চলে গেলেন মিহির সেনগুপ্ত

কথাসাহিত্যিক মিহির সেনগুপ্ত

চলে গেলেন ‘বিষাদবৃক্ষ’র লেখক কথাসাহিত্যিক মিহির সেনগুপ্ত। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ব্লাড ক্যানসারে ভুগছিলেন। ১৭ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার একটা হাসপাতালে তাঁর জীবনাবসান হয়।

মিহির সেনগুপ্তর জন্ম বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় (বর্তমানে ঝালকাঠি জেলার কেওড়া গ্রামে), ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর। বরিশালের ব্রজমোহন কলেজে পড়ালেখা করেছেন। ১৯৬৩ সালে দেশ ছেড়ে কলকাতায় চলে যান। ১৯৬৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা–সাহিত্যে স্নাতক পাস করেন। মধ্যবয়সে ১৯৯৩ সালে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

২০০২ সালে বাংলাদেশ শ্রুতি একাডেমি ‘সিদ্ধিগঞ্জের মোকাম’ গ্রন্থের জন্য মিহির সেনগুপ্ত ‘শ্রেষ্ঠ রচনা’র পুরস্কারে সম্মানিত হন। তাঁর আত্মজৈবনিক গদ্য ‘বিষাদবৃক্ষ’র জন্য ২০০৫ সালে পান আনন্দ পুরস্কার। তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘ধানসিদ্ধির পরনকথা’, ‘টিলা অরণ্যের পাকদণ্ডী’, ‘বিদুর’, ‘ভাটিপুত্রের পত্র বাখোয়াজি’, ‘উজানি খালের সোঁতা’, ‘টাঁড় পাহাড়ের পদাবলি’, ‘হেমন্ত শেষের পাখিরা’, ‘গোধূলি সন্ধির রাখাল’, ‘নীল সায়রের শালুক’, ‘একুশ বিঘার বসত’ ইত্যাদি।

মিহির সেনগুপ্তর লেখায় বারবার উঠে এসেছে দেশভাগ, হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক, বাঙালির জীবনযাপন। জন্মভূমি বরিশালকে কখনো ভুলতে পারেননি তিনি। তাই তাঁর বিভিন্ন লেখায় ঘুরেফিরে বরিশালের স্মৃতি, ভাষা খুঁজে পাওয়া যায়।