এক চিরকালীন নেতার জন্য গান

৯ অক্টোবর চিরবিপ্লবী চে গুয়েভারার মৃত্যুদিন। চের উদ্দেশে গাওয়া ‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’ নামে স্প্যানিশ ভাষার একটি গান তাঁর প্রয়াণের পর ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বময়। গানটি এখনো প্রেরণা জাগায় অজস্র মানুষকে। বিপ্লবী নেতার মৃত্যুদিনের প্রাক্কালে সেই গানের জন্মকথা এবং মানুষের কণ্ঠে কণ্ঠে এটি ছড়িয়ে যাওয়ার বৃত্তান্ত জানাচ্ছেন সংগীতশিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবু। সঙ্গে থাকল তাঁর অনূদিত ওই গানের মুক্ত বাংলা রূপান্তর। ৯ অক্টোবর মাহমুদুজ্জামান বাবুর গাওয়া এই গানের বাংলা সংস্করণ www.prothomalo.com–এ মুক্তি দেওয়া হবে।
এর্নেস্তো চে গুয়েভারা (১৪ জুন ১৯২৮-৯ অক্টোবর ১৯৬৭)। ছবি: সংগৃহীত
এর্নেস্তো চে গুয়েভারা (১৪ জুন ১৯২৮-৯ অক্টোবর ১৯৬৭)। ছবি: সংগৃহীত

বিপ্লবের চিরকালীন এবং অমর এক নেতা এর্নেস্তো চে গুয়েভারা (১৪ জুন ১৯২৮-৯ অক্টোবর ১৯৬৭)। জীবদ্দশায় তো বটেই, ১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর মৃত্যুর পর থেকে ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠছেন তারুণ্যের প্রতীক, বিপ্লবের ‘আইকন’। এই মহান নেতার মৃত্যুর পর বিভিন্ন দেশে তাঁকে নিয়ে লেখা হয়েছে অজস্র কবিতা ও গান। তবে চের উদ্দেশে গান লেখার ধারাটি শুরু হয়েছিল তাঁর জীবৎকালেই, খুব সম্ভবত ‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’-এই গানটির মাধ্যমে। স্প্যানিশ ভাষার গানটি চে গুয়েভারাকে নিয়ে রচিত গানের মধ্যে বোধ করি এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয়। কেবল স্প্যানিশ নয়, গানটি এখন গাওয়া হয় বিভিন্ন ভাষায়। আর চিরকালীন নেতার জন্য গাওয়া এ গানটি আজও যে আমাদের মধ্যে বিপ্লবের উদ্দীপনা জাগায় না, তা–ইবা বলি কীভাবে? 

কার্লোস ম্যানুয়েল পুয়েবলা
কার্লোস ম্যানুয়েল পুয়েবলা

স্প্যানিশ ভাষায় ‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’, ইংরেজিতে অনুবাদ করলে হবে ‘আন্টিল ফরএভার, কমান্ডার’, এবং বাংলায় তাকে ‘চিরকালের নেতা’ উচ্চারণ করলে চে গুয়েভারার মুখটিই চোখের সামনে ভেসে আসে সবার আগে। পাশাপাশি এই শব্দবন্ধের মধ্য দিয়ে চের বৈশ্বিক ব্যাপ্তটাও হয়তো উপলব্ধি হয়। নিজের জীবন ও কর্মের ভেতর দিয়ে তিনি প্রকৃতপক্ষেই হয়ে উঠেছেন ‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’।

‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’ নামের যে গানের গল্প বলার জন্য এ লেখার অবতারণা, সেই গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন এক গায়ক ও গীতিকবি-কার্লোস ম্যানুয়েল পুয়েবলা (১১ সেপ্টেম্বর ১৯১৭-১২ জুলাই ১৯৮৯)। বিপ্লবপূর্ব কিউবায় জন্ম নেওয়া এই গায়ক মাত্র একটি গানের ভেতর দিয়ে মহান চে গুয়েভারার নামের সঙ্গে কেমন করে নিজেকে জড়িয়ে নিলেন, সেটা বলার আগে কার্লোস পুয়েবলার আরেকটু পরিচয় দেওয়া যাক। পরিণত বয়সে গীতিকার, গিটারবাদক, গায়ক ও সুরকার হিসেবে খ্যাতিমান হয়ে উঠলেও তরুণ ও যুবক বয়সে বিচিত্র রকমের পেশায় যুক্ত ছিলেন কার্লোস—কখনো কাঠমিস্ত্রি, মেকানিক, ইক্ষুশ্রমিক, কখনোবা জুতা নির্মাণের কারিগর। শোষণ ও নিপীড়নের ফলে শ্রমিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা শরীরে ও মনে প্রধানত বাঁচেন ধুঁকে ধুঁকে। কিন্তু তরুণ্যের বাঁধন ছেঁড়া প্রহরগুলোতে সময়ের কার্লোস পুয়েবলার মন হঠাৎই ঝুঁকে পড়ল সংগীতের দিকে। গিটারের প্রতি ভালোবাসা থেকেই দ্রুত নিজেই শিখে নিলেন যন্ত্রটি বাজানোর কৌশল। যদিও পরবর্তীকালে তিনি শিক্ষা গ্রহণ করেছেন সংগীতের প্রীতিকর সংমিশ্রণ কৌশল ও সংগীততত্ত্ব বিষয়ে।

এই সময়েই ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে কিউবায় ঘটল বিপ্লব। ১৯৫৯ সালে বিপ্লবের পর ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে দেশ ও সমাজ পুনর্গঠনে চে গুয়েভারার ভূমিকা ছিল অনন্য ও অসাধারণ।  বিপ্লবকালীন তিনি গেরিলা দলে যুক্ত হয়েছিলেন চিকিৎসক হিসেবে। তবে অপরিমেয় সাহস, নেতৃত্বগুণ ও রণকৌশল তাঁকে নিয়ে আসে গেরিলা দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বে। এ সময় চে গুয়েভারা অভিষিক্ত হন প্রথম কমান্ড্যান্ট পদে। পরে বিপ্লবোত্তর কিউবায় এই চে-ই দায়িত্ব নিলেন শিল্পমন্ত্রীর এবং পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবেও।

কিউবাজুড়ে তখন চারপাশে নতুন দিনের তরঙ্গ, চারদিকেই খেলা করছে নব–উদ্যমী মানুষের প্রাণচাঞ্চল্য। এর মধ্যে চে সিদ্ধান্ত নিলেন, এবার আফ্রিকায় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কঙ্গোতে লড়াই শুরু করবেন তিনি। তারপর তাঁর গন্তব্য লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়া।

১৯৬৫ সালে বেশ কয়েকজন গেরিলা সহযোদ্ধা নিয়ে কিউবা থেকে কঙ্গোয় যাওয়ার সময়ে কিউবার জনসাধারণের জন্য একটি আবেগঘন ও প্রদীপ্ত বিদায়ী চিঠি লিখলেন চে। সেই চিঠি জনমানসে কী অভিঘাত তৈরি করেছিল, তার প্রত্যক্ষ ছবি ফুটে উঠল, কার্লোস পুয়েবলার ‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’ শিরোনামের গানে। কার্লোস পুয়েবলা গানটি নির্মাণ করেছিলেন চের লেখা বিদায়ী চিঠির প্রতিউত্তর হিসেবে। নেতার প্রতি একজন সাধারণ ও কৃতজ্ঞ কিউবার নাগরিকরূপে। তখনো চিরকালীন নেতা হয়ে ওঠেননি চে গুয়েভারা।

তবে কে জানত, কঙ্গোয় বিপ্লব আয়োজন করতে না পেরে চে ফিরে আসবেন হাভানায়, সেখান থেকে কিছুদিন পরে যাবেন বলিভিয়ায় এবং এখানেই শারীরিকভাবে খুন হবেন তিনি। তারপর হাভানা চুরুট খাওয়া এই মানুষটিই হয়ে উঠবেন বিপ্লবের চিরকালীন নেতা; আর তখন এ গানটি হয়ে উঠবে চের প্রতি সর্বজনীন প্রণতির প্রতীক?

কার্লোস পুয়েবলার এই গান বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ার কারণ কি শুধুই এর শিল্পশৈলীর অনন্যতা, নাকি বিষয়বস্তুর আন্তর্জাতিকতাবাদ? শিল্পশৈলী এই অর্থে যে কার্লোস যে ধারার গীতিকার ও শিল্পী, সেই ঘরানার একটা বিশিষ্টতা আছে। কিউবা বিপ্লবের পর ১৯৬৭-৬৮ সালের দিকে ‘ওল্ড ট্রোভা মুভমেন্ট’ নামে একটি সংগীত পরম্পরা দেশজুড়ে বিকশিত হতে থাকে। কিউবান সংগীতের এক জনপ্রিয় আঙ্গিক হলো ‘ট্রোভা’। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিভ্রমণশীল শিল্পীদের পরিচয় ছিল ‘ট্রোভা ডরস’ নামে। এসব শিল্পী বিপ্লব–পূর্ব কিউবার পুরোনো প্রদেশগুলো ভ্রমণ করতেন, যেমন সান্তিয়াগো দ্য কিউবা। ‘ট্রোভা’ গানের শিল্পীরা গান গেয়ে এবং গিটার বাজিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাঁরা লোকপ্রিয় পুরোনো গানের পাশাপাশি নিজেদের লেখা সমসাময়িক বিষয়নির্ভর গানও পরিবেশন করতেন। বিপ্লবের পর কিউবান জাতিসত্তার আত্মমর্যাদা, বিপ্লবী চেতনা ও সাম্রাজ্যবাদের পরাজয়কে বিষয় করে চারদিকে রচিত হচ্ছিল নিত্যনতুন গান। কার্লোস পুয়েবলা ছিলেন ‘ওল্ড ট্রোভা মুভমেন্ট’-এর একজন অগ্রবর্তী সদস্য।

‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’ গানের বিষয়বস্তু অবশ্যই আন্তর্জাতিকতাবাদের উপাদানে উজ্জ্বল। কেননা, গানটি আবর্তিত হয়েছে চে গুয়েভারা ও তাঁর বিপ্লবী জীবনবোধ নিয়ে। এখন চে জীবনপঞ্জিতে ফিরে তাকালে গানটিকে কেন আন্তর্জাতিকতাবাদের উপাদানে উজ্জ্বল, তা স্পষ্ট হবে।

‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’ গানের ভিডিওতে নাথালি কার্ডোন
‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’ গানের ভিডিওতে নাথালি কার্ডোন

চে গুয়েভারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন আর্জেন্টিনায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পাঠ শেষ করে পরিচিত হলেন চিকিৎসক হিসেবে। এরপর লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর আর্থসামাজিক ব্যবস্থা ও জনজীবন স্বচক্ষে দেখতে সবান্ধব বেরিয়ে পড়লেন মোটরসাইকেল নিয়ে। বলা যায়, সাম্রাজ্যবাদের দুঃশাসন, মনুষ্যত্বের অসম্মান, সীমাহীন দারিদ্র্য ও ক্ষুধা চেকে বিশ্ববিপ্লবী বা আন্তর্জাতিকতাবাদে রূপান্তরিত করেছিল।...‘উপলব্ধি করি, ধীরে ধীরে কীভাবে তাঁর স্বপ্ন এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা পরিবর্তিত হয়। বহুর যন্ত্রণায় তিনি উত্তরোত্তর সচেতন হয়ে ওঠেন এবং নিজেকে তাঁর অংশীদার করে নেন।’—এই কথাটি বলেছেন চে-এর মেয়ে আলেইদাগুয়েভারা, স্প্যানিশ ভাষায় প্রকাশিত মোটরসাইকেল ডায়েরির প্রাক্-কথনে। (অনুবাদ: অশেষ রায়)।

এই নেতার প্রথম বিপ্লব ছিল কিউবায়। তারপর আগেই বলা হয়েছে, তাঁর বিশ্ববিপ্লবী মন ও শরীর ছুটেছিল আফ্রিকার কঙ্গো ও লাতিন আমেরিকার বলিভিয়ায়। ‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’ নামকার্লোস পুয়েবলার গানটিতে যেমন পাওয়া যায় চের বিপ্লবী সত্তার স্বরূপ, তেমনি তাঁর সাহস, স্পর্ধা, মানবিকতা এবং কিউবা ত্যাগের বেদনা জড়াজড়ি করে আছে; রয়েছে এক শিল্পিত হাহাকার ও গভীর প্রত্যয়।

‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’ গীত হওয়ার কালে বা গানটি নির্মাণের সময়ে ঘুণাক্ষরেও কেউ কি ভেবেছিল, অচিরেই আত্মদানের মধ্য দিয়ে এমন চিরভাস্বর হয়ে উঠবেন চে? অথবা এই গানটিই চে গুয়েভারার ও বিপ্লবকে প্রতিধ্বনিময় করে তুলবে অযুত-নিযুত মনে ও কণ্ঠে! আর নির্মাতা কার্লোস পুয়েবলা হয়ে উঠবেন এক অমর স্রষ্টা? না, এমনভাবে কেউ ভাবে না, কিন্তু তা হলো।

বিশ্বব্যাপএ পর্যন্‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’ গানটিদুই শতাধিক সংস্করণ হয়েছে। কার্লোসের এই গানটি পাঁচ স্তবকের। প্রতিটি লাইন লিখিত হয়েছে অষ্টস্বর পঙ্‌ক্তি প্রকরণ অনুসরণ করে। বলা ভালো, কার্লোসের এই লেখনপদ্ধতি এসেছে কিউবা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের সনাতন সংগীত আঙ্গিকের হাত ধরে। গানের বিষয়বস্তু ও আঙ্গিক মিলেমিশে ‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’ হয়ে উঠেছে সংগ্রাম ও ভালোবাসার অর্ঘ্য। মানবতার জয়ধ্বনির জন্য যাঁরা স্বপ্ন দেখেন, যাঁরা দুর্দিন বিনাশী প্রত্যয় ধারণ করেন চেতনায়, এ রকম অসংখ্য কণ্ঠ পুনরুচ্চারণ করেছে এই গান। গানটি ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে বুয়েনা ভিস্তা সোশ্যাল ক্লাবের শিল্পীদের রয়েছে বিশাল অবদান। এই দলের ইব্রাহিম ফেরারের কণ্ঠে গানটি পেয়েছে গণসংগীতের দ্যোতনা।

১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর। বলিভিয়ায় গেরিলাযুদ্ধে আহত ও বন্দী চে গুয়েভারাকে গুলি করে হত্যা করল ফ্যাসিস্ট সেনারা। আর ওই ১৯৬৭ সালের ২৩ মার্চ ফ্রান্সে জন্ম নিলেন নাথালি কার্ডোন। ‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’ তাঁর কণ্ঠে গীত হয় ১৯৯৯ সালে। গানটির মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুসন্তান কোলে নিয়ে বন্দুক হাতে গুলি করতে করতে নাথালি পৌঁছে গেছেন বলিভিয়ার সেই গ্রাম লা হিগুয়েরার ছোট্ট স্কুলঘরে, যেখানে খুন হয়েছিলেন চে গুয়েভারা। এই গান গীত হয়েছে অস্কার চাভেজ, সোলেদাদ ব্রাভো, রবার্ট উয়েট, নোমাডি, সিলভিও রড্রিগেজসহ স্প্যানিশ ভাষা এবং ভিন্ন ভিন্ন ভাষার অসংখ্য শিল্পীর পরিবেশনায়।

২০১৫ সালে আমি ‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তেগানটি বাংলায় মুক্ত রূপান্তর করি। এটি অডিওতে ধারণ করা হয়েছে এ বছরের জুলাই মাসে। মূল গানে কার্লোস পুয়েবলা ফিদেল কাস্ত্রোর নাম উচ্চারণ করেছেন এবং চে তখন জীবিত। আর আমার ভাবানুবাদের সময় সেই তিনি—চে গুয়েভারা—বিশ্বব্যাপী অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ও লড়াকু এক নাম, এক জীবন্ত অবয়ব। মুক্ত রূপান্তরের সময় আমি সেই প্রতিধ্বনির অনুরণন তুলতে চেষ্টা করেছি, একই সঙ্গে বাংলা ভাষার গান ও গীতিকবিতার গীতল চলনও অনুসরণ করতে চেয়েছি।

স্প্যানিশ ভাষায় চের প্রিয় উদ্ধৃতি ছিল, ‘আস্তা লা ভিকতোরিয়া সিয়েম্প্রে’। এর বাংলা ভাবানুবাদে অন্য এক গানে আমরা গেয়েছিলাম, ‘বিজয় পথে যাও অনাদিকাল’। ‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’র রচয়িতা কার্লোস পুয়েবলার সমাধি ফলকে উৎকীর্ণ হয়েছে এই বাক্য, ‘এই আমি সেই আমি, একজন সামান্য ট্রোভাডোর, যে গান গাইত।’

চে গুয়েভারা মানে অন্য জীবন। কার্লোস পুয়েবলা মানে অন্য গান। আর আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে মানে চিরকালীন নেতা, ধ্রুবতারা, পথপ্রদর্শক। 

সূত্র: চে গুয়েভারার মোটরসাইকেল ডায়েরি (স্প্যানিশ থেকে অনুবাদ: অশেষ রায়); উইকিপিডিয়ার ‘কার্লোস ম্যানুয়েল পুয়েবলা’ ও ‘আস্তা সিয়েম্প্রে, কমানদান্তে’ অংশ এবং ইউটিউবের অল ভার্সনস অব আস্তা সিয়েম্প্রে কমানদান্তে।