উৎসর্গপত্রের অদ্ভুত জগৎ

হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলি, আপনি কোথায়?–এর উৎসর্গপত্র
হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলি, আপনি কোথায়?–এর উৎসর্গপত্র

‘বইয়ের উৎসর্গপত্র? তা নিয়ে আবার আলোচনা? এটা একটা কথা বলার মতো বিষয় হলো নাকি!’ উৎসর্গপত্র নিয়ে আলাপ করতে বসেছি জেনে কোনো কোনো পাঠকের মনে এমন ভাবনার উদয় হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু এ–ও এক ভারি বাস্তব কাণ্ড যে অনেক গ্রন্থের উৎসর্গপত্র ধরে রাখে তৎকালীন সাহিত্যের ইতিহাস, এমনকি তার মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে বইটির প্রকাশকালের সমাজ-ইতিহাস-রাজনীতির নানা চালচলন। কোনো বইয়ের উৎসর্গপত্রটি পড়ে লেখকের ব্যক্তিজীবনের নানান চড়াই-উতরাই, ভাবনা, পৃথিবীর অবয়ব ও মনোজগতের নানা কূটাভাসও পাঠক অনুভব করতে পারেন। এ ছাড়া রচয়িতার নিজস্ব ক্ষোভ, রসবোধ ও মেজাজ-মর্জির ধীর বা চঞ্চল চালচলনও এতে ধরা পড়ে বৈকি। 

কবি ই ই কামিংস নিজ খরচে ছাপা কবিতার বই নো থ্যাকংস উৎসর্গ করেছিলেন ওই বইয়ের পাণ্ডুলিপি প্রত্যাখ্যান করা সব প্রকাশকের নামে
কবি ই ই কামিংস নিজ খরচে ছাপা কবিতার বই নো থ্যাকংস উৎসর্গ করেছিলেন ওই বইয়ের পাণ্ডুলিপি প্রত্যাখ্যান করা সব প্রকাশকের নামে

প্রাচীন ও মধ্যযুগেও বই উৎসর্গের চল ছিল বলে প্রমাণ মেলে। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ অব্দে এথেন্সবাসী গ্রিক রাজনীতিক অ্যারিস্টাইডিস নাকি বলেছিলেন, ‘উপাসনালয় উৎসর্গিত হয় দেবতার উদ্দেশে আর বই উৎসর্গ করতে হয় মহান মানুষকে।’ তাঁর ওই উক্তির কারণেই কি না জানা নেই, পাশ্চাত্যে প্রাচীন ও মধ্যযুগের বেশির ভাগ বই-ই উৎসর্গিত হয়েছে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব বা রাজপুরুষ-রাজরানিদের উদ্দেশে। ইংল্যান্ডে রেনেসাঁসের প্রথম যুগে বা ষোড়শ শতকে ইংরেজি সাহিত্যে গ্রন্থ উৎসর্গের প্রথা পুরোদমে চালু হয়। তখন ইংল্যান্ডের রানি ছিলেন প্রথম মেরি। তিনি বেঁচেছিলেন মাত্র ৪২ বছর, কিন্তু ওই সময়ের মধ্যেই তাঁকে উৎসর্গ করা হয়েছিল বিচিত্র সব বিষয়ের ৩৩টি বই ও ১৮টি পাণ্ডুলিপি। ১৬০৫ সালে মিগুয়েল দে সেরভান্তেস তাঁর ডন কিহোতে উপন্যাসের প্রথম খণ্ড প্রকাশের সময় কোনো উৎসর্গপত্র না দিলেও বছর দশেক পরে যখন দ্বিতীয় আরেকটি অংশ নিয়ে এক অখণ্ড সংস্করণ বের হলো, তখন ঠিকই বেশ কয়েকজন স্পেনীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসকের নামে একটি উৎসর্গপত্র লিখেছিলেন। উইলিয়াম শেক্​সপিয়ারের সনেটের সংকলনের উৎসর্গপত্র তো গবেষকদের কাছে রীতিমতো এক ধাঁধায় পরিণত হয়েছে বলা চলে। উৎসর্গপত্রে উল্লিখিত ‘মি. ডব্লিউ এইচ’ আদতে কে, তা খুঁজে বের করতে বিশেষজ্ঞরা গলদঘর্ম হয়েছেন বহুবার। সম্প্রতি গবেষক জিওফ্রে কেনেভলি দাবি করেছেন, ওই উদ্দিষ্ট ব্যক্তি আসলে বইয়ের প্রকাশক টমাস থর্পের বন্ধু উইলিয়াম হোম। উপরন্তু সনেটগুচ্ছের উৎসর্গপত্রটি আদৌ স্বয়ং শেক্​সপিয়ারের রচিত, নাকি প্রকাশকই আদতে তা লিখে দিয়েছিলেন, এ নিয়েও বিতর্ক জারি রয়েছে। 

আধুনিককালে যন্ত্রশক্তি ও প্রযুক্তির কারণে বই প্রকাশ যেমন সহজ হয়ে এল, তেমনি বইয়ের উৎসর্গপত্রের বৈচিত্র্যও বাড়ল। রাজা-রানি-অভিজাতদের বৃত্তের বাইরে নানা মানবিক গল্পও জড়িয়ে যেতে থাকল সেসব ঘিরে। যেমন কার্ল মার্ক্স তাঁর মহাগ্রন্থ ডাস ক্যাপিটাল (১৮৬৭) উৎসর্গ করেন প্রয়াত বন্ধু স্কুলশিক্ষক উইলহেম উলফকে। যিনি কিনা মৃত্যুর আগে মার্ক্সের জন্য বেশ কিছু অর্থকড়ি রেখে গিয়েছিলেন। পুরো জীবনে লেখা নিজের সেরা বইটি তাই আর কাউকে উৎসর্গ করার কথা মার্ক্স ভাবতেও পারেননি। মার্ক টোয়েন মা, ভাই, স্ত্রী কী সন্তান, যাঁকেই বই উৎসর্গ করেছেন, কোনো ক্ষেত্রেই ‘দরদের সঙ্গে উৎসর্গিত’ বাক্যটি লিখে দিতে ভোলেননি। 

রবীন্দ্রনাথ নিজের লেখা ১১টি বই উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর ‘নতুন বৌঠান’ কাদম্বরী দেবীর নামে
রবীন্দ্রনাথ নিজের লেখা ১১টি বই উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর ‘নতুন বৌঠান’ কাদম্বরী দেবীর নামে

উৎসর্গপত্রের মারফত গায়ের ঝাল বা মনের রাগ মেটানোর কাণ্ডও দুর্লভ নয়। মার্কিন কবি ই ই কামিংস একবার সেভেন্টি পোয়েমস নামের একটি বই প্রকাশের আশায় মোটমাট ১৪টি প্রকাশনা সংস্থায় পাণ্ডুলিপি জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু বিধি বাম, প্রতিটির কাছেই তাঁকে প্রত্যাখ্যাত হতে হয়। অগত্যা উপায় না দেখে মায়ের কাছ থেকে টাকা ধার করে বইটি তিনি নিজেই ছাপেন, যদিও নাম দেন পাল্টে। নো থ্যাংকস (১৯৩৫) শিরোনামে পরে বইটি প্রকাশ পেলে দেখা যায়, যে ১৪ প্রকাশকের দ্বারস্থ হওয়ার পর কামিংস বিফল হয়ে ফিরেছিলেন, বইটি উৎসর্গিত হয়েছে তাঁদেরই নামে। চার্লস বুকাওস্কির মতো প্রথাভাঙা লেখক আবার তাঁর উপন্যাস পোস্ট অফিস-এর (১৯৭১) উৎসর্গপত্রে সোজা ঘোষণাই করেছিলেন, ‘বইটি কাউকে উৎসর্গ করা হয়নি’। ইংরেজ অভিনেতা ও লেখক স্টিফেন ফ্রাই তো আরও এক কাঠি সরেস, তাঁর দ্য লায়ার (১৯৯১) উপন্যাসের উৎসর্গপত্রের পাতায় খানিকটা ফাঁকা জায়গা রেখে নিচে লিখে দিয়েছিলেন, ‘ওপরে পুরো নামটা বসিয়ে নিন।’ 

বাংলা পুঁথির ইতিহাসে পাশ্চাত্যের প্রথাগত ছকে উৎসর্গপত্রের কোনো চল ছিল না ঠিকই, কিন্তু অভ্যন্তরে অনেক সময় রচনায় সহায়তাদানকারীর উদ্দেশে পুঁথিটি উৎসর্গিত বা নিবেদিত হয়েছে, এমন বয়ান আকছার মেলে। তবে পাশ্চাত্যের কেতায় প্রথম বাংলা বই কাউকে উৎসর্গ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। ১৮৫৯ সালে প্রকাশ পাওয়া নিজের শর্মিষ্ঠা নাটকটি তিনি উৎসর্গ করেছিলেন রাজা প্রতাপচন্দ্র সিংহ বাহাদুর ও রাজা ঈশ্বরচন্দ্র সিংহ বাহাদুরকে। আজ থেকে ১৬০ বছর আগে শুরু হওয়া গ্রন্থ উৎসর্গের এই ধারা এখনো বাংলা সাহিত্যে বিচিত্ররূপে বহমান। মধুসূদনের মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১) বা হেকটর-বধ (১৮৭১) বইয়ের উৎসর্গপত্র পড়লে তাঁর উথালপাতাল জীবনের নানা হাহাকার ও সাহিত্যিক প্রেরণার বিষয়ে ইঙ্গিত মেলে। আবার যখন হিসাব করে দেখা যায়, রবীন্দ্রনাথ নিজের লেখা ১১টি বই উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর ‘নতুন বৌঠান’ কাদম্বরী দেবীর নামে, তখন কি রবীন্দ্রনাথের মনের ভেতরকার এক অতল হাহাকারের নিদর্শন আমাদের সামনে উঠে আসে না? রবীন্দ্রনাথ অবশ্য উৎসর্গ করার বেলায় খানিক কৃপণ ছিলেন বলতে হয়। জীবদ্দশায় প্রকাশিত ২০৮টি বইয়ের মধ্যে তাঁর উৎসর্গপত্রসমেত প্রকাশিত বই মাত্র ৬৪টি। আবার কাউকে কাউকে দুটি করে বই উৎসর্গও করেছেন। কাদম্বরীসহ মোট ৫১ জন ব্যক্তি তাঁর গ্রন্থের উৎসর্গলাভে ধন্য হতে পেরেছেন শেষমেশ। রবীন্দ্রনাথ বই উৎসর্গ করেছেন—এমন খবর নিশ্চয় তখন তাঁদের কাউকে কাউকে বেশ উচ্ছ্বসিত করেছিল। কিন্তু একবার একটি কবিতার বই রবীন্দ্রনাথের নামে উৎসর্গিত হওয়াতে কবিগুরুকে খানিক বিপদেই পড়তে হয়েছিল। ১৯০৮ সালে খুলনা জেলার সেনহাটি জাতীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক হীরালাল সেন একটি প্রতিবাদী কবিতার বই কবির অনুমতি না নিয়েই তাঁকে উৎসর্গ করেন। রাজদ্রোহমূলক কবিতা থাকায় ইংরেজ সরকার হীরালালকে পরে গ্রেপ্তার করেছিল। ওই মামলায় পরে রবীন্দ্রনাথকে সাক্ষ্য দিতে যেতে হয়েছিল আদালতে। উৎসর্গপত্রের জন্য এমন আজব ভোগান্তি সত্যিই বিরল। 

রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপিতে একই সঙ্গে দুটি বইয়ের উৎসর্গপত্রের মুসাবিদা, য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র ও য়ুরোপ যাত্রীর ডায়ারি
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপিতে একই সঙ্গে দুটি বইয়ের উৎসর্গপত্রের মুসাবিদা, য়ুরোপ প্রবাসীর পত্র ও য়ুরোপ যাত্রীর ডায়ারি

উৎসর্গপত্র নিয়ে নানা রকম মন–কষাকষি বা উদ্ভট কাণ্ড অবশ্য দুর্লক্ষ্য নয়। কখনো কখনো প্রকাশকের খামখেয়ালিতে বা লেখকের ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনে পাল্টে যায় উৎসর্গপত্র। ১৯৪৪ সালে প্রকাশিত জীবনানন্দ দাশের মহাপৃথিবী কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গিত হয়েছিল তাঁর দুই সতীর্থ কবির নামে: ‘প্রেমেন্দ্র মিত্র, সঞ্জয় ভট্টাচার্য প্রিয়বরেষু’। জীবনানন্দের মৃত্যুর পর সিগনেট প্রেস থেকে ১৯৬৯ সালে যখন এর নতুন সংস্করণ বের হলো, তখন কোন জাদুবলে উৎসর্গপত্র পাল্টে ‘শ্রীমতী মঞ্জুশ্রীকে বাবার আশীর্বাদ’ (জীবনানন্দের কন্যা) হয়ে গেল, তা কারও জানা নেই।

আবার বাংলাদেশের কবি শহীদ কাদরীর কিংবদন্তিতুল্য কাব্যগ্রন্থ তোমাকে অভিবাদন, প্রিয়তমা ১৯৭৪ সালে প্রথম প্রকাশ পাওয়ার সময় উৎসর্গিত হয়েছিল কবির প্রথমা স্ত্রী নাজমুন নেসা পিয়ারীর নামে। আর উৎসর্গপত্রটি যেন ছিল এক সংক্ষিপ্ত অথচ হৃদয়গ্রাহী প্রেমের কবিতা: ‘পিয়ারীকে/ গানগুলো যেন পোষা হরিণের পাল/ তোমার চরণচিহ্নের অভিসারী’। বহুদিন পর ২০১০ সালে বইটির নতুন এক সংস্করণ বের হলে দেখা গেল, ওই অনুপম উৎসর্গপত্রটি উধাও হয়েছে। তখন অবশ্য পিয়ারীর সঙ্গে কাদরীর অনেকদিন হলো বিচ্ছেদ ঘটেছে, কাজেই এমনিটাই হয়তো স্বাভাবিক ছিল। 

কবিতার বইয়ের উৎসর্গপত্রও মনে হয় কবিতার মতোই কৌতূহলোদ্দীপক। শক্তি চট্টোপাধ্যায় ধর্মে আছো, জিরাফেও আছো (১৯৬৫) কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করেছিলেন ‘আধুনিক কবিতার দুর্বোধ্য পাঠকের হাতে’—এ তো নিছক উৎসর্গপত্রের সীমা ছাড়িয়ে কবির অন্তর্গত তরতাজা উপলব্ধির প্রকাশ। আল মাহমুদের সোনালী কাবিন (১৯৭৩)-এর উৎসর্গপত্রে যখন তাঁর সতীর্থ তিন কবি শামসুর রাহমান, শহীদ কাদরী ও ফজল শাহাবুদ্দিনের নামের পরে পাই এই লাইন: ‘আমাদের এককালীন বন্ধুত্ব ও সাম্প্রতিক কাব্যহিংসা অমর হোক’, তখন বাংলাদেশের কবিতার জগতের এক খণ্ড যুগপৎ ভালোবাসা-ক্লেদমাখা ইতিহাসের ইঙ্গিতই যেন আমাদের সামনে হাজির হয়। অনেক পরে এ কবিতার বইয়ের যে সংস্করণ হয়েছে, সেখানে অবশ্য লাইনটি হাওয়া করে ফেলা হয়েছে। 

উইলিয়াম শেক্‌সপিয়ার, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও হ‌ুমায়ূন আহমেদ
উইলিয়াম শেক্‌সপিয়ার, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও হ‌ুমায়ূন আহমেদ

তবে বাংলা বইয়ের বাজারে সবচেয়ে বেশি চমক-জাগানিয়া উৎসর্গপত্রের রচয়িতা সম্ভবত প্রয়াত কথাকার হুমায়ূন আহমেদ। জনপ্রিয় লেখক হওয়ার ‘দোষের’ কারণে তাঁকে দুহাতে লিখতে হয়েছে আর সেসব বইয়ের প্রায় প্রতিটিরই উৎসর্গপত্রের মধ্যে রয়েছে নানা অভিনবত্ব ও তাঁর স্বভাবসিদ্ধ রসবোধের ছাপ। ফাউন্টেন পেন বইতে যেমন সাকিব আল হাসানের কাছে বিনীত কৌতূহলের সঙ্গে জানতে চেয়েছিলেন, ক্রিকেট দলে মোট ১১ জন খেলে কেন, ১২ জন কি হতে পারত না! আবার মিসির আলি, আপনি কোথায়? নামের বইতে সরাসরি লিখে দিয়েছিলেন, ‘কিছু লেখা আছে কাউকে উৎসর্গ করতে মন চায় না। এই লেখাটি সে রকম। কাজেই উৎসর্গপত্রে কেউ নেই।’

গোড়াতেই লিখেছি, উৎসর্গপত্র যেমন লেখকের ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য ও সাহিত্যরচনার গতিপ্রকৃতি ধরে রাখে, তেমনি তা সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতারও প্রকাশ ঘটায় বটে। সাহিত্যিক-সমাজে চলতে থাকা মল্লযুদ্ধ কিংবা গলাগলির রাজনীতিও খানিকটা বোধগম্য হতে পারে। কিন্তু আমরা কি ততটা তলিয়ে উৎসর্গপত্র পড়ে থাকি? যদি খুঁটিয়ে তা পড়ি, তাহলে ইদানীংকার লেখালেখির নানা জটিলতা ও লেখকদের মানসিকতার ইতি-নেতি বুঝতে কিঞ্চিৎ হলেও সুবিধাই হবে ধারণা করি। পাঠকেরা কী বলেন? 

সূত্র: প্যাট্রিসিয়া জি বার্নসের টেন্ডার, টাড্রি অ্যান্ড টাইমলেস বুক ডেডিকেশনস,
অনির্বাণ রায়ের উৎসর্গপত্র ও অণিমা মুখোপাধ্যায়ের যখন ছাপা বই ছিল না।