বাঙালির যুক্তি–বুদ্ধির সঙ্গে কীভাবে জড়িয়ে আছে ধাঁধা
ধাঁধা হলো প্রশ্ন ও জবাবের খেলা। মাথা খাটিয়ে শব্দ ও বাক্যের মারপ্যাঁচ থেকে খুঁজে বের করে আনতে হয় ঠিক উত্তর। বাঙালির যুক্তি–বুদ্ধির সঙ্গে কীভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে ধাঁধা!
ছোটদের আড্ডায় হঠাৎ করেই কে যেন বলেছিল, ‘তিন অক্ষরের নাম তার/জলে বাস করে/মধ্যের অক্ষর বাদ দিলে আকাশেতে ওড়ে।’ কথাগুলো ছড়ার মতোই সুন্দর; কিন্তু তারপরই এল প্রশ্ন, ‘বলো দেখি, তার নাম কী?’ সেই ছোট্টবেলায় এটিই ছিল আমার শোনা প্রথম ধাঁধা। মাথা চুলকে আকাশপাতাল খুঁজে ভেবে পাইনি তার উত্তর। বুদ্ধির দীপ্তি মেখে মুচকি হেসে এক বন্ধু বলল, চিতল! মানে হলো, চিতল মাছ। মাছ তো জলেই বাস করে। ‘চিতল’ শব্দটি থেকে মধ্যের অক্ষর ‘ত’ বাদ দিলে হয়ে গেল চিল; আর কে না জানে, চিল আকাশে ওড়ে। চিতল থেকে চিল। সম্ভবত এই প্রথম আমরা বুঝেছিলাম শব্দ নিয়ে খেলার মজা।
বিস্ময়ে বিভোর হয়ে ওঠা আমাদের মুখগুলো মনে পড়ে। ওই আড্ডাতেই আরেক বন্ধু বলেছিল, ‘খালে নাই পানি, বিলে নাই পানি/গাছের আগায় পানি।’ গাছের মগডালে পানি পাব কোত্থেকে! মাথার ওপর থাকা গাছগুলোর দিকে তাকাই; পাতা আছে, ফুল আছে, ফলও আছে; কিন্তু কোথাও পানি নেই। অন্য বন্ধুর জবাব ছিল, ডাব। সত্যিই তো! ডাব ছাড়া আর কোন গাছে পানি থাকে! এই হলো বাঙালির ধাঁধা, বাংলার ধাঁধা—বাঙালির বুদ্ধিবৃত্তির লোকায়ত সংস্করণ।
ধাঁধা হলো প্রশ্ন ও জবাবের খেলা। মাথা খাটিয়ে শব্দ ও বাক্যের মারপ্যাঁচ থেকে খুঁজে বের করে আনতে হয় ঠিক উত্তর। জবাবে পাওয়া যেতে পারে প্রাকৃতিক উপাদান, সাংস্কৃতিক বস্তু, পৌরাণিক ব্যক্তি, স্থান কিংবা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নাম। ছড়ায় ছড়ায় এক পক্ষ ছুড়ে দেয় প্রশ্নের বাণ। অন্য পক্ষ খুঁজতে থাকে মোক্ষম জবাব। ব্যর্থ হলেই বয়ে যায় হাসির হুল্লোড়। কেউ হয়তো বললেন, ‘আল্লাহর কী কাম/এক ঘরের এক খাম।’ প্রতিপক্ষকে বলতে হবে জিনিসটা কী। এমন একটি ঘরের কল্পনা করে নিতে হবে, তার স্তম্ভ বা খাম মাত্র একটি। আপাতদুরূহ এসব প্রশ্নের জবাব খুবই সরল। এই ধাঁধায় ঘরটি হলো ছাতা। কারণ, ছাতার একটি মাত্র ডাঁট থাকে।
রাজশাহী অঞ্চলে প্রচলিত আছে সুন্দর চিত্ররূপময় একটি ধাঁধা—‘এতটুকু পুকুরটা টলমল করে/রাজার ব্যাটার সাধ্য নাই/ জাল ফেলাবার তরে।’ জবাব হলো চোখ। চোখের পাতার প্রসঙ্গে ঢাকা অঞ্চলের ধাঁধায় পাচ্ছি, ‘এ পাড়ের দূর্বাগুলি টলমল করে/ ও পাড়ের দূর্বাগুলি নমস্কার করে।’ পুকুরের দুই পাড় আর চোখের দুই পাতার সাদৃশ্যে চোখ ও পুকুর হয়ে উঠেছে একে অন্যের প্রতিরূপ।
ছড়া যেমন ছন্দে বাঁধা, তেমনি ধাঁধার গড়নেও আছে ছন্দ। তবে ধাঁধা ছন্দসর্বস্ব সৃষ্টি নয়। মাত্র একটি বাক্যকে আশ্রয় করেও গড়ে উঠতে পারে ধাঁধা। যেমন কোন দেশে মাটি নেই? উত্তর হলো সন্দেশ। দুধ ও চিনিমিশ্রিত সুস্বাদু খাবার কী করে দেশ হয়? প্রকৃতপক্ষে ধাঁধায় সক্রিয় থাকে সাদৃশ্যের সূত্র। এ ক্ষেত্রে সাদৃশ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে দেশ শব্দটির ধ্বনিসংগঠন। ‘সন্দেশ’ শব্দের ধ্বনিসমষ্টিতেও আছে ‘দেশ’। আবার ব্যক্তি, বস্তু, প্রাণীর দৃশ্যরূপ ও কাঠামোর সাদৃশ্যেও বাঙালি তৈরি করেছে মজার মজার ধাঁধা।
কোনো কোনো ধাঁধা বেশ দীর্ঘ; পদ্য নয়, আশ্রয় করেছে গদ্যভঙ্গিকে। কোনোটি আবার গদ্য–পদ্যের মিশ্রণে রচিত। গল্পের আবহে শুরু, গল্পের শেষে আছে প্রশ্ন। আশুতোষ ভট্টাচার্যের বরাতে একটি ধাঁধা পড়া যাক, ‘এক লোক এক মেয়েকে রং দিতে আসছিল। তখন মেয়েটি বলল, ‘আমি কে জানিস? আমার শ্বশুর বিয়ে করেছে তোর শ্বশুরের মাকে।’ মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো প্রশ্ন শুনে ছেলেটি হিসাব কষতে আরম্ভ করল সম্পর্কের সূত্র। জবাব পেল মামিশাশুড়ি। অতএব রং না দিয়ে তৎক্ষণাৎ বিদায়।
ধাঁধার আছে অনেক রকম নাম। লৌকিক সংস্কৃতির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত বলে ধাঁধার আঞ্চলিক নাম পাওয়া যায়। ময়মনসিংহ অঞ্চলে বলা হয় ‘শিলক’। সম্ভবত ‘শ্লোক’ শব্দটি থেকে তৈরি হয়েছে ‘শিলক’। প্রমিত শব্দভান্ডারে ধাঁধার বিকল্প শব্দ হিসেবে আছে ‘হেঁয়ালি’ ও ‘প্রহেলিকা’। যে রচনা বা জিজ্ঞাসায় নিগূঢ় কোনো অর্থ নিহিত থাকে, সেটিই প্রহেলিকা। ধাঁধা বোঝাতে বাংলার কবি মুকুন্দরাম ‘প্রহেলিকা’ ও ‘হেঁয়ালি’—দুটো শব্দই ব্যবহার করেছেন। ‘প্রহেলিকা কহে শুক রাজার সমাজে।/নৃপতির আদেশে পণ্ডিতগণ বুঝে।’ কেমন সেই হেঁয়ালি? মুকুন্দরাম লিখেছেন—
‘বেগে ধায় রথ নাহি চলে এক পা
নাচয়ে সারথি তাহে পসারিয়া গা॥
হেঁয়ালি প্রবন্ধে পণ্ডিত দেহ মতি।
অন্তরিক্ষে চলে রথ ভূতলে সারথি॥’
এমন এক রথ, যা দ্রুত বেগে ধায়। তার সারথি শরীর প্রসারিত করে নাচে। আকাশে রথ ওড়ে, কিন্তু ভূতলে দাঁড়িয়ে থাকে তার সারথি। এই হেঁয়ালি ভেঙে পণ্ডিতকে বলতে হবে, কী তার জবাব। রথটি হলো ঘুড়ি। ঘুড়ি আকাশে ওড়ে, আর যিনি ওড়ান, তিনি থাকেন মাটিতে। বাঙালির প্রাচীন রচনা চর্যাপদও এক অর্থে ধাঁধায় ভরপুর সৃষ্টি। নিগূঢ় অর্থবোধকতা যদি না-ই থাকবে, তবে কবি কেন লিখবেন, ‘দুলি দুহি পীঢ়া ধরণ না জাই।/রুখের তেন্তলি কুমহীরে খাই।’ কচ্ছপ দোহন করে ভাঁড় ধরা যায় না, গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়।
বাঙালির লিখিত রচনার দূর–পটভূমিতেও মিলবে ধাঁধার সাক্ষাৎ। কিন্তু ধাঁধা মূলত মৌখিক সংস্কৃতির অংশ। মুখে মুখেই এর উৎপত্তি, মুখে মুখেই বিস্তার। সওয়াল ও জওয়াবের খেলায় জমে উঠত টান টান উত্তেজনা। ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী।’ ওদিকে অপেক্ষমাণ শ্রোতা। যাঁরা জবাব জানেন, তাঁরা প্রতিপক্ষকে ভাষিক ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। যাঁর পর্যবেক্ষণ যত প্রখর, তিনি উত্তর দেন তত দ্রুত। উত্তরদাতাকে প্রত্যাশিত উত্তরটিই দিতে হবে। বিকল্প উত্তর একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তার অর্থ হলো, ধাঁধার উত্তরের ক্ষেত্রে সামাজিক ও আঞ্চলিক গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপার আছে। সব অঞ্চলে একই প্রশ্নের সমধর্মী উত্তর না–ও মিলতে পারে। আবার বিভিন্ন অঞ্চলের ধাঁধায় প্রাপ্ত একই ধরনের প্রশ্ন ও উত্তরের সাদৃশ্যও বিস্ময়কর।
কল্পনা করুন, আজ থেকে এক শ বছর আগের বাংলা অঞ্চলের কথা। বিবাহ সভায় বসে আছেন বর ও কনে। ঠাট্টার সম্পর্কের আত্মীয়রা বরের উদ্দেশে ছুড়ে দিচ্ছেন প্রশ্ন। বর বেচারির বুদ্ধির পরীক্ষা চলছে। সঙ্গে চলছে দুই পক্ষের বুদ্ধির বাহাস। লজ্জায় লাল হয়ে উঠছেন বর। কনেপক্ষের লোকজন পান এগিয়ে দিতে দিতে বলছেন, ‘পান খাও পণ্ডিত ভাই, কথা কও ঠারে/এই পানের জন্ম কোন কোন বারে?/যদি না কও পানের জন্মকথা/ছাগল অইয়া চাবাইবা শেওড়ার পাতা।’ একে তো ব্যঙ্গবিদ্রূপ, তার ওপর অদ্ভুত প্রশ্ন। এই প্রশ্নের জবাব দিয়ে, তবেই না পানের দিকে হাত বাড়ানো যাবে। বরপক্ষীয় বুদ্ধিমান ব্যক্তিটি হয়তো বলে বসলেন, ‘আষাঢ় মাসে গুয়ার জন্ম/মঙ্গলবারে পান,/পান আছিল সমুদ্দুরে/আনল হনুমান।’ বিয়ের আসরে ধাঁধার এই দ্বান্দ্বিকতা নতুন একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কেরও সূচনা করেছে। নতুন দুটি মানুষ, পরিবার ও অঞ্চলের মধ্যকার সেতুবন্ধনের সুযোগ তৈরি করে দিত বিদ্রূপময় ও বুদ্ধিদীপ্ত ধাঁধাগুলো।
সত্যিকার অর্থে, ধাঁধা লৌকিক বিনোদনের মাধ্যম। পুঁজিবাদপূর্ব সমাজব্যবস্থায় বাঙালির আড্ডা জমে উঠত বাজারে, বৈঠকখানায়, চণ্ডীমণ্ডপে, খানকাহ ঘর বা অতিথিশালায়। ঝিম ধরা বৃষ্টির দিনে লাগামহীন দৌড়াত আড্ডার ঘোড়া, সেসব অবসরে বুদ্ধির জোরে লোক হাসানো ও লোক ঠকানোর সৃষ্টিশীল উপায় ছিল ধাঁধা। আর ভেতরে ভেতরে তৈরি হয়ে যেত সামাজিক সম্পর্কের ভিত্তি।
ধাঁধাগুলো বহন করে চলেছে সময় ও ইতিহাসের চিহ্ন। সাল-তারিখের মাপকাঠি দিয়ে সে চিহ্নকে হয়তো সুনির্দিষ্ট করা যায় না। কিন্তু বাঙালির সমাজকাঠামোর কিছু নিশানা তো পাওয়াই যায়। ধাঁধাকে গ্রহণ করা চলে বাঙালির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ, প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের আবহমানতার নিদর্শন হিসেবে।
একসময় হাটের দিনের জমজমাট বাজারে বিক্রি হতো ধাঁধার বই শুভঙ্করের আর্যা, কালিদাসের হেঁয়ালি। কিংবদন্তি শোনা যায়, শুভঙ্কর ছিলেন গণিতশাস্ত্রে পণ্ডিত। গণিতের মারপ্যাঁচে নাস্তানাবুদ করতেন। আবার জুড়ে দিতেন গাণিতিক সমস্যার সমাধানের সূত্র। শুভঙ্করের আর্যা থেকে দেখে নিই:
‘এক কড়ায় কিনলাম খাসি।
লোক জুটেছে বারো শ আশি॥
সবাই বলে খাবে খাবে
কে কতটা ভাগ পাবে?
ভাগ করে দাও শিশু আনন্দিত মনে।
বুদ্ধির খেলা ভাই শুভঙ্কর ভনে॥’
অন্যদিকে আছেন সংস্কৃত ভাষার পণ্ডিতপ্রবর কবি কালিদাস। তাঁর নামে বাংলায় ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে অজস্র হেঁয়ালি। যদিও একটির রচয়িতাও তিনি নন। যেমন—
‘বারো মাস বয়স তার তেরো মাসের কালে।
গন্ডা গন্ডা প্রসব করে অগণন ছেলে॥
কহে কবি কালিদাস হেঁয়ালি ছলা।
থাকুক মূর্খের কাজ পণ্ডিতে বুঝোন কলা॥’
ধাঁধার ভেতরই লুকিয়ে আছে উত্তর। বছর ফুরালে কলাগাছের কাঁদিতে জন্ম নেয় অগণিত কলা। ইতিহাসের কোন পটভূমিতে কে কখন কীভাবে জুড়ে দিয়েছে কালিদাসের নাম, বলা দুঃসাধ্য। তবু কালিদাসের নামেই বাজারে বেরিয়েছে ধাঁধার বই কালিদাসের হেঁয়ালি, কালিদাসের ধাঁধা নামের পুস্তিকা। মনের আনন্দে সেসব পুস্তিকা কিনেও নিয়েছেন সহৃদয় পাঠক। শুধু কালিদাস আর শুভঙ্কর নয়, আরও অনেকের নামে ধাঁধা চলে এসেছে। ধাঁধা প্রসঙ্গে লিখতে গিয়ে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বেশ কয়েকজন রচয়িতার নাম উল্লেখ করেছেন—মোহাম্মদ জমা, কীর্তিচাঁদ ভট্ট, কামিল ফকির, বল্লভদাস, ষষ্ঠীচরণ দাস প্রমুখ।
মনে পড়ে, আমার নানার সংগ্রহে ছিল শুভঙ্করের আর্যা আর কালিদাসের হেঁয়ালি। এ তথ্য এটাই প্রমাণ করে যে মৌখিক সংস্কৃতি থেকে ধাঁধা প্রবেশ করেছে মুদ্রণসংস্কৃতির বিশাল চত্বরে। ছোটদের পত্রিকা, সাময়িক পত্র, এমনকি দৈনিক পত্রিকার পাতায় পৃষ্ঠাপূরক হিসেবে যুক্ত হয়েছে ধাঁধা। সময়ের সঙ্গে তৈরি হয়েছে নতুন ধাঁধা। আবার হারিয়েও গেছে। ধাঁধা কি নিজেই হারিয়ে যাচ্ছে? মৌখিক সংস্কৃতিতে ধাঁধার বিনিময় ঘটে কি? মনে হয় না। আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামো বদলে যাওয়ায় ধাঁধার বুদ্ধিবৃত্তিক অনুশীলন আর নেই। বাঙালির ধাঁধাবিষয়ক প্রথম দিককার গবেষক ও পণ্ডিতেরা শুনিয়েছিলেন একই রকম দীর্ঘশ্বাস। একালেও তার কমতি নেই। কিন্তু আশার কথা, চাহিদার হার যত ছোটই হোক, অডিও-ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে এখনো কেউ কেউ ধাঁধার জোগান বজায় রেখেছেন।
সেই কবে, আমাদের মনের কোণে দানা বাঁধত অপেক্ষা। শহরের বাড়িতে কবে আসবেন দাদি অথবা নানা; আমরা শুনতে পাব পুরোনো দিনের গল্প। পিঠা-পায়েসের পুটুলি খুলতে খুলতে আমাদের বৃদ্ধ স্বজনেরা মেলে ধরতেন গল্পের ঝুলি। তারই মধ্যে এসে যেত শিলুক অথবা ধাঁধা। খুলে যেত আমাদের স্বপ্ন ও কল্পনার দুয়ার। বুদ্ধি আর যুক্তিও কি নাড়া দিত? জবাব নিঃসন্দেহে হ্যাঁ–সূচক। আর তাই বলতেই হয়, বাঙালির যুক্তি ও বুদ্ধির ইতিহাসে ধাঁধা এক প্রগাঢ় সাংস্কৃতিক উপাদান।