দোমড়ানো–মোচড়ানো ছবি আর যত সব হারানো ঠিকানা

ভাষান্তর: কল্যাণী রমা

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

তারুণ্য

এক হাজার দরজার ওপারে
যখন আমি খুব ছোট ছিলাম, আর একা ছিলাম
চার চারটা গ্যারাজ সেই বড় বাড়িটায়, আর তখন
গরমকাল ছিল, যত দূর মনে পড়ে,

রাতে লনের ওপর শুয়ে আমি,
আমায় ঢেকে রেখেছে দুমড়ে–মুচড়ে যাওয়া ক্লোভার,
ওপরে প্রাজ্ঞ তারাদের বিছানা,
মায়ের ঘরের জানালাটায়-চোঙার ভিতর থেকে
হলুদ উত্তাপ ঝরে ঝরে ক্লান্ত,
বাবার জানালাটা, অর্ধেক বন্ধ,
এক চোখ—যেখানে ঘুমন্ত মানুষেরা ফিরে যায়,
আর বাড়িটার কাঠের তক্তা, দেয়াল মসৃণ মোমের মতো সাদা
হয়তো লক্ষ লক্ষ পাতা ভেসেছিল—তাদের
অদ্ভুত বোঁটায় ভর দিয়ে
পাশে তখন ঝিঁঝি পোকার ডাক
আর আমি, আমার আনকোরা নতুন শরীরে,
তখনো নারী নই,
রাতের তারাদের প্রশ্নগুলো করেছি
আর ভেবেছি ঈশ্বর হয়তো সত্যিই দেখতে পাবে
সব তাপ, আর রং করা আলো,
কনুই, হাঁটু, স্বপ্ন, শুভরাত্রি।

[‘ইয়াং’ কবিতাটি ‘অল মাই প্রিটি ওয়ানস’ (১৯৬২) বই থেকে নেওয়া।]

অ্যান সেক্সটন (জন্ম: ৯ নভেম্বর ১৯২৮—মৃত্যু: ৪ অক্টোবর ১৯৭৪)
ছবি: সংগৃহীত

ভালোবাসার গান

আমিই সেই চেইন-লেটারের মেয়েটি
আমিই সেই মেয়ে—শুধু কফিন আর
তালা-চাবির ফুটো নিয়ে যার গল্প,
টেলিফোন বিলে এই মেয়েটিই,
দোমড়ানো–মোচড়ানো ছবি আর যত সব হারানো ঠিকানা,
এই সেই মেয়ে যে কিনা কেবলই বলত—
শোনো! শোনো!
আমাদের কখনোই! আমাদের কখনোই!
আর ওই সব নানা কিছু...
এই সেই মেয়ে
যার চোখের অর্ধেকটা থাকত কোটের নিচে,
সিসার গুলির মতো ঠান্ডা, বাদামি-নীল বড় বড় দুটো চোখ,
গলার বাঁকে টিউনিং-ফর্কের মতো শব্দে
থিরথির করে কাঁপত সরু শিরা,
মেয়েটির খোলা কাঁধ এক দালানের মতো নগ্ন,
হালকা-পাতলা পায়ের পাতা, আঙুল,
বড়শির পুরোনো, লাল আঁকশি গাঁথা ঠোঁটে
আর সেই ঠোঁট থেকে শুধুই রক্ত ঝরে পড়ত
ওর হৃৎপিণ্ডটার ভিতর...
এই সেই মেয়ে
যে কেবলই ঢলে পড়ত ঘুমে,
যেন পাথরের মতোই বয়স হয়েছিল ওর,
একেকটা হাত সিমেন্টের টুকরা,
ঘণ্টার পর ঘণ্টা
এবং তারপর ঘুম ভাঙত,
এক ছোটখাটো মৃত্যুর পর,
আর তখন মেয়েটি
নরম হয়ে যেত, স্নিগ্ধ কোমল হয়ে যেত...
মেয়েটি স্নিগ্ধ কোমল আর নরম হয়ে যেত
এক অফুরন্ত আলোর মতো,
যেন কিছুই ভয়ানক নয় আর,
খাবার খুঁজে পাওয়া ভিখারির মতো ও তখন
কিংবা ছাদের ওপর এক ইঁদুর যেন
যেখানে মরণফাঁদ নেই কোনো,
তোমার হাতের ভিতর মেয়েটির হাত
এর থেকে অন্য আর তো সত্য নেই—
অন্য কেউ নয়, অন্য কেউ নয়, কেবল তুমি!
আর সেইসব নানা কিছু।
অন্য কেউ নয়, অন্য কেউ নয়, কেবল তুমি!
আহা! এই ছবি আর কোনভাবেই যে আঁকা যায় না।
সেই সমুদ্র,
সেই সঙ্গী,
সেই রঙ্গমঞ্চ,
আর সেই ঘোড়া ছুটে যাওয়া মাঠ।

[‘লাভ সং’ কবিতাটি ‘লাইভ অর ডাই’ (১৯৬৬) বই থেকে নেওয়া।]

আরও পড়ুন

সিলভিয়ার মৃত্যু

(সিলভিয়া প্লাথের জন্য)

সিলভিয়া, সিলভিয়া,
পাথর আর চামচবোঝাই একটা মৃত বাক্স সাথে নিয়ে
দুটো ছেলেমেয়ে নিয়ে—দুটো উল্কা
একটা ছোট খেলার ঘরে বাঁধনছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে,
বিছানার চাদরে তোমার মুখ,
কড়িকাঠে তোমার মুখ, তোমার মুখ মূঢ় প্রার্থনায়,
(সিলভিয়া, সিলভিয়া
ডেভনশায়ার থেকে
সেই আলু
আর মৌমাছির চাষ
করবে বলে লিখবার পর
কোথায় গেলে তুমি?)
কিসের জন্য দাঁড়িয়েছিলে?
ঠিক কীভাবে শুয়ে পড়েছিলে?
চোর—
কীভাবে তুমি হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকে গেলে,
একা একা হামাগুড়ি দিয়ে মৃত্যুর ভিতর,
যে মৃত্যু আমি এত বেশি করে চেয়েছিলাম, চেয়েছিলাম এত দিন ধরে,
সেই মৃত্যু যা কিনা ভেবেছিলাম বয়স বাড়বার সাথে সাথে আমরা দুজনই পেছনে ফেলে এসেছি,
এই সেই মৃত্যু যাকে আমরা আমাদের রোগা প্যাকাটি শরীরের স্তনের ওপর ঝুলিয়ে ঘুরতাম,
এই সেই মৃত্যু যার কথা আমরা এতবার বলেছি,
যতবারই বোস্টনে তিনটা এক্সট্রা ড্রাই মার্টিনি গলায় ঢেলেছি,
সেই মৃত্যু যা মানসিক রোগ বিশ্লেষক আর চিকিৎসার কথা বলত,
সেই মৃত্যু যা কথা বলত ষড়যন্ত্রকারী নতুন বউয়ের মতো করে,
যে মৃত্যুর কথা ভেবে আমরা পান করেছিলাম,
মৃত্যুর উদ্দেশ্য আর তারপর তার নীরব দলিল?
(বোস্টনে
মরতে বসা লোকগুলো
ক্যাব চড়ে যায়,
হ্যাঁ, আবার মৃত্যু,
যে কিনা আমাদের প্রেমিকের সাথে
বাড়ি ফেরে।)
ওহ্‌, সিলভিয়া, আমার সেই ঘুম ঘুম চোখের ড্রামারকে মনে আছে
এক পুরোনো গল্প বলে যে চোখের পাতায় ঘুম এনেছিল,
আমরা কী ভীষণই না চাইতাম যে ও আসুক,
স্যাডিস্টের মতো কিংবা নিউইয়র্কের পরির মতো
ওর কাজটুকু করবার জন্য,
যেন বড় বেশি প্রয়োজন তাকে আমাদের, সংকীর্ণ জায়গায় কিংবা দেয়ালের গায়ে জানালার মতো,
সেই সময় থেকে ও অপেক্ষা করছে
আমাদের হৃৎপিণ্ডের নিচে, আমাদের আলমারির নিচে,
আর এখন দেখতে পাচ্ছি যে আমরা তাকে বছরের পর বছর
ভান্ডারে জমিয়ে রেখেছি, পুরোনো সব আত্মহত্যা
আর আমি জানি তোমার মৃত্যুর খবরে
এক চরম তিক্ত স্বাদ তার, চোখের জলে লবণের মতো,
(আর আমি,
আমিও।
আর এখন, সিলভিয়া,
আবারও তুমি,
মৃত্যুর সাথে আবারও,
সেই বাড়ি ফিরে আসা
আমাদের প্রেমিকের সাথে।)
আর আমি ওই পাথুরে কবরের দিকে আমার হাতগুলো বাড়িয়ে দিয়ে
কেবল বলি,
তোমার মৃত্যুটা আসলে কী?
তা শুধু এক ফেলে আসা পুরোনো সম্পর্ক।
তোমার মৃত্যু তোমারই কোনো একটা কবিতা থেকে
ঝরে পড়া তিল?
(ওহ্‌ বন্ধু,
যতক্ষণ চাঁদটা বিচ্ছিরিভাবে ঝুলে আছে,
আর রাজা চলে গেছে,
হতভম্ব রানি
পানঘরের মাছিটারও গান তো গেয়ে যেতেই হবে!)
ওগো ছোট্ট এক মা,
তুমিও!
ওগো অদ্ভুত হল্যান্ডবাসিনী!
ওগো সোনালি চুলের মেয়ে!

[‘সিলভিয়াস ডেথ’ কবিতাটি ‘লাইভ অর ডাই’ (১৯৬৬) বই থেকে নেওয়া। সিলভিয়া প্লাথ আত্মহত্যা করার ছয় দিন পর ১৯৬৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কবিতাটি লেখা হয়।]

সিলভিয়া প্লাথ (জন্ম: ২৭ অক্টোবর ১৯৩২—মৃত্যু: ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৩)
ছবি: সংগৃহীত

৪৫ নম্বর মার্সি স্ট্রিট

আমার স্বপ্নের ভিতর,
আমার পুরো
হাড়-মজ্জাটুকুর ভিতর ফুটো করে,
আমার প্রকৃত স্বপ্ন,
বিকান হিলের এমাথা থেকে ওমাথা হাঁটছি
রাস্তার একটা সাইনবোর্ড খুঁজে বেড়াচ্ছি—
‘মার্সি স্ট্রিট’।
নাহ্‌, ওখানে নেই।
ব্যাক বে-র দিকে চেষ্টা করলাম।
নাহ্‌, ওখানে নেই।
নাহ্‌, ওখানে নেই।
তবু আমি নম্বরটা জানি।
৪৫ নম্বর মার্সি স্ট্রিট।
ঢুকবার মুখের
স্টেইনড গ্লাস জানালাগুলো
আমি চিনি,
নকশা কাটা কাঠের মেঝের তিনতলা বাড়ি।
আসবাবগুলো চিনি আর চিনি
মা, ঠাকুমা, বড়মাকে,
বাড়ির ভৃত্যদের।
আলমারিভর্তি বিলাতি চিনামাটির বাসন,
বড় মেহগনি কাঠের টেবিলটায়
বরফভর্তি বাটি, খাঁটি রুপার,
অজানা দৈত্যের দাঁতের মতো নিখুঁত আর চারকোনা
করে কাটা মাখন রাখা আছে তাতে।
খুব ভালো করেই জানি
ওখানে নেই।
কোথায় গেলে?
৪৫ নম্বর মার্সি স্ট্রিট,
বড়মা তিমি মাছের হাড় দিয়ে তৈরি কর্সেট পরে
হাঁটু গেড়ে বসে বেসিনের কাছে
প্রাণপণ প্রার্থনা জানিয়ে যাচ্ছে
ভোর পাঁচটায়।
দুপুরবেলায়
ঝিমিয়ে পড়ছে তাঁর উদ্ভট রকিং চেয়ারে,
ঠাকুরদা ভাঁড়ারঘরে
এটা সেটায় এক কামড় বসাচ্ছে,
ঠাকুমা নিচতলার ঝিকে ডাকতে ঘণ্টা বাজাচ্ছে,
দিদিমা মাকে দোল দিচ্ছে,
কোঁকড়ানো চুলগুলোকে ঢেকে
কপালে একটা বিরাট ফুল—
যখন সে ভালো মেয়ে ছিল কিংবা যখন সে...
জন্ম হয়েছে তার, সে তখন শিশু
কিন্তু এক পুরুষ যেতে না যেতেই সেই জন্মদাত্রী
আমার,
তৃতীয় সন্তান
জন্ম নিল অজানা বীজ থেকে বিকট এক ফুল।
একটা হলুদ জামা পরে ঘুরে বেড়াই
সাদা ব্যাগটা সিগারেটে ভর্তি,
তাতে যথেষ্ট পরিমাণে বড়ি, পয়সা রাখবার পার্স, আমার চাবি,
আঠাশ বছর বয়স, নাকি পঁয়তাল্লিশ?
আমি হাঁটছি। কেবলই হাঁটছি।
অন্ধকার বলে রাস্তার সাইনবোর্ড ম্যাচ জ্বালিয়ে দেখি, সে আঁধার
মৃতের মিশমিশে কালো চামড়ার মতো কালো।
আমি হারিয়ে ফেলেছি আমার সবুজ ফোর্ড গাড়ি,
শহরতলিতে আমার বাড়ি,
দুটো ছোট বাচ্চাকে আমার ভিতরের মৌমাছি
যেন পরাগের মতো শুষে নিয়েছে
আর একজন স্বামী
যে কিনা তার দুচোখের পাতা থেকে আমাকে মুছে ফেলেছে
আমার ভিতরটা আর যেন দেখতে না হয়
আমি হাঁটছি আর দেখে চলেছি
এটা কোনো স্বপ্ন নয়
এ শুধু আমার পিচ্ছিল জীবন
যেখানে মানুষেরা অ্যালিবাই
আর যেখানে রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায় না
পুরোটা জীবন ধরে।
পর্দাগুলো টেনে দাও—
আমার কিছুতে কিছুই যায় আসে না!
দরজায় হুড়কা লাগাও, দয়া করো,
নম্বরটা মুছে ফেলো,
আমার রাস্তার সাইন খুলে ফেলো,
কী আর হবে,
কী আর হবে এই ফালতু মেয়েটার
যে কিনা অতীতটাকে নিজের হাতের মুঠোয় চায়?
যে অতীত এক মৃত জাহাজে করে চলে গেছে
রেখে গেছে শুধু কিছু কাগজ?
ওখানে নেই।
ব্যাগটা খুলি,
যেভাবে মেয়েরা ব্যাগ খুলে থাকে,
মাছেরা টাকা আর লিপস্টিকের মাঝ দিয়ে
সামনে পেছনে সাঁতার কাটে।
আমি ওদের ধরে
একটা একটা করে
রাস্তার সাইনবোর্ডের দিকে ছুড়ে দিই,
ছুড়ে দিই নিজের ব্যাগটা
চার্লস নদীতে।
তারপর স্বপ্নটাকে টেনেহিঁচড়ে তুলে
যে কদাকার ক্যালেন্ডারের পাতায়
জীবনটা কাটাচ্ছি
তার সিমেন্টের দেয়ালে আছড়ে পড়ি,
আমার জীবন,
আর তার টেনে টেনে বয়ে বেড়ানো
নোটখাতা।

[‘৪৫ মার্সি স্ট্রিট’ কবিতাটি একই নামের (১৯৭৬) বই থেকে নেওয়া। এই বইতে কবির জীবনের ব্যক্তিগত কথা বড় বেশি উঠে এসেছে বলে অ্যান সেক্সটন বেঁচে থাকতে বইটি প্রকাশ করেননি।]

অ্যান সেক্সটন (জন্ম: ৯ নভেম্বর ১৯২৮—মৃত্যু: ৪ অক্টোবর ১৯৭৪)
ছবি: সংগৃহীত

অ্যান সেক্সটন
কনফেশনাল কবি অ্যান সেক্সটন। ব্যক্তিজীবনের কথা, কষ্ট কবিতা হয়েছে তাঁর কলমে। জীবনের বেশির ভাগ সময় মানসিক রোগের শিকার ছিলেন অ্যান সেক্সটন। থেরাপিস্ট ড. মার্টিনের উত্সাহে কবিতার ভেতর দিয়ে নিজের অসহনীয় আবেগ আর যন্ত্রণার কথা বলে গেছেন তিনি।

এই আমেরিকান কবির জন্ম ১৯২৮ সালের ৯ নভেম্বর ম্যাসাচুসেটসের নিউটনে আর কবি বড় হয়ে উঠেছেন ওয়েস্টনে।

আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বলতে হাইস্কুল ডিপ্লোমা আর একটা–দুটো কলেজ এক্সটেনশন কোর্স, কিন্তু কবিতা প্রকাশ হওয়ার পর টাফটস, র‍্যাডক্লিফ, আর হার্ভার্ড থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয় তাঁকে। অ্যান সেক্সটন ক্রিয়েটিভ আর্টস, ইউএস অ্যান্ড কানাডা থেকে গুগেনহাইম ফেলোশিপ পান। অ্যানটিঅক রাইটার্স কনফারেন্সের জন্য স্কলারশিপ পান ১৯৫৭ সালে। ১৯৫৯ সালে পান অডিয়েন্স পোয়েট্রি পুরস্কার। ১৯৬৫ সালে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি অব লিটারেচারের ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হন।

‘লিভ অর ডাই’ বইটির জন্য অ্যান সেক্সটন পুলিত্জার পুরস্কার পান ১৯৬৭ সালে। একই বছর পান শেলি মেমোরিয়াল পুরস্কার। হার্ভার্ড চ্যাপ্টারের দীর্ঘ ইতিহাসে অ্যান সেক্সটন হচ্ছেন প্রথম মহিলা, যিনি সুবিখ্যাত ‘ফাই, বিটা, কাপ্পা’ পাওয়ার সম্মান পান ১৯৬৮ সালের জুন মাসে।

আরও অজস্র সম্মানের মধ্যে আছে ব্রেড লোফ রাইটার্স কনফারেন্সের জন্য ফ্রস্ট ফেলোশিপ (১৯৫৯), র‍্যাডক্লিফ ইনস্টিটিউট ফেলোশিপ (১৯৬১), লেভিনসন পুরস্কার (১৯৬২), আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড লেটারস ট্রাভেলিং ফেলোশিপ (১৯৬৩), হার্ভার্ডে ‘মরিস গ্রে’ পাঠের জন্য নিমন্ত্রণ, ফোর্ড ফাউন্ডেশন গ্রান্ট। ১৯৭৩ সালের মধ্যে বোস্টন ইউনিভার্সিটির ক্রিয়েটিভ রাইটিংয়ের অধ্যাপক হন অ্যান সেক্সটন। পান কোলগেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপকের পদও। কবিতার জন্য তিনটা ‘অনাররি ডক্টরেট’ ডিগ্রি দেওয়া হয় তাঁকে।

কিন্তু সাহিত্যিক জীবনের সাফল্য, যশ আর খ্যাতি তাঁকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেনি, বিষণ্নতার হাত থেকে মুক্তি দেয়নি। ১৯৭৪ সালের ৪ অক্টোবর আত্মহত্যা করেন অ্যান সেক্সটন।