রবীন্দ্রজয়ন্তী আজ

আজ ২৫ বৈশাখ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী। এবার এক ভিন্ন পরিস্থিতিতে, ভিন্ন পরিবেশে তাঁকে স্মরণ করবে মানুষ।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বহুদিন ধরেই জনসমাগম নিষিদ্ধ। তাই প্রতিবছর যেভাবে আয়োজন করে উদ্‌যাপন করা হতো বিশ্বকবির জন্মদিন, এ বছর সেভাবে হচ্ছে না। তাই বলে থেমে থাকবে না জন্মদিনের উৎসব। অনলাইনে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্‌যাপন করা হবে তাঁর জন্মোৎসব।

রবীন্দ্রনাথের রচনাসম্ভার বিপুল, বৈচিত্র্যময়। সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই ছিল তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। বিস্ময়কর সৃজনী প্রতিভা দিয়ে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা সাহিত্যকে। তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, নাটক, সংগীত, শিশুতোষ রচনা বাংলা সাহিত্যের অমর সংযোজন। স্বকীয় নান্দনিক ভাবনায় তিনি সমৃদ্ধ করেছেন চিত্রকলাকেও। তাঁর লেখা গান আমাদের জাতীয় সংগীত। বাঙালির মহান মুক্তিসংগ্রামে রবীন্দ্রনাথের গান জুগিয়েছে প্রেরণা।

করোনা বাস্তবতায় এবার রবীন্দ্রজয়ন্তীও অনলাইনকেন্দ্রিক। আজ সকাল ১০টায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিটিভিতে সম্প্রচারিত হবে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান। এ ছাড়া সকাল সাড়ে নয়টায় ইউটিউবের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হবে ছায়ানটের অনুষ্ঠান। সকাল ১০টায় ফেসবুকের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হবে উদীচীর রবীন্দ্রজয়ন্তীর আয়োজন।

রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির চেতনা ও মননের প্রধান প্রতিভূ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙালির অহংকার। করোনাভাইরাসের করাল থাবা থেকে মুক্ত হওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে বলেছেন, ‘নাই নাই ভয়, হবে হবে জয়।’