সরোবর

রক্তকোরকের নিচে ওটা জেগে আছে; শীতের হাওয়া

তার রঙিন প্রচ্ছদ খুলে বের হয়ে যাওয়ার আগে

প্রান্তরের মুদ্রিত কুয়াশা দ্যাখো

তোমাকে জানিয়ে গেছে অসমাপ্ত শীতবার্তা!

আর শীতের ধোঁয়াটে ভোরে অই ঘুমঘোর সরোবর থেকে

একে একে ভেসে ওঠে কিশোরীর শীতচিঠি,

পিয়ানোর রিড, লকলকে হেমলক,

বকের পালক আর শালিকের সিলিকন ডানা।

কুয়াশার ক্যারাভানে তুমি নগ্ন শুয়ে আছ

শীতলাগা বেড়ালের মতো; আর আমি চক্মকি পাথরের খোঁজে

পুরোনো প্রান্তর ছেড়ে এই শীতে

হেঁটে যাই প্রত্নশহরের থেকে আরও কিছু দূরে-

দেখি শ্বেতধোঁয়া সরোবরে ভেসে উঠছে

কবিতার বুদ্বুদ; যার ধোঁয়াশা গোলকে দেখা যাচ্ছে

লাল কার্ডিগান পরা তুমি শুয়ে আছ

পাতাঝরা হরিৎ ডেরায়- দুরারোগ্য শীতঘুম!