কেমন হলো বইমেলা

দুই দিন সময় বাড়ানোর ফলে একুশের বইমেলা রয়েছে আজও। তবে মেলায় এখন বিদায়ের সুর। বিদায়বেলায় অনেকেরই জিজ্ঞাসা, কেমন হলো এবারের বইমেলা?

বইমেলা উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রাঙ্গণ যেন জীবনের জয়গানের বিরাট মঞ্চ। প্রতিদিন এখানে মিলিত হয়েছেন শতসহস্র প্রাণছবি: তানভীর আহাম্মেদ

অবশেষে একুশে বইমেলার মিলনমেলা সাঙ্গ হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। দিনটি সন্ধ্যার পথযাত্রী হতেই বইমেলায় বাজবে বিদায়ের সুর। নিভে যাবে বাতি। শেষ মুহূর্তে দুই দিন বাড়ানোর ফলে ৩১ কার্যদিবসের এই বইমেলা এবার অনেক দিক থেকেই ছিল ব্যতিক্রম। উত্তরার মতো দূরের স্থান থেকে শাঁ শাঁ করে মেট্রোরেলে পরিভ্রমণ করে মেলায় এসেছেন অগুনতি পাঠক। আবার দুই হাত ভরে বই কিনে কলহাস্য করতে করতে এই দ্রুতযানে চড়েই ঘরে ফিরে গেছেন তাঁরা। প্রতিবারের মতো এবার মেলা ভাঙার পর যানবাহনের সংকটে পড়তে হয়নি তাঁদের, মেট্রোরেলের সময়ের হিসাব কষেই ছেড়েছেন মেলার মাঠ।

এবারের বইমেলায় মোট কতটি বই প্রকাশিত হলো, এর মধ্যে ফিকশন কতটি, ফিকশনের মধ্যে কতটি কবিতা, কতটি গল্প আর কতটি উপন্যাস; নন ফিকশনই-বা কতটি—সব হিসাব শিগগিরই আমরা পেয়ে যাব। মোট কত কোটি টাকার বই বিক্রি হলো, তা-ও জানাবে বাংলা একাডেমি, আগামীকাল না হলেও শিগগিরই। গতবারের চেয়ে এবার বইয়ের বিক্রি বেশি হবে, এটুকু আশাবাদ অন্তত রাখা যায়।

দেশভাগের আগে অবিভক্ত বাংলার রাজধানী হিসেবে পুরো বাংলার প্রকাশনাজগতেরও কেন্দ্র ছিল কলকাতা। সেখানকার বই-ই চলত গোটা পূর্ববঙ্গে। দেশভাগের পর এই পালা ঘুরে যায়। তখন ঢাকার বাংলাবাজারকে ঘিরে গড়ে উঠতে থাকে আজকের বই-বাণিজ্য। কলকাতা থেকেও তখন কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থা ঢাকায় চলে আসে। এভাবেই এক নতুন যাত্রা শুরু করে ঢাকার প্রকাশনাজগৎ। ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চিত্তরঞ্জন সাহা চটের বস্তা বিছিয়ে মাত্র ৩২টি বই নিয়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু করেছিলেন যে বইমেলা, তা এখন অনেক বিস্তৃত। এটা সত্য, একসময় বাংলা একাডেমির বইমেলা ভারতীয় বইয়ে ঠাসা থাকত। গেল শতকের নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে আহমদ ছফা ও তাঁর কয়েক তরুণ বন্ধু এর প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন। মূলত এ কারণেই আজ বাংলা একাডেমির বইমেলা হয়ে উঠেছে কেবল বাংলাদেশের লেখক-প্রকাশকদের বইমেলা।

  ২.

শুরুতে বলে নেওয়া ভালো, মাঘ-ফাল্গুনের এই বইমেলায় প্রকৃতি এবার বিশেষ রুষ্ট হয়নি। ‘কাল রজনীতে ঝড় হয়ে গেছে রজনীগন্ধা বনে।’—কবি বিষ্ণু দের এ কবিতার মতো না হলেও শুরুর দিকে দু-এক বিকেলে সামান্য ধুলা তাড়ানো বৃষ্টি ছাড়া আবহাওয়া ছিল মোটের ওপর প্রসন্ন। তাই মেলার মানুষেরা ঘুরেফিরে-বেড়িয়ে, নিজস্বী (সেলফি) তুলে নিজেদের মতো আড্ডা দিয়েছেন, বাদামভাজা কিনে ভাগাভাগি করে খেয়েছেন, বইও কিনেছেন। এসবই যেন একুশের বইমেলার আত্মা ও প্রাণ।

এবারের বইমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেও ভিড় ভালোই ছিল। এমনকি বাংলা একাডেমির প্রতিদিনকার বৈকালিক যে আলোচনা সভা, তাতেও উৎসাহী পাঠকের যথেষ্ট অংশগ্রহণ দেখেছি। কোনো কোনো দিন আলোচনার শুরুতে পেছনের দিকে চেয়ার কিছু ফাঁকা থাকলেও আলোচনা যতই গড়িয়েছে, ততই নতুন নতুন উৎসাহী শ্রোতারা এসে যোগ দিয়েছেন। এই মঞ্চে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক আয়োজনও বেশ জমে উঠেছিল এবার। সাইমন জাকারিয়া, মোকারম হোসেনদের দেখেছি এসব আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে। বর্ধমান হাউসের সামনে প্রতিদিন নতুন প্রকাশিত বইয়ের যে প্রদর্শনীকেন্দ্র, সেখানেও নিমগ্ন হয়েছেন পাঠকেরা।

আর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রাঙ্গণ যেন জীবনের জয়গানের বিরাট মঞ্চ। প্রতিদিন এখানে মিলিত হয়েছেন শতসহস্র প্রাণ। শুক্র ও শনিবার শিশুপ্রহরের দিনে অভিভাবকদের বিপুল উপস্থিতি, বিকেলে অভিন্ন রঙে সেজে আসা কত পরিবার, বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপের সদস্যদের ঘুরে ঘুরে আড্ডা আর বই কেনা। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা আর বসন্তদিনে তরুণ-তরুণীরা হৃদয়ের উষ্ণতা বিনিময় করেছেন একে অন্যকে বই উপহার দিয়ে।

বইমেলায় সবাই যে বই কিনতে আসবে, তা নয়। এ নিয়ে অনেকেই খেদোক্তি করেছেন। কিন্তু মেলা যাকে আকর্ষণ করছে, সে একদিন গ্রন্থানুরাগী হবেই—আপাতত এটুকু ভেবে স্বস্তি খোঁজা দোষের কি?

অন্যবারের মতো এ বছরও মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল বাংলা একাডেমি, কিছু ত্রুটিবিচ্যুতির কথা অনেককেই বলতে শোনা গেছে—এলোমেলো স্টলবিন্যাস, একাডেমির লোকদের কিছুটা দায়সারা মানসিকতা, লিটল ম্যাগাজিনের প্রতি অবহেলা, ধুলাবালুর আক্রমণ—এসব স্বীকার করে নিয়েই ‘সমুখে রয়েছে পথ’–এর মতো সামনে তাকানোর পক্ষপাতি আমরা। কারণ ‘পেছনে যা কিছু টানে’, তা ফেলে যাওয়াই উত্তম। আর বইয়ের মান নিয়ে যে কথা বারংবার বিদ্বজ্জনেরা বলেছেন—দেখতে বইয়ের মতো হলেই বই নয়, সে বিষয়ে লেখক-প্রকাশক কারও কোনো দ্বিমত নেই।

  ৩.

মেলায় বড় প্রকাশনীর স্টলে, প্যাভিলিয়নে ভিড় ছিল। প্রথমা, ইউপিএল, সময়, অবসর, আগামী, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, পাঞ্জেরী, অনন্যা, পাঠক সমাবেশ, বাতিঘর, ঐতিহ্য, মাওলা ব্রাদার্স, জার্নিম্যান বুকস, অন্যপ্রকাশ, কথাপ্রকাশের সামনে সব সময়ই কমবেশি জটলা ছিল ক্রেতাদের। প্রথমা প্রকাশনে আনিসুল হক, আসিফ নজরুল দীর্ঘ সময় ধরে পাঠকদের অটোগ্রাফ দিচ্ছেন—এমন দৃশ্য একাধিক দিন দেখা গেছে। কানাডাপ্রবাসী ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনকে খুশি মনে গল্প করতে দেখেছি মেলায়। আহমাদ মোস্তফা কামাল আর প্রশান্ত মৃধা—দুজন মিলে গল্পের আসর বসিয়েছেন পাঠক সমাবেশে অথবা লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে উচ্চ স্বরে আলাপ জুড়েছেন টোকন ঠাকুর, এমন দৃশ্য তো অনেকেরই দেখা। অনেক লেখকই মেলায় এসেছেন। মেলায় না থেকেও প্রতিবছর থাকেন হুমায়ূন আহমেদ ও হুমায়ুন আজাদ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

এবার যে কথাটি বিশেষভাবে বলতে হয়, যাঁরা এক বা দুই ইউনিটের স্টল নিয়েছেন, তাঁদেরও হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হয়নি।

মেলায় এ বছর এমন কিছু আগ্রহোদ্দীপক বই প্রকাশিত হয়েছে, যেসব বইয়ের প্রকাশকদের খুব বেশি অর্থবল আছে তা নয়, কিন্তু ভালো বই করার ব্যাপারে বিশেষ একধরনের তাগিদ ও চর্চা তাদের রয়েছে। তেমন বইয়ের মধ্যে আছে সংবেদ থেকে প্রকাশিত দুলাল আল মনসুর অনূদিত নগুগি ওয়া থিয়োঙ্গোর ডিকলোনাইজিং দ্য মাইন্ড এবং অঞ্জন সেনের বাংলার চিত্রকলা: মধ্যযুগ থেকে কালীঘাট। সিলেটের প্রকাশনা সংস্থা চৈতন্যের উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে আছে মোস্তাক আহমাদ দীন সম্পাদিত এবং শাহ মজিরউদ্দিন আহমদ রচিত ফকিরি তত্ত্বগ্রন্থ ভেদ জহুর সিলেটের আরেক প্রকাশনী নাগরী থেকে বেরিয়েছে জফির সেতুর বই সিলেটের তাম্রশাসন ইতিহাস, সমাজ ও সংস্কৃতি। গ্রন্থিক বের করেছে ইতিহাসবিদ মমতাজুর রহমান তরফদার রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড। বইটি ইতিহাসে আগ্রহী পাঠককে তৃপ্ত করবে বলে মনে হয়। বৈভব প্রকাশনী অনেক তরুণের কবিতার বই নিয়ে এবার মেলার মাঠে হাজির হয়েছে। সংগত কারণে প্রকাশনীটি এবার কাব্যমোদী পাঠকের দৃষ্টি কেড়েছে। আরও দুটি প্রকাশনা সংস্থা—চন্দ্রবিন্দু ও বৈতরণী থেকেও বেরিয়েছে ভালো কিছু কাব্যগ্রন্থ।

প্রকাশনা সংস্থা আজব সংগীতবিষয়ক বইপত্রের ওপরে বেশি জোর দেয়। কণ্ঠশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীকে নিয়ে এবার তারা বের করেছে সঞ্জীবনামা নামে কটি বই। জয় শাহরিয়ার সম্পাদিত বইটি সঞ্জীবপ্রেমীদের মনোযোগ কেড়েছে। অকালপ্রয়াত গীতিকবি রাজীব আশরাফের প্রথম কবিতার বই ধরেছি রহস্যাবৃত মহাকাল-এর নতুন সংস্করণও প্রকাশিত হয়েছে এই প্রকাশনী থেকে।

এসব ছোট প্রকাশনীর বাইরে বড় প্রকাশনা সংস্থা থেকেও ফিকশন ও নন-ফিকশন মিলিয়ে মানসম্মত অনেক বই-ই প্রকাশিত হয়েছে এ বছর। এগুলোর মধ্যে নন-ফিকশনের বাইরে প্রথমা প্রকাশন থেকে এবারই প্রথম প্রবীণ-নবীন মিলিয়ে বেশ কয়েক লেখকের গল্প-উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে, যা পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। আর তাদের নন-ফিকশন বইগুলো তো বরাবরই সমাজ ও ইতিহাসের নতুন কোনো অধ্যায়কে উন্মোচিত করে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। জিয়াউদ্দিন এম চৌধুরীর দুই জেনারেলের হত্যাকাণ্ড: ১৯৮১-র ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানসহ এই প্রকাশনের আরও কিছু বই মনোযোগের দাবি রাখে।

গবেষণা, অনুবাদ মিলিয়ে এবারও বেশ কিছু নতুন বই বের করেছে ইউপিএল। এর মধ্যে হাসিবা আলী বর্ণা অনূদিত গহিনের স্রোতধারা: এশিয়ার নারী সাধকদের জীবন ও কবিতা শিরোনামের বইটি অন্যতম। এ বইয়ের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ শোনা গেছে। গল্প-উপন্যাস, প্রবন্ধ, অনুবাদ মিলিয়ে কথাপ্রকাশ, বাতিঘর, অন্যপ্রকাশ এ বছর এনেছে বিস্তর বই, যা নানা রকমের পাঠকের খোরাক জুগিয়েছে। এ ছাড়া ভিন্ন ধরনের কিছু বই করেছে জার্নিম্যান বুকসও। এর একটি হলো জাভেদ ইকবাল ও মোস্তফা আজিজ জয়ের অনুবাদে দেশভাগের গল্পের একটি সিরিজ। এগুলোর মধ্যে আরেকটি অন্য রকম বই হলো জাভাদ্বীপে র‌্যাঁবো: হারানো সমুদ্রাভিযান। কবিতা লেখা ছেড়ে দেওয়ার পর ফরাসি কবি র‌্যাঁবোর জীবনের এক অনালোচিত অধ্যায় বিবৃত হয়েছে জেমস জেমির লেখা এ বইয়ে। অনুবাদ করেছেন ফারুক মঈনউদ্দীন।

মেলায় এ বছর এমন কিছু আগ্রহোদ্দীপক বই প্রকাশিত হয়েছে, যেসব বইয়ের প্রকাশকদের খুব বেশি অর্থবল আছে তা নয়, কিন্তু ভালো বই করার ব্যাপারে বিশেষ একধরনের তাগিদ ও চর্চা তাদের রয়েছে।

আর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এবার বাজারে এনেছে ‘বাঙালির চিন্তা’ সিরিজের ৫৪টি খণ্ড। এই সিরিজ গবেষণামনস্ক পাঠকের পছন্দের কেন্দ্রে রয়েছে।

রহস্য-রোমাঞ্চ ঘরানার বইয়ের জন্য পাঠকের প্রথম পছন্দ এখনো সেবা প্রকাশনী। তাঁদের স্টলে এবারও ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। এরপরই রহস্য-সন্ধানী পাঠকেরা ভিড় জমিয়েছেন বাতিঘর প্রকাশনীতে, থ্রিলার লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীনের নতুন বই কন্ট্রোল-এর সন্ধানে।

মেলায় বাংলা একাডেমির একাধিক বিক্রয়কেন্দ্রে যত পাঠক এসেছেন, তাঁদের বেশির ভাগেরই ঝোঁক পুরোনো বইয়ের দিকে। আর অভিধান এখনো এখানে বিক্রির শীর্ষে—বেশ কয়েকবার ঘুরে এমনই মনে হয়েছে।

মেলায় অগুনতি নতুন বই এলেও পুরোনো বই তথা যেগুলো এর মধ্যেই ধ্রুপদি হয়ে গেছে, সেই বইগুলোর বিক্রি বরাবরের মতো এবারও ছিল আশাব্যঞ্জক। এ জন্যই কি প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য এবার অনেক প্রয়াত কবি-লেখকের পুরোনো বই নতুন করে আবার বাজারে এনেছে? এসব বইয়ের মধ্য থেকে কয়েকটির নাম উল্লেখ করি—আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর আমি কিংবদন্তির কথা বলছি, আবুল হাসানের রাজা যায় রাজা আসে, যে তমি হরণ করো পৃথক পালঙ্ক, আবদুল মান্নান সৈয়দের জন্মান্ধ কবিতাগুচ্ছ, সাবদার সিদ্দিকীর কবিতাসমগ্র, নাসিমা সুলতানার মৃগয়ায় যুদ্ধের ঘোড়া প্রভৃতি।

৪.

আমাদের পাঠকদের মধ্যে বই নিয়ে আগ্রহ আছে। তবে বইয়ের বিষয় নির্বাচন, সুসম্পাদনা ও ত্রুটিহীন করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে দরকার প্রবল পেশাদারি মানসিকতা। পাশাপাশি আরেকটি বিষয় বলা দরকার, অনেককেই বলতে শুনি, বইয়ের দাম অপেক্ষাকৃত বেশি। এ কারণে ছাত্রছাত্রীরা, শিক্ষার্থীরা অনায়াসে বই কিনতে পারেননি। ঘটনা আসলেই কি তা–ই? যদি এমনই হয়, তবে এ ক্ষেত্রে পেপারব্যাক সংস্করণ বের করা একটা ভালো বিকল্প হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশকেরা সামনের দিনগুলোতে ভাববেন, আশা করি।