দক্ষিণ এশিয়ার উপনিবেশ প্রতিরোধের ইতিহাসকে উদ্‌যাপন করল কেমব্রিজ মজলিশ

ট্রিনিটি কলেজের রেন গ্রন্থাগারে কেমব্রিজ মজলিশের প্রদর্শনী
ছবি: সংগৃহীত

১৮৯১ সালে দক্ষিণ এশীয় শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন হিসেবে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ‘কেমব্রিজ মজলিশ’। এই ভূখণ্ডের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপনের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল এই ছাত্রসংগঠন। জহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে অমর্ত্য সেন পর্যন্ত অনেক গুণী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন এ সংগঠনের সদস্য।

সংগঠনটির বিভিন্ন নথি ও সংরক্ষিত জিনিসপত্র নিয়ে সম্প্রতি ট্রিনিটি কলেজের রেন গ্রন্থাগারে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে কেমব্রিজ মজলিশ। গত শতকের ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলায় সংগঠনের সদস্যদের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে এ প্রদর্শনীতে। ‘রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড’ ও ‘সমাজতন্ত্রের প্রতি ঝোঁক’–এর অভিযোগ তদন্ত করতে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কীভাবে এ সংগঠনের সদস্যদের ওপর নজরদারি শুরু করেছিল, তা–ও উপস্থাপন করা হয়েছে ব্রিটিশ লাইব্রেরির নথি ব্যবহার করে।

সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে ভারতীয় ও পাকিস্তানিদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়লে বন্ধ হয়ে যায় কেমব্রিজ মজলিশের কার্যক্রম। দীর্ঘ পাঁচ দশক পর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক ও বৃদ্ধিবৃত্তিক চর্চার কেন্দ্র হিসেবে পুনরায় যাত্রা শুরু করেছে সংগঠনটি। বর্তমানে এ ছাত্র সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশের মেয়ে লালেহ বার্গম্যান হোসেন।

গ্রন্থনা: নাফিস সাদিক