স্মরণে রাখা সাহিত্যের বই

এ বছর বেরোনো কয়েকটি সৃজনশীল বইয়ের প্রচ্ছদ

সৃজনশীলতা বিষয়টাই এমন, যে শিল্পকর্ম যত বেশি দিন ধরে টিকে থাকে, সেটি তত মহৎ বলে স্বীকৃতি পায়। সে জন্য নিজের লেখা বইটি যেন যুগ যুগ ধরে পাঠকের হাতবদল হয়, স্বাভাবিকভাবে সেই প্রত্যাশা থাকে লেখক–সাহিত্যিকদের। এভাবে টিকে থাকতে থাকতে কোনো কোনো বই পায় চিরায়তের মর্যাদা। এসবের প্রভাবেই হয়তো বছরের শেষে আমরা হিসাব করতে বসি, এ বছর কী কী নতুন বই এল মনে রাখার মতো। স্বভাবতই ২০২২ সালও এই প্রত্যাশার বাইরে নয়।

ব্যক্তি লেখক-কবির তৃতীয় একটা চোখ থাকে। আর থাকে জীবনের অপার্থিব উপহার কল্পনাশক্তি। লেখায় জীবন ও জগতের নানা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে কল্পনার আশ্রয়ে অপার্থিব জগৎ সৃষ্টিতে প্রয়াসী হন তিনি। আর এর মধ্য দিয়ে যে নতুন ও অদেখা জগতের সৃষ্টি হয়, তাকে আমরা ‘সৃজনশীল সাহিত্য’ বলতে পারি এবং এ ধরনের বইগুলোকে বলা যায় সৃজনশীল বই। এরও আবার রয়েছে নানা শাখা। এ শাখার অন্তর্গত গল্প, কবিতা, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনি ও অনুবাদের ক্ষেত্রে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে যেসব বই প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো নিয়েই এই আলোচনা। লেখা দীর্ঘ হয়ে যাওয়ায় সাহিত্য পত্রিকা, সংকলন, সমগ্র বা নির্বাচিত শিরোনামের বইগুলো এ আলোচনার বাইরে রাখা হয়েছে।

কথাসাহিত্য

গত বছর মহামারি করোনার স্থবিরতার মধ্যে আমরা হারিয়েছি বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনের অনেক শক্তিমান লেখককে। এমনই একজন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। গল্প-উপন্যাসের বিষয়বস্তু ও চরিত্র চিত্রণের মধ্য দিয়ে নতুন এক জগৎ সৃষ্টির ইশারা দিয়ে যান এই মগ্ন কথাশিল্পী, তাঁর সর্বশেষ উপন্যাস ​তরলাবালা এর অন্যতম। ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ থেকে বইটি প্রকাশিত হয়েছে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। প্রায় এক যুগ আগে উপন্যাসটি লেখায় হাত দেন হাসান আজিজুল হক। তাঁর ইচ্ছা ছিল, উপন্যাসটির দ্বিতীয় পর্ব লিখবেন। কিন্তু এর আগেই গেল বছর জীবনাবসান ঘটে তাঁর। আখ্যানধর্মী ছোট কলেবরের এ উপন্যাসে ব্যক্ত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিদারাবাদ গ্রামের সংগ্রামী এক নারীর জীবন, যা কখনো তরঙ্গহীন, কখনো আবার বিক্ষুব্ধ তরঙ্গে পরিপূর্ণ।

কোনো জানা ঘটনাকে ভিন্ন এক মাত্রায় নিয়ে যেতে ঔপন্যাসিক শাহীন আখতারের জুড়ি নেই। তাঁর লেখায় টের পাওয়া যায়, রাজনীতি ও সময়ের কাছে ক্রমাগত প্রশ্ন জমা হচ্ছে। আর এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে প্রতিটি আখ্যানেই তিনি খুঁড়ে দেখেন জীবন ও সময়কে। তাঁর নতুন উপন্যাস ​এক শ এক রাতে গল্পও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত এ উপন্যাসের পটভূমি মে ফ্লাওয়ার নামের একটি রেস্তোরাঁয় আত্মঘাতী হামলার পরপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রাণ হারানো শাহরিয়ার ও তার সঙ্গীদের নিয়ে। বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া কতিপয় তরুণ, যারা জড়িয়ে যায় উগ্রবাদে, টিভি ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে যাদের নিহত হওয়ার সংবাদ পায় স্বজনেরা। বিপথগামী এসব তরুণের পরিবার ও স্বজনদের হতবুদ্ধিকর হৃদয় এ বইয়ে খুঁড়ে দেখতে চেয়েছেন ঔপন্যাসিক। উগ্রবাদের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক আছে, নাকি এর মোড়কে লুকিয়ে থাকে নানা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য—এসব প্রশ্নও উপন্যাসসূত্রে উঠে এসেছে পাঠকের মনে।

পাঠককে অস্বস্তিতে ফেলে তাঁর চিন্তাকে বাজিয়ে দেখার ফাঁদ পাতেন ওয়াসি আহমেদ। এ বছর প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গল্পের বই শিশিযাপন। কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত এ বইয়ের গল্পগুলো বলার ধরন শ্লেষাত্মক। এসব গল্পে চারপাশের জীবন ও জগৎকে দেখা ও ব্যঙ্গ করার ছলে লেখক যেন ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছেন চরিত্রগুলোর ভাগ্যের দান।

এসেছে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের গল্পগ্রন্থ দেখা অদেখার গল্প। নির্ভার গদ্যের পাশাপাশি তাঁর এ বইয়ের গল্পগুলো বিষয়ে ব্যতিক্রমী। অন্যপ্রকাশ থেকে বেরোনো এ বইয়ে আধুনিক জীবনের বিচ্ছিন্নতা ও নিঃসঙ্গতা বিচিত্র মাত্রায় প্রকাশিত হয়েছে।

ভ্রমণলেখক মঈনুস সুলতানের ইথিওপিয়ার দানাকিল ডিপ্রেশনে (প্রথমা প্রকাশন) বইয়ে উঠে এসেছে দানাকিল ডিপ্রেশন নামের ইথিওপিয়ার দুর্গম একটি জায়গার মানুষের জীবনযাত্রা। এ বইয়ের আগ্নেয়গিরির লাভালিপ্ত নিসর্গের বর্ণনা কল্পভ্রমণে যুক্ত করে পাঠককে। এবারের বইমেলায় ঐতিহ্য থেকে বের হয়েছে বুলবুল সরওয়ার ভ্রমণগ্রন্থ স্বপ্নভ্রমণ জেরুসালেম। ভ্রমণকাহিনি মানে শুধুই ভ্রমণবৃত্তান্ত নয়। পাঠক চান, একই সঙ্গে তাতে ফুটে উঠবে সেই অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, মানুষের জীবনযাত্রার স্বতন্ত্র দিক, যা ওই ভূখণ্ডকে আলাদা করেছে। এ ক্ষেত্রে জেরুসালেম দাগ রেখে যাওয়ার মতো বই।

কথাপুষ্প: প্রজ্ঞাবানদের বলা গল্প বইটি ১৮১টি গল্প দিয়ে সাজানো। রায়হান রাইনের এই বইয়ের প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন। স্বভাবের দিক থেকে গল্পগুলো জেন গল্পের সমগোত্রীয়। এতে বুদ্ধকে নিয়ে বলা গল্প যেমন আছে, তেমনি আছে মওলানা রুমি, রাবেয়া বসরি, খাজা মুহাম্মদ বাকি বিল্লাহ, মহিদাস ঐতরেয়র গল্পসহ বিভিন্ন ঋষি, সাধু, সন্ন্যাসী ও ব্রাহ্মণকে নিয়ে গল্প। এসব গল্পে তাঁদের ভাব, সাধনা ও জীবনদর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে।

মাসরুর আরেফিনের উপন্যাস ​আড়িয়াল খাঁ বেরিয়েছে এ বছর। কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত এ উপন্যাস শুরু হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ড–পরবর্তী সন্ধ্যায় বরিশাল শহরের ভাটিখানার ১৩ বছরের কিশোর জাহেদের বাবার সঙ্গে আড়িয়াল খাঁ নদ দিয়ে যাওয়ার বর্ণনা দিয়ে। এরপর নানা ঘটনাপ্রবাহে গল্পটি শিশু–যৌন নিপীড়ন, সাম্প্রদায়িকতার পরম্পরায় একধরনের আশা-নিরাশার দোলাচলে নিয়ে যায় পাঠককে। শেষাবধি এখানে সাহিত্যের শ্লীলতা-অশ্লীলতার ভেদরেখা মুছে দেন ঔপন্যাসিক।

আফসানা বেগমের গল্পগ্রন্থ মুখোশের আড়ালে (কথাপ্রকাশ)। ভাষার সারল্যে এ বইয়ের গল্পগুলোর কাহিনি সাবলীল ও স্বতঃস্ফূর্ত  হয়ে ধরা দিয়েছে। ব্যস্ত শহরে আড়ালে পড়ে থাকে যে জীবনের গল্প, আফসানা বেগমের ভাষার বিস্তারে তা হয়ে ওঠে সংবেদী। সমাজবাস্তবতা ও রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে দুমড়ে যাওয়া জীবনের ছোট ছোট আনন্দও পাঠককে উদ্বেলিত করে।

এ বছর আরও প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কথাসাহিত্যের বইগুলো হলো, ইমদাদুল হক মিলনের গল্পগ্রন্থ অচিন ফুলের গন্ধ (অনন্যা), সেলিনা হোসেনের গল্পের বই মানুষের ডেরায় স্বপ্নের খুঁটি (স্বপ্ন ৭১ প্রকাশন), হরিশংকর জলদাসের উপন্যাস দুর্যোধন (কথাপ্রকাশ), আন্দালিব রাশদীর উপন্যাস প্রেম ও প্রতিদ্বন্দ্বী (প্রথমা), মোহিত কামালের উপন্যাস ডাঙায় ডুবোজীবন (প্রথমা), বিশ্বজিৎ চৌধুরীর উপন্যাস খুন ও আনন্দকুসুম (প্রথমা), পারভেজ হোসেনের উপন্যাস সুবর্ণপুরাণ (সংবেদ), ফয়জুল ইসলামের গল্পগ্রন্থ ঘুমতৃষ্ণা (কথাপ্রকাশ), শিবব্রত বর্মনের গল্পের বই সুরাইয়া (বাতিঘর), প্রশান্ত মৃধার উপন্যাস বাঁকা জলের খেলা (কথাপ্রকাশ), রাশিদা সুলতানার উপন্যাস শূন্যমার্গে (পাঠক সমাবেশ), স্বকৃত নোমানের উপন্যাস মহুয়ার ঘ্রাণ (বিদ্যাপ্রকাশ), উম্মে ফারহানার গল্পের বই ফওজিয়ার আম্মা আর অন্যরা (ঐতিহ্য), মাসউদ আহমাদের গল্পগ্রন্থ জনৈক কবির স্মরণসভা (মাওলা ব্রাদার্স), আলভী আহমেদের গল্পের বই ব্লাইন্ড স্পট (বৈভব), রাসেল রায়হানের উপন্যাস আরও গভীরে (জ্ঞানকোষ প্রকাশনী) প্রভৃতি।

কবিতা

কথাসাহিত্যের পাশাপাশি ২০২২ সালে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে, যা কাব্যমোদী পাঠকের মনোযোগ পেয়েছে। যেমন আলতাফ হোসেনের কাব্যগ্রন্থ আবার আগের দিন এল। ঐতিহ্য থেকে বেরোনো এ কাব্যগ্রন্থে পারিপার্শ্বিক জীবনের প্রায় না দেখা মুহূর্তগুলো উপজীব্য হয়ে উঠেছে ভিন্ন স্বর ও উপলব্ধিতে।

এসেছে কবি মাসুদ খানের নতুন কাব্যগ্রন্থ দুঃস্বপ্নের মধ্যপর্ব। আশির দশকের এই কবি প্রতিটি বইয়েই নতুন ভাষা ও বিষয়ের সন্ধানী। চৈতন্য থেকে প্রকাশিত তাঁর বর্তমান বইটির কবিতাগুলোয় সময়, সম্পর্ক, মৃত্যুপরবর্তী অসীমতা এবং জীবনের অতীত-বর্তমান ধাঁধা হয়ে উঠেছে। পেয়েছে দার্শনিক উপলব্ধিও।

আরও যেসব কাব্যগ্রন্থ এ বছর পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তার মধ্যে কয়েকটির নাম উল্লেখ করা যাক: মুহম্মদ নূরুল হুদার আমার মাতৃচুম্বনের আদি স্বর (আনন প্রকাশন), আসাদ মান্নানের হাওরের পাখি ও অন্যান্য (জিনিয়াস পাবলিকেশনস), সরকার আমিনের বিবাহিত প্রেমের কবিতা (বৈভব), আহমেদ মুনিরের বাঘারুর সঙ্গে আলাপ (চন্দ্রবিন্দু), মাহবুব মোর্শেদের অপ্রকাশিত জীবনানন্দ (আদর্শ), মাহবুব আজীজের সম্ভব যতদূর (মাওলা ব্রাদার্স), মুজিব মেহদীর একার সন্ন্যাস (ঐতিহ্য), সোহেল হাসান গালিবের চৌষট্টি পাখুড়ি (আদর্শ), জুয়েল মোস্তাফিজের আইসিইউ (বাতিঘর), পিয়াস মজিদের এইসব মকারি (ঐতিহ্য), হিজল জোবায়েরের জলপাই পাতার নিশান (বাতিঘর), হাসান রোবায়েতের মুসলমানের ছেলে (ঐতিহ্য), তানিম কবিরের বৈরাগ্যে নৈরাজ্যে (ঐতিহ্য), রওশন আরা মুক্তার পিতরি প্রীতিমাপন্নে (আদর্শ), তানিম ইয়ামীনের হাওয়া’র এ ঘরখানি (ঐতিহ্য), মোস্তফা হামেদীর ঋতুরহস্যের ধারে (ঐতিহ্য), রোজেন হাসানের বিষুব রাত্রির দেরাজ (বৈতরণী), বায়েজিদ বোস্তামীর আমি যে মরি না তাই (বৈভব), রুম্মানা জান্নাতের ‘মিস করি’ সিনট্যাক্সের বাইরে, তোমাকে (বৈভব), আবির আবরাজের হাওয়া গুমসুম, ফুটো না কুসুম (বৈভব)।

এসব কাব্যগ্রন্থের বাইরে আরও দু–একটি বই এবার পাঠকপ্রিয় হয়েছে। মারজুক রাসেলের ​হাওয়া দেখি, বাতাস খাই তাঁর ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গীতিকার ও অভিনেতা হিসেবে তাঁর জনপ্রিয়তা এ ক্ষেত্রে প্রভাবক হয়েছে বলে মনে করা হয়। বইটি প্রকাশিত হয়েছে উপকথা প্রকাশন থেকে। একইভাবে কিংবদন্তি পাবলিকেশন থেকে বের হওয়া কবি ও ব্যান্ড সংগীতশিল্পী প্রবর রিপনের কবিতার বই গোধূলি ক্যাবারেও পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।

অনুবাদ

সৈয়দ শামসুল হক আমাদের ছেড়ে চলে গেছে ছয় বছর হলো। এ বছরের শেষ দিকে ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বেশ কয়েকটি অনুবাদগ্রন্থ। বিবিসিতে কাজ করার সময় এগুলো অনুবাদ করেছিলেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে হোমারের অডিসি, টেড হিউজের দ্য কামিং অব দ্য কিংস, জেফ্রি চসারের ক্যান্টারবেরি টেল্​স, টমাস হার্ডির টেস অব দ্য ডার্বেভেল এবং জন বানিয়ানের পিলগ্রিমস প্রোগ্রেস। 

আরও কিছু আলোচিত অনুবাদগ্রন্থ হলো, খালিকুজ্জামান ইলিয়াস অনূদিত নিকোস কাজানজাকিসের জোরবা দ্য গ্রিক (কথাপ্রকাশ), জাভেদ হুসেনের অনুবাদে ​মওলানা রুমির কবিতা (প্রথমা), আনিসুজ জামানের অনুবাদে হুয়ান কার্লোস ওনেত্তির উপন্যাস কুয়ো (বালিহাঁস প্রকাশনী), আফসানা বেগমের অনুবাদে উইলিয়াম ফকনারের উপন্যাস অ্যাজ আই লে ডাইং (কথাপ্রকাশ), নুসরৎ নওরিনের অনুবাদে জে ডি স্যালিনজারের উপন্যাস দ্য ক্যাচার ইন দ্য রাই (বাতিঘর), আলভী আহমেদের অনুবাদে হারুকি মুরাকামির গল্পসংকলন কনফেশনস অব আ শিনাগাওয়া মাংকি (বাতিঘর), তুহিন খানের অনুবাদে ইতালো কালভিনোর উপন্যাস গায়েবি শহর (বৈভব)।

বাংলা একাডেমির দেওয়া তথ্যমতে, এ বছরের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ৩ হাজার ৪১৬টি নতুন বই। এর মধ্যে কিছু বই নিয়ে কথা হলো। ভবিষ্যৎই বলবে, এর মধ্যে বা এর বাইরে এ বছর প্রকাশিত কোন কোন বই নিজগুণে পাঠকের মনে জায়গা করে নেবে।