আজকাল অনেকের বড় উপন্যাস পড়ার ধৈর্য কমে গেছে। আবার কারও কারও হাতে সময় কম। এ ধরনের পাঠকের জন্য ভালো উপায় হলো ছোট আকারের গল্প বা নভেলা। যেগুলো এক বসাতেই শেষ করা যায়। এই ছোট বইগুলো ব্যস্ত জীবনে হতে পারে দারুণ সঙ্গী।
২০০ পৃষ্ঠার কম এই বইগুলো কেবল সময় কম নেবে না, বরং গুডরিডস রিডিং চ্যালেঞ্জ পূরণেও সাহায্য করবে। কোনো এক ছুটির দিনে সহজেই পড়ে শেষ করা যাবে এই পাঁচটি বই।
ক্লেয়ার কিগানের ‘স্মল থিংস লাইক দিজ’
১৯৮০ দশকের আয়ারল্যান্ডের গল্প। একজন বাবাকে কেন্দ্র করে কাহিনি। তিনি কয়লা ও কাঠের ব্যবসা করেন। বড়দিনের আগে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। একদিন স্থানীয় গির্জায় কয়লার ঘরে এক অনাহারী তরুণীর সন্ধান পান। এরপর সেখানকার নানদের আচরণে তাঁর মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। তাঁর সন্দেহ, সেখানে আরও অনেকে আছেন, যাঁরা গির্জার মধ্যে নির্যাতিত। ১২৮ পৃষ্ঠায় ক্লেয়ার কিগান মানবিকতার মর্মস্পর্শী এক ছবি এঁকেছেন।
ভিনসেঞ্জো ল্যাট্রোনিকোর ‘পারফেকশন’
ইতালীয় লেখক ভিনসেঞ্জো ল্যাট্রোনিকোর হাস্যরসাত্মক গল্পে দেখা যায়, বার্লিনে থাকা দম্পতি আনা ও টমকে। তাঁদের বিলাসী জীবনযাপন। অথচ কোথাও যেন ক্লান্তি লুকিয়ে আছে। অর্থ, সৌন্দর্য, সাফল্য সবই আছে, কিন্তু সুখ কোথায়? ১২০ পৃষ্ঠার বইটিতে আছে আধুনিক শহুরে জীবনের তীক্ষ্ণ সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ।
সাউ ইচিকাওয়ার ‘হাঞ্চব্যাক’
গল্পের প্রধান চরিত্র শাকা। এই তরুণী কঠিন অসুখে আক্রান্ত। তাই ধনী পরিবারের সন্তান হলেও কেয়ারসেন্টারে সীমাবদ্ধ জীবন। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। কেবল অনলাইনে ডিগ্রি নেওয়া ও বেনামি ইরোটিক গল্প লেখা তাঁর একমাত্র সঙ্গী। এক পুরুষ কেয়ারটেকার তাঁর এই গোপন পরিচয় আবিষ্কার করেন, তখন গল্প ঘুরে যায়। ১১২ পৃষ্ঠার বইটি গভীর, সাহসী ও আবেগময় এক উপন্যাস।
নাতাশা ব্রাউনের ‘ইউনিভার্সালিটি’
১৫৬ পৃষ্ঠার এই ছোট উপন্যাসের শুরু হয় সাংবাদিক হান্নাকে দিয়ে। তিনি ইয়র্কশায়ারের খামারে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর ঘটনার অনুসন্ধান করেন। প্রথম অংশ রহস্যময়। দ্বিতীয় অংশ প্রশ্ন তোলে, সত্য আসলে কী?
দেবোরা লেভির ‘দ্য কস্ট অব লিভিং’
বিবাহবিচ্ছেদের পর দুই মেয়েকে নিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করা এক নারীর আত্মচিন্তা, সংগ্রাম ও স্বাধীনতার গল্প। ৫০ বছর বয়সে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু। সেখানে তিনি প্রশ্ন তোলেন, একজন নারী হিসেবে কাজ, পরিবার ও স্বাধীনতার ভারসাম্য আসলে কীভাবে বজায় রাখা সম্ভব?
সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
• গ্রন্থনা: রবিউল কমল