গীয় মানুষের সহজিয়া শিল্পের পথে—ছবিতে ও লেখায়, এর কি কোনো সহজ উত্তর আছে?
অবনীন্দ্রনাথ ক্রমশ গল্পের নিটোলতাকে ভেঙে দিয়ে এক হেঁয়ালিময় কাঠামো ও বাক্রীতিতে লিখতে থাকেন পালার পর পালা। শিক্ষিত ও সুশীল ভদ্রলোকের সংস্কৃতিচর্চার পরিমার্জিত কাঠামো ভেঙে অন্য এক নিম্নতর সংস্কৃতিজগতের খোঁজে নেমেছিলেন কি তিনি, যেখানে ঠাকুরবাড়ির উঁচুতলার বাসিন্দাদের বদলে তাঁর আত্মস্মৃতিতে যেমনটি এঁকেছেন নন্দ-ফরাস, সমশের-কোচোয়ান, গোবিন্দ-খোঁড়া, রামলাল-চাকর, বুড়ো-জমাদার, উড়ে-বেয়ারা, ভিস্তি-মুটে-চৌকিদার-ঝাড়ুদারের জীবন্ত রূপ—তারাই মূল পাত্রপাত্রী? অর্থাৎ তিনি স্পষ্টতই ঠাকুরবাড়ির উচ্চমার্গীয় সংস্কৃতির জগৎ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন নিজস্ব অন্য এক প্রকাশভুবনে।
তাঁর ‘খুদ্দুর যাত্রা’ বা ‘খুদি রামলীলা’ প্রকাশিত হওয়ার পর ভিন্নতর এক অবনীন্দ্রনাথকে আমরা আবিষ্কার করতে শুরু করেছি। সৃষ্টিশীলতার একেবারে অন্তিম পর্বে এসে তিনি কি দৃশ্যকলার জগতেও এক ভিন্নতর পরিবর্তনের পথরচনার কথা ভাবছিলেন? লেখা ও আঁকার জগৎ নিয়ে আমাদের মনে উঁকি দেওয়া এসব প্রশ্নের উত্তর হয়তো কোনোদিন জানা যাবে, হয়তো যাবে না।