পয়সা

একটা সময় ছিল যখন পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা ইত্যাদির প্রচলন ছিল। এগুলো এখন স্মৃতির জাদুঘরে স্থান পেয়েছে। পঁচিশ পয়সা, পঞ্চাশ পয়সারও একই অবস্থা। দেখা যায় না বললেই চলে। বাকি রইল এক টাকা ও দুই টাকার কয়েন; যা লেনদেনে বহু ঘাম ঝরাতে হয় যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে। ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা কেউই এটা নিতে আগ্রহী নন। অপরদিকে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এটা নিয়ে গেলে তো উপায় নেই; সেখানে পাঁচ টাকার কয়েনই তাঁদের কাছে ঝামেলার বলে মনে হয়। দোকানদারকে পাঁচ টাকার কয়েকটি কয়েন দিলেই তাৎক্ষণিক তাঁর সরল উক্তি, ‘এত ভাংতি রাখব কোথায়?’ অগত্যা এই কয়েন পকেটে নিয়ে ক্রেতাকে ঘুরতে হয়। এই বিড়ম্বনার দৃশ্য সর্বত্রই কমবেশি দেখা যায়।
কয়েনের যাতে গুরুত্ব আরও বাড়ে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র এর লেনদেন নিয়ে যাতে বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়, সেটা কর্তৃপক্ষের দেখা প্রয়োজন। সমস্যার সমাধানে বিকল্প কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
সঞ্জয় কুমার ভৌমিক
সহকারী শিক্ষক, শ্রীমঙ্গল।