আরব–ইহুদি সমস্যা নিয়ে যা বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ

ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের বহু আগে জ্যুইশ স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় আরব–ইহুদি সমস্যা নিয়ে এই সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেখানে সমস্যার সমাধানের জন্য বেশ কিছু অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ কথা বলেছিলেন তিনি।

দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলাছবি: এএফপি, ১৫ অক্টোবর

আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে তিনি জায়নবাদী কি না? ঠাকুর উত্তর দিলেন, ‘আমি সম্মান করি জায়নবাদী আদর্শকে। যাঁরা এর জন্য কাজ করেন, প্রশংসা করি তাঁদের নিঃস্বার্থ অবস্থানকে। যতটা সম্ভব নিবিড়ভাবে অনুসরণ করেছি আপনাদের আদর্শকে বাস্তবে রূপান্তরের স্থির ও অবিচ্ছিন্ন অগ্রগতি। আপনাদের অগ্রগতি অসাধারণ। তবে এখন আপনাদের রাজনৈতিক দীক্ষা আপনাদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে এক অন্ধ গলিতে, বিষয়হীন এক পথে। এমনকি ইংল্যান্ডও কোনো রকম আরব-ইহুদি অংশীদারত্ব দাঁড় করাতে পারবে না। আরব-ইহুদি সম্প্রীতি অর্জন করতে হলে সেটা ফিলিস্তিনেই করতে হবে।’

প্রশ্ন করা হলো, ‘কী করে এই সম্প্রীতি অর্জন করা যাবে?’

‘আমি রাষ্ট্রনায়ক নই, আপনার প্রশ্নের উত্তর জানার ভানও করি না।’ ক্লান্ত হয়ে পাল্টা জবাব দিলেন কবি। বললেন, ‘আমি আরবদের জানি এবং বিশ্বাস করি যে ইহুদিদেরও চিনি। আর এ কারণে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করি। ইহুদিরা পুরোনো জাতি। অনেক নিপীড়ন–নির্যাতন তারা সহ্য করেছে। তবু তারা নিজেদের পরিচয় হারাতে রাজি হয়নি। ইহুদিদের শক্তি নিহিত আছে তাদের সংস্কৃতি ও ধর্মের মধ্যে। আপনাদের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য সময়ের সঙ্গে আরও শক্তিশালী হয়। একে আত্তীকরণ করা বা শুষে ফেলা সম্ভব নয়। আর আরবরাও সহনশীল জাতি। তাদের ধর্ম ও সংস্কৃতি ইহুদিদের মতো একই ছাঁচ থেকে এসেছে। আধ্যাত্মিকভাবে আরবরা ইহুদিদের কাছ থেকে অনেক কিছু নিয়েছে। মৌলিকভাবে দেখলে আপনারা আর ওরা একই পরিবার—হ্যাঁ, একটা মহান পরিবার। পারিবারিক ঝগড়া সব সময় তীব্র হয়’, দার্শনিক হাসলেন, ‘তবে সেগুলো মিটিয়েও নেওয়া যায়। আপনারা আরবদের থেকেও অনেক বেশি দূরের মানুষের মধ্যে থাকতে শিখেছেন। সেসব মানুষ তো সব দিক দিয়েই আপনাদের কাছে বিদেশি মানুষ। এমনকি যন্ত্রসংস্কৃতির দেশ আমেরিকায়ও আপনারা একই সঙ্গে ইহুদি আর আমেরিকান হতে পেরেছেন। আপনারা কি একই সঙ্গে ইহুদি ও ফিলিস্তিনি হতে পারবেন না?’

কথা বলতে বলতে ঠাকুর যখন পেছনে ঝুঁকলেন, তাঁর মুখে প্রায় অলৌকিক এক প্রশান্তি নেমে এল। নিজেরই কথা যে প্রতিধ্বনি জাগিয়েছিল, তিনি তা শুনলেন যেন। সংকোচের সঙ্গে আমি তাঁর প্রশান্তিতে ব্যাঘাত ঘটালাম, ‘কিন্তু ড. ঠাকুর, জায়নবাদ তো ইহুদিদের এই দ্বৈত জীবন থেকেই মুক্তি দিতে চাইছে। এর উদ্দেশ্য সেই জনগোষ্ঠী, যারা অন্য জাতির সঙ্গে আত্তীকৃত হতে পারে না বা হতে চায় না। এখন আপনার পরামর্শ মানলে, ইহুদিদের ইহুদি জাতীয়তাবাদ এবং ফিলিস্তিনিবাদের মধ্যে পার্থক্য করতে হবে। কিন্তু তাহলে তো ইহুদিদের জন্য ফিলিস্তিন অন্য আরেক আমেরিকা, ফ্রান্স বা জার্মানি হবে।’

কবির কণ্ঠ ছন্দময়। কথোপকথনেও সেই কণ্ঠে খেলা করে কাব্যিক আমেজ। ঠাকুর তেমনই ছন্দময় কণ্ঠে উত্তর দিলেন, ‘আমার মহান বন্ধু আইনস্টাইনের মতো করেই আমি জায়নবাদকে বুঝি। ইহুদি জাতীয়তাবাদকে আমি বিবেচনা করি ইহুদি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টা হিসেবে। আজকের বিশ্বে এই কর্মসূচির জন্য একটি জাতীয় আবাস প্রয়োজন। আর তা দিয়ে উপযুক্ত শারীরিক পরিবেশের পাশাপাশি অনুকূল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থাকেও বোঝায়। আমিও তা উপলব্ধি করি। তবে ফিলিস্তিন কেবল তখনই এগুলো দিতে পারবে, যখন ইহুদিরা তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচিতে আরবদের অন্তর্ভুক্ত করবে। এই রাজনৈতিক সহযোগিতা পেতে আপনাদের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কর্মে কোনো ত্যাগের প্রয়োজন নেই। আমি একটি ফিলিস্তিন কমনওয়েলথ কল্পনা করি, যেখানে আরবরা তাদের নিজস্ব ধর্মীয় জীবন যাপন করবে এবং ইহুদিরাও নিজেদের উজ্জ্বল সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করবে। এভাবে উভয়ই এক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে একত্র হবে।

‘আমি আপনার চোখে সংশয় দেখতে পাচ্ছি। আমার কথাগুলো নিশ্চয়ই একজন নির্বোধ কবির অস্থিরতা বলে মনে হচ্ছে। কীভাবে তা করা যেতে পারে, ভেবে আশ্চর্য হচ্ছেন! ইহুদি জনগণের ক্ষমতা এবং বিশেষ সামর্থ্য নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। যদি অন্তর থেকে আরবদের বোঝাতে চান যে তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ আপনাদের স্বার্থের সঙ্গে অভিন্ন, যদি আপনাদের কাজ দিয়ে তাদের দেখান যে আপনারা সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিবেচনা না করে আরব ও ইহুদিদের জন্য একইভাবে ফিলিস্তিনকে গড়ে তুলছেন, তাহলে আরবরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনাদে সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র হয়ে উঠবে।’

সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী বিনয়ের সঙ্গে নিবেদন করলেন, অতীতে জায়নবাদীরা এই কাজটাই করে এসেছে। তবু গত বছর আগস্টে… (জেরুজালেমের একটি স্থানে ইহুদিদের ধর্মীয় আচার পালনের সময় আরবদের আক্রমণের প্রসঙ্গ) 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাকে কথা শেষ করতে দিলেন না।

তাঁর সুন্দর মুখের ওপর একটা ছায়া ভেসে উঠল, ‘ওসব কুৎসিত ঘটনার কথা এখন বলবেন না। যা ঘটেছিল, তার কারণেই আমি এমন করে কথা বলি। খুব সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত আরব জাতীয়তাবাদ ছিল প্রাথমিকভাবে আধ্যাত্মিক, যদিও সেই আধ্যাত্মিকতা ইহুদিদের দিক থেকে ভিন্ন। বহু শতাব্দী ধরে আরবরা তাদের ভূমিকে অবহেলা করেছে, কারণ আধ্যাত্মিকভাবে তারা ছিল রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদের ঊর্ধ্বে। পশ্চিমা সভ্যতা এই দশাকে আদিম ও অসভ্য বলে অভিহিত করে। যাহোক, আরবরা পশ্চিমা রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদের খেলায় নবাগত। তাদের মন সহজেই বিভ্রান্ত হতে পারে। বিভ্রান্ত তারা হয়েছেও। তাদের ধারণা হয়েছে যে ইহুদিদের স্বদেশের কারণে তাদের আধ্যাত্মিক বা ধর্মীয় জীবন বিপন্ন। ফিলিস্তিনে ইহুদি জনগণের নিবিড় একীকরণকে তারা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছে। আর মানুষ খ্যাপানো নেতৃত্ব এই কাজে সাহায্য করেছে বরাবরই। জায়নবাদকে সুপ্রশিক্ষিত পশ্চিমা কূটনৈতিক মনও অনেক সময় বোঝা কঠিন বলে মনে করে। আরব আদিমতার কাছে জায়নবাদ সম্পূর্ণ নতুন এবং অদ্ভুত ব্যাপার বলে ঠেকেছিল। আমি বোঝানোর চেষ্টা করছি যে ইহুদিদের আবাসভূমির প্রতি আরবদের মনস্তাত্ত্বিক সমন্বয় অবশ্যই একটি ধীর প্রক্রিয়াই হবে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ মে ১৮৬১—৭ আগস্ট ১৯৪১)
ছবি: সংগৃহীত

‘আরবদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে ইহুদিদের অবশ্যই ধৈর্য ও দক্ষতা থাকতে হবে। আপনার মতো যাঁরা পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের সভ্যতার মিশেলে বেড়ে উঠেছেন, তাঁদের অবশ্যই প্রশ্রয়শীল শিক্ষক হতে হবে। রাজনৈতিক বাধা আছে, তা জানি। তবু আপনাদের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রাখা জরুরি। ত্যাগ স্বীকার করে হলেও আপনাদের ফিলিস্তিনের সহ-জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে একটি বোঝাপড়ার পথে চলতে হবে।

‘কিছু ছোটখাটো বিষয়ে ভিন্নতা বাদ দিয়ে আমি আইনস্টাইনের ধর্মভাবনার সঙ্গে মৌলিকভাবে একমত। সেই ধর্ম খুদে নৈরাজ্যবাদ এবং অনমনীয় রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদের বিরোধী। তার মহাজাগতিক বিশ্বাস শ্বেতপত্র বা ইউরোপীয় কূটনীতির অন্যান্য হাতিয়ার দিয়ে টলিয়ে দেওয়া যাবে না। এ এমন এক বিশ্বাস, যা আপনাকে সেই বিস্তৃত জাতীয়তাবাদের দিকে নিয়ে যাবে। সেই জাতীয়তাবাদ আপনারা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন ফিলিস্তিনে সমগ্র মানবতার সামনে এক উদাহরণ হিসেবে। অনুচ্ছেদ আর ধারায় জড়িয়ে পড়বেন না। সব দেশের ইহুদিরা জানে যে রাজনৈতিক সুরক্ষার কোনো মানে হয় না। চুক্তি আপনাকে নিপীড়ন থেকে রক্ষা করেনি। কখনো করবেও না।

‘আপনার সহ-ফিলিস্তিনিদের কাছে খোলা মন নিয়ে আসুন। তাদের বলুন, “তোমরা আর আমরা উভয়ই পুরোনো জাতি। জাতি হিসেবে আমরা দুজনেই একগুঁয়ে। তোমরা পারবে না আমাদের বশীভূত করতে, আমরাও তোমাদের বদলে দেওয়ার চেষ্টা করব না। কিন্তু দুজনেই আমরা আদতে যা, তা হতে পারি। নিজস্ব পরিচয় ধরে রেখেও ফিলিস্তিন, ইহুদি ও আরবদের কমনওয়েলথের রাজনৈতিক লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি।”’

‘আমি জানি, প্রথমে আপনাদের এই কথা তারা বুঝতে পারবে না। প্রতিপত্তি আর অহংকারের পশ্চিমা ধারণা ভুলে যান। কাজ চালিয়ে যান এমন একটি ফিলিস্তিন কমনওয়েলথের লক্ষ্যে, যেখানে আরব আর ইহুদিরা তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক জীবনযাপন করবে। তাহলে আপনারা অবশ্যই সফল হবেন।’

কথা বলতে বলতে ঠাকুর ক্লান্ত হয়ে হেলান দিলেন। প্রায় যেন আপন মনেই তিনি নিচু গলায় যোগ করলেন, ‘ব্রিটিশ সরকার ও জায়নবাদী নেতাদের মধ্যে কোনো আলোচনার মাধ্যমে লন্ডনে বসে ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান করা যাবে না। জায়নবাদের সাফল্য সম্পূর্ণভাবে ইহুদিদের সহযোগিতার ওপরে নির্ভর করে; এবং তা পাওয়া যাবে ফিলিস্তিনেই, কেবল আরব–ইহুদিদের মধ্যে সরাসরি বোঝাপড়ার মাধ্যমে। জায়নবাদী নেতৃত্ব ফিলিস্তিনে ইহুদিদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে আরবদের থেকে আলাদা করার জন্য জোর দিলে পবিত্র ভূমিতে বিস্ফোরণ ঘটবে।’

চোখ বন্ধ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃদুস্বরে বিড়বিড় করলেন, ‘আমরা কবিরা যা স্বপ্ন দেখেছি, ইহুদিরা ফিলিস্তিনে তা তৈরি করতে পারে, যদি তারা জাতীয়তাবাদের পশ্চিমা ধারণা থেকে মুক্ত হয়।’

সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে

জ্যুইশ স্ট্যান্ডার্ড নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই সাক্ষাৎকার যখন নেওয়া হয়, তখন আরব ও ইহুদিদের মধ্যে অস্থিরতা চলছে এবং তখনো ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠিত হয়নি। ১৯৩০ সালে প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে রবীন্দ্রনাথ ফিলিস্তিনে আরব-ইহুদি সংঘাতের আশঙ্কা করেছিলেন।

জ্যুইশ স্ট্যান্ডার্ড ছিল ইহুদিদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী একটি পত্রিকা। স্বাভাবিকভাবেই সাক্ষাৎকারের প্রশ্ন এবং উত্তর বিন্যস্ত করার মধ্যে তার প্রতিফলন রয়েছে। তারপরও এ সাক্ষাৎকারে রবীন্দ্রনাথের ভবিষ্যৎ–মুখী দৃষ্টির পরিচয় যেমন পাওয়া যায়, একইভাবে এখানে উপস্থিত তাঁর দার্শনিক সত্তাও। তিনি মনে করতেন, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের হস্তক্ষেপে এই সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করবে। ভারতবর্ষে হিন্দু-মুসলিমকে বিভাজনের মতো কৌশল ব্রিটিশরা প্রয়োগ করবে ফিলিস্তিনে।

আর আরব ও ইহুদিদের সমস্যা নিরসনে রবীন্দ্রনাথের অভিমত ছিল, এর সমাধান হতে পারে আরব আর ইহুদিদের একে অপরকে বুঝতে চাওয়া এবং এক কমনওয়েলথ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এক নতুন ফিলিস্তিন গড়ে তোলার মাধ্যমে। তবে তিনি মনে করতেন, এসবের পূর্বশর্ত হচ্ছে পশ্চিমা জাতীয়তাবাদের ধারণা থেকে মুক্তি।

আদতে ফিলিস্তিনে ইহুদি আবাসনের অগ্রগতিতে কবি কৌতূহলী ছিলেন; এবং ভালোভাবে তা বোঝার জন্য ১৯৩০–এর দশকে কালীমোহন ঘোষ আর অমিয় চক্রবর্তীকে ফিলিস্তিনে পাঠিয়েছিলেন। পরে অমিয় চক্রবর্তীর এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ প্রবাসীতে ছাপা হয়েছিল।

দ্য ইংলিশ রাইটিং অব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তৃতীয় খণ্ডের সূত্রে পাওয়া এবং বর্ণনাত্মক রীতিতে গৃহীত এই সাক্ষাৎকারে সেদিন ফিলিস্তিন ও ইহুদিদের সমস্যা নিয়ে যেসব অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ কথা বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, আজকের বাস্তবতায় তা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

অনুবাদ: জাভেদ হুসেন