বাংলা কতটুকু পাঠ্যপুস্তকের ভাষা হয়ে উঠতে পেরেছে

বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের ছবি অবলম্বনেকোলাজ: আপন জোয়ার্দার

এ দেশে বাংলা ভাষায় পাঠ্যবই লেখা হবে, এটাই স্বাভাবিক। যত সহজে কথাটা বলা গেল, তত সহজে এর পেছনে যুক্তি দাঁড় করানো যায় না। কেননা, এর পেছনে শিশুর অধিকার, রাষ্ট্রের ইচ্ছা আর ভাষা আধিপত্যের প্রসঙ্গ জড়িয়ে আছে। একই সঙ্গে জড়িয়ে আছে নিয়ত পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সমাজ-রাজনীতি-অর্থনীতির সমীকরণে পাল্টে যাওয়া ভাষা-পরিস্থিতি। 

এখন প্রশ্ন, যে যুক্তিতে বাংলাভাষী শিশু বাংলায় শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে, সেই যুক্তিতে একজন চাকমা বা মারমাভাষী শিশু কেন তার মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে না? কিংবা বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র যদি চায় বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাতেও পাঠ গ্রহণের সুযোগ রাখতে, তবে তাতে আপত্তি করার যৌক্তিকতা তৈরি হয় কেন? অথবা পৃথিবীজুড়ে ইংরেজি ভাষার প্রবল প্রতাপের বিপরীতে বাংলা ভাষার লড়াইয়ের কৌশল কী হতে পারে? এই তিন প্রশ্নের সঙ্গেই পাঠ্যবইয়ের ‘বাংলা ভাষা’ জড়িত। 

হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় একুশের প্রথম সংকলন প্রকাশিত হয় ১৯৫৩ সালে। সেই সংকলনে ‘সকল ভাষার মর্যাদা সমান’ শিরোনামে আলী আশরাফের একটি প্রবন্ধ ছাপা হয়। সেখানে বলা হয়: ‘যে নীতি অনুসারে আমরা আমাদের মাতৃভাষার অধিকার চাইছি, সে নীতি অনুসারেই অন্যান্যকেও তাঁদের ভাষার অধিকার দিতে হবে।’ প্রাবন্ধিকের মতে, ‘রাষ্ট্রভাষা’ শব্দটির সঙ্গে স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গি আর বৈষম্যমূলক নীতির যোগ রয়েছে। তাই তিনি দাবি তোলেন এমন এক রাষ্ট্রের, যেখানে ‘ছোট-বড় প্রত্যেক ভাষাভাষী জনসমষ্টি ও বিভিন্ন প্রদেশে সংখ্যাল্প মানুষেরাও নিজ নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষালাভ করার অধিকার ভোগ করবে।’ ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সেই স্বীকৃতির মাধ্যমে শিশুর মাতৃভাষায় শিক্ষালাভ করার দাবি আরও জোরালো হয়।

পাঠ্যপুস্তকে মাতৃভাষার ব্যবহার কতটা গুরুত্ববহ, সেটিকে ‘যদি’ দিয়ে চিন্তা করা যাক। যদি পাকিস্তান-পর্বে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন সফল না হতো, আর শিশুর মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের ব্যাপারটি কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ না হতো, তবে কী ঘটত? সে ক্ষেত্রে বাংলাভাষী শিশুও উর্দু ভাষায় পাঠ গ্রহণ করত। বিদ্যা গ্রহণ থেকে শুরু করে জ্ঞান প্রকাশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর ভাষিক মাধ্যম হতো উর্দু। এর ফলে ধীরে ধীরে পূর্ব বাংলার শিক্ষিত মানুষের সৃজনশীল ও মননশীল লেখার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠত উর্দু। পৃথিবীর একটি বৃহৎ ও সমৃদ্ধ ভাষা বাংলার ক্ষয় শুরু হয়ে যেত তখন থেকেই জ্ঞানের রাজ্যে, সাহিত্যিক প্রকাশেও। ফলে রাষ্ট্রীয় ইচ্ছার প্রতিফল হিসেবে পরবর্তী প্রজন্মের মুখের ভাষাতেও বাংলার ব্যবহার দিন দিন সীমিত হয়ে পড়ত।

কোনো ভাষায় শিশুর প্রাথমিক পাঠদান নিশ্চিত করা গেলে, সেই ভাষার মৃত্যু কঠিন করে তোলা যায়। বাংলাদেশে রেংমিতচা, কোডা, কন্দ, লুসাই, খাড়িয়া, সৌরা, পাত্র, পাংখোয়া, চাক, খুমি, খিয়াং, মালতো, কোলসহ অন্তত ১৪টি ভাষা বিপন্ন। এসব ভাষার একেকটিতে ৪০-৫০ জন থেকে শুরু করে ২–৩ হাজার মানুষ কথা বলে। বিপন্নপ্রায় এই ভাষাগুলোকে রক্ষা করার সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে শিশুর বর্ণ ও শব্দ শেখানোর প্রথম পাঠ হিসেবে তার মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক তৈরি করে দেওয়া। এতে মাতৃভাষায় শিশুর পাঠ গ্রহণের অধিকারেরও স্বীকৃতি ঘটে। 

শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা মাতৃভাষায় শুরু করার ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জোর সমর্থন ছিল। তিনি নিজেও বাংলায় পাঠ্যপুস্তক রচনা করেছেন। ছেলেবেলায় সেজ দাদার মুখ থেকে উচ্চারিত হয়েছে, ‘আগে চাই বাংলা ভাষার গাঁথুনি, তার পরে ইংরেজি শেখার পত্তন।’ এই কথার ‘বাংলা ভাষা’ প্রকারান্তরে মাতৃভাষার কথা বলে। তাই যে শিশুর ভাষা বাংলা নয়, তার জন্য তার ভাষাতেই প্রাথমিক ভাষা-গাঁথুনির কাজটি সারতে হবে। কেননা, মাতৃভাষায় জ্ঞানের গ্রহণ ও প্রকাশের কাজটি সহজ হয়, নতুন জ্ঞান উৎপাদনের কাজটিও সহজ হয়। সব জেনে-বুঝেও বাংলাদেশে ‘ইংরেজি ভার্সন’ নামে বিজাতীয় ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে নেওয়া হয়েছে—এমনকি প্রাথমিকের শ্রেণিগুলোতেও!

আশার কথা এই, ইংরেজি ভাষা খোদ ব্রিটিশ আমলেও বাংলা ভাষার জায়গা দখল করতে পারেনি। অথচ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ঔপনিবেশিক আধিপত্যের কারণে স্থানীয় ভাষা জায়গা হারিয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে লোপ পেয়েছে।

ব্রিটিশ আমলে বাংলায় সব ধরনের পাঠ্যবই তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাবিষয়ক বেশ কিছু কমিশন ও কমিটি গঠিত হয়েছে। এর মধ্যে আছে ইউনিভার্সিটি কমিশন (১৯০২), কলিকাতা ইউনিভার্সিটি কমিশন (১৯১৭), হেগ কমিটি (১৯২৯), সাপ্রু কমিটি (১৯৩৪), সার্জেন্ট কমিটি (১৯৪৩)। পাকিস্তান-পর্বে পূর্ব বাংলায় পাঠ্যপুস্তক রচিত হয়েছে বাংলা ও উর্দু ভাষায়। এ সময়ে গঠিত শিক্ষা কমিশনের মধ্যে আছে মওলানা আকরম খাঁ কমিশন (১৯৫২), আতাউর রহমান খান কমিশন (১৯৫৭), শরীফ কমিশন (১৯৫৯), হামুদুর রহমান কমিশন (১৯৬৪) এবং নূর খান কমিশন (১৯৬৯)। আর বাংলাদেশে নেওয়া উদ্যোগগুলোর মধ্যে আছে কুদরাত-এ-খুদা কমিশন (১৯৭২), মফিজ উদ্দিন কমিশন (১৯৮৮), শামসুল হক কমিটি (১৯৯৭), এম এ বারী কমিশন (২০০২) এবং মনিরুজ্জামান মিঞা কমিশন (২০০৩)। স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী প্রায় প্রতিটি কমিশন ও কমিটি মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের প্রাসঙ্গিকতা গুরুত্বসহ উল্লেখ করেছেন। এমনকি ব্রিটিশ আমলেও বিশেষ কারণ ছাড়া ইংরেজিকে প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষার মাধ্যম করা হয়নি। অথচ ২০১০ সালের সর্বশেষ ‘জাতীয় শিক্ষানীতি’তে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষার মাধ্যম হবে মূলত বাংলা, তবে ... ইংরেজি মাধ্যমেও শিক্ষা দেওয়া যাবে।’ 

এই প্রশ্নসাপেক্ষ সিদ্ধান্তের পরও দেখা যায়, বাংলা ভাষা সাধারণভাবে বাংলাদেশের স্কুল-কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার প্রধান মাধ্যম। কিন্তু বাংলা পাঠ্যবই সেই দায়িত্ব পুরোপুরি কাঁধে নিতে পারেনি। যেমন প্রাথমিকের অন্তত দুটি শ্রেণির বাংলা বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়ার কথা ছিল পড়তে ও লিখতে শেখানো। কারণ, বাংলা ভাষার মাধ্যমে অন্যান্য বিষয়ের চর্চার কাজটি সম্পন্ন হবে। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই দেখেও মনে হয়, ভাষা শেখানো নয়; বরং সাহিত্য পড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেখানে। আবার দুই শ বছরে গদ্যসাহিত্যের ভাষায় বদল ঘটেছে; অথচ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ-নির্বাচনের সময়ে তা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীরা ভালো গদ্য লিখতে পারছে না। বাংলা পাঠ্যপুস্তক নিয়ে যাঁরা বিভিন্ন সময়ে অভিমত দেন, তাঁরাও সাহিত্য নিয়ে কথা বলেন। সাহিত্যের মধ্য দিয়েও ভাষা শেখানোর সুযোগ ছিল, সেই ভাষা দৈনন্দিন ব্যবহারে কাজেও আসত, কিন্তু সেই সুযোগ আমরা নিতে পারিনি।

জাতীয়ভাবে নির্ধারিত বাংলা পাঠ্যক্রমের আরেকটি সমস্যা হলো, শিক্ষার্থী কোন শ্রেণিতে কতটুকু দক্ষতা অর্জন করবে, তা মোটেও স্পষ্ট নয়। প্রতিটি শ্রেণিতেই পাঠ নির্বাচনের জন্য বিষয়গত বৈচিত্র্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু সেখানে ভাষাগত কোনো স্তর নির্ধারণ করা হয়নি। তাত্ত্বিকভাবে শিক্ষাক্রমে ভাষাদক্ষতা বিষয়ে কিছু প্রত্যাশা করা হয়েছে; কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে পাঠ্যপুস্তকে তার বিশেষ কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। শিক্ষার্থীর লেখার দক্ষতা তৈরির ক্ষেত্রেও বাংলা বইয়ের পদ্ধতিগুলো ঠিকমতো কাজ করেনি। কীভাবে পাঠ সংক্ষেপ করতে হয়, কীভাবে নিজের লেখা নিজেই সম্পাদনা করতে হয়, কীভাবে অন্য ভাষার লেখা অনুবাদ করতে হয়—এসব প্রায়োগিক দক্ষতা পাঠ্যবই তৈরি করতে পারে না। ব্যাকরণের প্রায়োগিক পাঠ বলতে আছে কেবল বানানের নিয়ম—যেটা থাকার দরুন আরেক দফা সর্বনাশ ঘটেছে। অর্থাৎ চূড়ান্ত অর্থে বানানের কোনো নিয়ম নেই, অথচ নিয়ম মুখস্থ করিয়ে বানান শেখাতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দ্বিধা আরও বাড়ানো হয়েছে। স্রেফ অভিধান দেখতে শেখানোর মধ্য দিয়ে এই দ্বিধা সহজেই দূর করা সম্ভব ছিল। 

বাংলা পাঠ্যপুস্তকের শ্রেণিভিত্তিক পার্থক্য করাও কঠিন। অর্থাৎ ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ে যদি সপ্তম শ্রেণির মলাট লাগিয়ে দেওয়া যায়, আর সপ্তম শ্রেণির বইয়ে যদি ষষ্ঠ শ্রেণির মলাট লাগিয়ে দেওয়া যায়, তবে হেরফের বিশেষ হবে না। শ্রেণিগত পার্থক্যের সঙ্গে সঙ্গে বিষয়গত যে স্তর বা বিভাজনের দরকার ছিল, তা পুস্তকপ্রণেতারা রক্ষা করতে পারেননি। এমনকি প্রতিটি শ্রেণির একেকটি বিষয়ের জন্য শ্রেণি-উপযোগী ভাষা থাকার কথা। পাঠ্যপুস্তকের লেখকেরা সেটা বিবেচনায় নেননি। যেমন তৃতীয় শ্রেণিতে শেখানো বাংলা ভাষার মানকে আদর্শ ধরে চতুর্থ শ্রেণির অন্যান্য বিষয়ের পাঠ লেখার দরকার ছিল। এভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি শ্রেণিতে একেকটি বিষয়ের ভাষার আদর্শ হওয়া উচিত ছিল আগের শ্রেণিতে শেখানো ভাষা। 

শিক্ষা কমিশনগুলো অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধিতাকে বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সুপারিশ করেছে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে সেটি প্রতিফলিত হয়নি। যেমন ভাষা গ্রহণের উপায় হিসেবে পাঠ্যবইয়ে পড়া ও শোনার কাজ রয়েছে। আর ভাষা প্রকাশের উপায় হিসেবে রয়েছে বলা ও লেখার কাজ। কিন্তু এ দুই কাজে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, শ্রবণপ্রতিবন্ধী কিংবা বুদ্ধি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বিকল্প উপায় রাখা হয়নি। সাধারণ শিক্ষার্থীর মতো তাদেরকেও একই উপায়ে গ্রহণ ও প্রকাশের কাজটি করতে হয়। ফলে বাংলাভাষী শিক্ষার্থী হয়েও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বাংলা পড়তে বা লিখতে রীতিমতো লড়াই করতে হয়।

উচ্চতর পর্যায়েও বাংলা শেখানোর কাজে ত্রুটি রয়ে গেছে। বাংলার উচ্চতর পঠনপাঠন কেবল সাহিত্যের মধ্যে সীমিত হয়ে আছে। অথচ বাংলা অনুবাদ, পরিভাষা তৈরি, ভাষার মানোন্নয়ন—এসব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষাবিষয়ক জ্ঞানচর্চার বিকল্প নেই। সাহিত্যের পাঠদানেও সংকট দেখা যায়, বাংলা প্রাচীন ও মধ্যযুগের বিস্তৃত সাহিত্য পড়ানোর উপযোগী শিক্ষক পাওয়া যায় না। ভাষাবিষয়ক পাঠদানের ক্ষেত্রেও শিক্ষক– সংকটে পড়তে হয়। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলায় লেখা ভালো মানের পাঠ্যপুস্তকও তৈরি হচ্ছে না। স্বাধীনতার আগে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে পরিভাষা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখন বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বাংলা পাঠ্যপুস্তকও রচনা করা হয়েছে। দুটি বিষয়ই চলমান থাকার দরকার ছিল। কিন্তু আমরা দরকারি কাজগুলো থেকে হাত-পা গুটিয়ে নিয়ে নিজেদের ভাষাকেই দুর্বল করে তুলছি।

উত্তরাধিকারসূত্রে আমরা যে ভাষা পেয়েছি, সে ভাষার সাহিত্যিক সমৃদ্ধি আর ব্যবহারিক শক্তিকে কাজে লাগাতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। বাংলা ভাষার সমৃদ্ধি ও শক্তির সঙ্গে জাতিগত সমৃদ্ধি ও শক্তিও জড়িত। ভাষা দুর্বল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংস্কৃতি ও স্বাজাত্যবোধও দুর্বল হতে থাকে। সবচেয়ে বড় কথা, বাংলা ভাষার দুর্বলতা আমাদের পরমুখাপেক্ষী করে তুলতে পারে।

তারিক মনজুর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক।