তামিম ইয়ামীনের কবিতা

>
তামিম ইয়ামীন
তামিম ইয়ামীন

তামিম ইয়ামীনের কবিতা সহজ, পঙ্‌ক্তিতে পঙ্‌ক্তিতে যেন গল্প বলতে চান। ছন্দের প্রতি অনুরক্ত হলেও এর নিগড়াবদ্ধ হতে রাজি নন; বরং ছন্দে ও স্বচ্ছন্দে কবিতায় তিনি ব্যক্ত করতে চান মর্মের অনুভব। ১৯৮৩ সালে শেরপুরে জন্ম নেওয়া এই কবি বর্তমানে জামালপুরের মেলান্দহের বাসিন্দা। পেশায় সরকারি কর্মকর্তা। এখন পর্যন্ত তাঁর একটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে।

নিহত থাকার অধিকার

কেড়ে নিতে পার ভাত-রুটি-কথা
যত নীরবতা, জমা আছে এই বুকে।

আমরা তো মরি, মারি ও মড়কে
হঠাৎ সড়কে
ফুটপাতে ট্রাক ব্রেক ফেল করে

কিংবা নেহাত একা, এত এ কা
শেষ রাতে, দেখা
গেল, শুয়ে আছি লাশকাটা ঘরে!

সব নিতে পার শুধু পারবে না
জন্মের দামে কেনা প্রিয় মৃত্যুকে।

জুয়া
বহু দিন আগের কথা।
তবু হয়তো কারও কারও মনে আছে
‘টাইটানিক’ ছবির
শুরুর দিকের সেই দৃশ্যটা।

জুয়ার টেবিলে বসে
কতিপয় ভ্যাগাবন্ড
খেলছিল শেষটুকু বাজি রেখে।

আমার ছিল না কিছু।

এ ছাড়াও জয়ের ব্যাপারে এত অ্যাডামেন্ট
ছিলাম যে ধুর আর কীবা হবে
বড় জোর ভাসব না জলে।

তাই বলে খেলব না!

জীবন আর কদিনের, এই ভেবে
ধরলাম শেষ সম্বলটুকু, যা হওয়ার হয় হোক।

জুয়ার টেবিলে হেরে টিকিট খোয়ানো
আমি সেই লোক।

এই মেঘ–রৌদ্র–ছায়া
কেউ কেউ এত করিৎকর্মা যে ঝুম বৃষ্টির ভেতর দিয়ে হেঁটে গিয়েও নির্ভেজাল, শুষ্ক থাকতে পারে। কোনো এক আশ্চর্য জাদুবলে তারা শিখে নিয়েছে বৃষ্টির ফাঁক গলে হাঁটতে পারার সমূহ কলাকৌশল।

কিছু লোক আবার দূরদর্শী খুব। মেঘেদের গতিবিধি জানে। ছাতা বহন করতে হয় না তাদের। প্রচণ্ড রোদের ভেতরেও হেঁটে হেঁটে বহু দূরদেশে যায়। মেঘেদের ছায়াতলে থেকে থেকে।

কেউ আবার এতই সাবধানী যে চাঁদের আলোতেও ছাতা মাথায় নিয়ে বের হয়। জোছনা, ভালো। তা সে যতই ভালো হোক, সূর্যের দাহ দিয়েই তো গড়া। না জানি কবে কোথায় কখন তেজ বেড়ে যায় তার।

অন্য আলোতে লেখা পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]