ফুলবৃত্তান্ত

>ফুল শুধু দেখতেই সুন্দর নয়। বেশ কাজেরও। ফুল থেকে বীজ হয়, সেই বীজ থেকে হয় নতুন নতুন গাছ। আর গাছ আছে বলেই এই পৃথিবী আমাদের বাসস্থান। যাহোক, ফুল থেকে বীজ তৈরির জন্য ফুলেরা রেণু বিনিময় করে। রেণু বিনিময় হতে পারে বাতাসের মাধ্যমে, আবার পতঙ্গ ও পাখিদের সাহায্য নিয়েও কাজটা হয়। আর এই পুরো কাজটিতে যুক্ত থাকে ফুলের গর্ভমুণ্ড, পরাগধানী, পুষ্পদণ্ড, ডিম্বাশয় এবং উজ্জ্বল সব পাপড়ি। চলো, জেনে নেওয়া যাক কে কোন কাজটা করে। জানাচ্ছেন মেহেদী হাসান
.
.

* মানুষ যেমন নারী বা পুরুষ হয়, ফুলের ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাপারটা ভিন্ন। একই ফুলে যেমন নারী অংশ থাকে, আবার পুরুষ অংশও থাকে।

* বীজ তৈরির জন্য এক ফুলের পুরুষ অংশ থেকে রেণু উড়ে গিয়ে বা পতঙ্গের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়ে অন্য ফুলের নারী অংশে যুক্ত হয়।

পাপড়ি

কীটপতঙ্গ আকৃষ্ট করতে পাপড়ি সচরাচর উজ্জ্বল রঙের হয়ে থাকে।

গর্ভাশয়

ফুলের নারী অংশ। এটিকে বীজকোষও বলা হয়। বীজ তৈরি হয় এখানেই।

গর্ভমুণ্ড

ফুলের এই অংশটি কিছুটা আঠালো। অন্য ফুল থেকে রেণু এলে সহজে ধরতে পারার জন্যই এই ব্যবস্থা।

পরাগধানী

এগুলোই ফুলের পুরুষ অংশ। খুব কাছ থেকে দেখলে খুদে খুদে অনেক ফুলের রেণু দেখতে পাবে।

পরাগদণ্ড

বেশ সরু ডাঁটার মতো অংশটির মাথায় থাকে পরাগধানী। এই দুইয়ে মিলে পুংকেশর।

ফুলের আকার

সব পোকা কিন্তু সব ফুল পছন্দ করে না। ফুলগুলো দেখতেও আলাদা হয়। আকার হয় ভিন্ন ভিন্ন। কিছু ফুল দেখতে লম্বাটে হয়। এগুলোর ভেতরে পোকা ঢুকে যেতে পারে। কিছু কিছু ফুলের পাপড়ি বড় হয়। পোকা এসে বসে সেই পাপড়িতে 

কীটপতঙ্গ

এখন প্রশ্ন হলো, এক ফুলের পরাগধানী থেকে পুষ্পরেণু অন্য কোনো ফুলের গর্ভমুণ্ডে কীভাবে যাবে? কাজটা করে ছোট ছোট পোকামাকড়েরা। পিয়ন কাকা যেমন বাড়ি বাড়ি চিঠি পৌঁছে দেন, ফুলে ফুলে ঘুরে পোকারা পৌঁছে দেয় পুষ্পরেণু। এরপর গর্ভমুণ্ড থেকে পুষ্পরেণু পৌঁছে যায় ডিম্বাশয়ে। সেখানে নিষিক্ত হয়ে তৈরি হয় বীজ। এরপর ফল, ফল পেকে বীজ মাটিতে ফেললে আবার গাছ হয়। গাছ থেকে ফুল, তা থেকে ফল, তা থেকে আবারও গাছ... এভাবে চলতে থাকে।

সবচেয়ে লম্বা ফুলের নাম টাইটান অ্যারাম। ১০ ফুটের মতো উঁচু হয়। প্রায় ছাদের সমান।