তৃণসুর
পথ হয়ে এলে তুমি
মেলে দিলে ঘাসের পল্লব
সূর্যের বিবর ঘেরে অরণ্যের সীমা
কাঠের ঘ্রাণ ঘেঁষে কান পেতে থাকার দিন এল নিবিড়
পা ফেলে এগোতে গেলে জড়িয়ে ধরছে তৃণসুর
কেন বিছানো পথের ডাক দিয়েছিলে তবে? কাঙ্ক্ষার সবুজ
আড়ালে রেখেছিলে বলে, আড়ালের আকাঙ্ক্ষার ধ্বনি
অলংকার হয়ে জড়াল ছায়ার বাহুতে—
চলমান ঘুমের ডানা ঝাপটানো, শ্বাসের উষ্ণতা
ছুঁয়ে যায় বারবার সেই গয়নার ধাতুকে—
ওই দেখো, রুপোর পাতে জাগে বাষ্পের পাপড়ি,
তার মুছে যাওয়ার পথে তোমার মনে উৎসুক রেণুর বৈভব।
সমুদ্র লবণের বীজ তোমার ত্বকে
একজীবনের বিশ্রামের শিশির হয়ে শোয়,
মাথা রাখে হাতে—তার চোখে ধরা দিল আকাশ,
যে ফুটছে, হাত ছড়াচ্ছে, গ্রাস করছে।