আমি ঢাকার ভানু

বাংলার চলচ্চিত্র ও মঞ্চজগতে কৌতুক ও রসাভিনয়ে একটি সর্বাগ্রগণ্য নাম ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ছিলেন ঢাকার সন্তান। গর্বভরে নিজেই বলেছেন, ‘আমি ঢাকার ভানু।’ আজ তাঁর জন্মশতবর্ষ। এদিনে ফিরে তাকানো যাক তাঁর জীবনচিত্রে।

কৈশোরে বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তের পার্শ্বচর হিসেবে তাঁর নির্দেশমাফিক টিফিনবক্সে রিভলবার আর ‘নিষিদ্ধ’ বই পাচার করতেন তিনি। তৎকালীন পূর্ব বাংলার রাজধানী ঢাকার সদরঘাট দিয়ে পুলিশ ও সরকারি কর্মচারীদের আসা-যাওয়ার ওপর রাখতেন তীক্ষ্ণ নজর। এক কথায়, তিনি ছিলেন খুদে গুপ্তচর। পরে ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন, অনন্ত সিং—এঁদের সঙ্গে পরিচয় ও জানাশোনা হয় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

হ্যাঁ, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। সরস রঙ্গ ও কৌতুকের জন্য যে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের খ্যাতি দুই বাংলাজুড়ে, তিনি ঢাকার সন্তান। তাই হয়তো সব জায়গাতেই ‘ঢাকার ভানু’ হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে ভালোবাসতেন তিনি। আজ সেই ঢাকার ভানুর জন্মশতবর্ষ।

১৯২০ সালের ২৬ আগস্ট ঢাকার দক্ষিণ মৈসুণ্ডি গ্রামে (সেই সময়ের বিক্রমপুর) জিতেন্দ্র নাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুনীতি বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় এক শিশু। নাম রাখা হয় সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মা–বাবার কাছে তিনি ছিলেন আদরের ভানু। ফলে ভানু নামের আড়ালে ঢাকা পড়ে তাঁর সাম্যময় নামটি। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ভানু ছিলেন ছোটর ওপরের জন। তাঁর দুই ভাইয়েরই অকালমৃত্যু হয়—একজন মারা যান ছোটবেলায় এবং অন্যজন পুলিশে চাকরিরত অবস্থায় মাত্র ২৬ বছর বয়সে। তাই ভানু ছিলেন তিন বোনের সবেধন নীলমণি একমাত্র ভাই।

ভানুর বাবা জিতেন্দ্র নাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বিংশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে ঠাকুরবাড়িতে গৃহশিক্ষক ছিলেন, রবীন্দ্রনাথের ভ্রাতুষ্পুত্রের। পরে অবশ্য ঢাকার নবাব এস্টেটের সদর মোক্তার হিসেবে চাকরি নেন। আর মা সুনীতি দেবী কর্মরত ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের শিক্ষা দপ্তরে। বাবা-মা সরকারি কর্মচারী, ফলে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধাচরণ বা ব্রিটিশবিরোধী মত প্রচার ও প্রকাশ করা ভানুদের বাড়িতে ছিল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও ১২ বছরের ভানু লুকিয়ে যোগ দেন স্বদেশি আন্দোলনে।

ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাসের পর ভানু ভর্তি হন জগন্নাথ কলেজ। এরপর স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে তাঁর সতীর্থ ছিলেন সাংবাদিক নির্মল সেন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক সত্যেন বসু, ড. জ্ঞান ঘোষ ও মোহিতলাল মজুমদারের প্রিয় ছাত্র ছিলেন ভানু।

তবে স্বদেশি আন্দোলনের কর্মী সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরস কৌতুকপ্রতিভার সূচনা ঘটল কীভাবে?

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে জড়ানোর পর জনমানুষের সঙ্গে অবাধে মেশার সুযোগ পান ভানু। এ সূত্রেই মানুষকে তীক্ষ্ণ পর্যালোচনা ও অনুধাবন করার ক্ষমতা গড়ে ওঠে তাঁর। ঢাকায় তিনি মিশতেন ঘোড়ার গাড়ির চালক ‘ঢাকাই কুট্টি’দের সঙ্গে। কুট্টিদের প্রবল তীক্ষ্ণ রসবোধ ভানুর কৌতুকপ্রতিভা বিকশিত করতে সাহায্য করেছিল। এর প্রভাব দেখা যায় তাঁর পরবর্তী জীবনে। ১৯৪৩ সালে তাঁর প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ড শ্রুতিনাট্যের কৌতুক নকশা বের হয়। তিনি এই কৌতুক নকশার নাম রাখেন ‘ঢাকার গাড়োয়ান’। এটা ছিল ঢাকার গাড়োয়ানদের নিয়ে ১৫ মিনিটের কমিক স্কেচ। পরের বছর অবশ্য এটি কেটেছেঁটে ৬ মিনিট করা হয়।

চলচ্চিত্রে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়
ছবি: সংগৃহীত

গত শতকের তিরিশের দশকে ভানু যে সময়ে বেড়ে উঠেছেন, তখন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের জোয়ার চলছে ভারতবর্ষজুড়ে। তার ঢেউ আছড়ে পড়েছে ঢাকা শহরেও। ত্রিশ দশকের শেষ দিকে বাংলার রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবিতে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন ভানু। ছাত্রজীবনে প্রথমে তিনি ছিলেন অনুশীলন সমিতিতে। পরে ১৯৪০ সালে যোগদান করেন আরএসপি নামের এক বামপন্থী সংগঠনে।

কলকাতা রাইটার্স বিল্ডিংয়ে ১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বর এক অভিযান চালান ঢাকার বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত। তিনি ভানুকে খুব স্নেহ করতেন। বিভিন্নজনের স্মৃতিচারণা থেকে জানা যায়, দীনেশ গুপ্তের একটা সাইকেল ছিল। আর ওই সাইকেলের পেছনের ক্যারিয়ারটা যেন ছিল ভানুরই। কেননা, তখনকার ঢাকায় দীনেশ গুপ্ত সাইকেলে যাচ্ছেন, অথচ সেই বাহনের পেছনের ক্যারিয়ারে ভানু বসে নেই—এমন দৃশ্য কল্পনা করাও ছিল কষ্টকর। ১৯৩১ সালের ৭ জুলাই দীনেশ গুপ্ত যখন ফাঁসিমঞ্চে প্রাণ দেন, ভানু তখন নিচ্ছেন দেশমাতৃকা মুক্ত করার বলিষ্ঠ শপথ।

ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, ঢাকার ভানু আদতে কেমন ছিলেন? জানা যাবে অনন্ত সিংয়ের কথা থেকে, ‘বিপ্লবীরা কি কখনো হাসতে জানে? বিপ্লবীদের হৃদয়ে দয়া নেই, মায়া নেই, নিষ্করুণ, নির্দয় ও নিষ্ঠুর পদার্থে গড়া বিপ্লবীর হৃদয়। নিজের সম্বন্ধে আমার এরূপ ধারণাই ছিল। তার একমাত্র কারণ আমার চারিপাশে বন্ধুরা আমাকে এই বলে সম্মোহিত করে রেখেছিল যে, আমি অতি নিষ্ঠুর, নির্দয় ও নিষ্করুণ—আমার হৃদয়ে কখনো কখনো করুণা, প্রেম, ভালোবাসা কোনো দিন কোনো স্থান পাবে না। তাদের এ রকম মন্তব্য শুনে শুনে আমি অভ্যস্ত ছিলাম। কোনো রকম প্রতিবাদ করতাম না।

‘আমার ভুল ভাঙল সেই দিন, যখন আমার প্রিয় যুবকবন্ধু কৌতুক অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য লাভ করলাম। “যমালয়ে জীবন্ত মানুষ” প্রথম একটি সম্পূর্ণ নতুন ধরনের সিনেমার ছবি আমি প্রযোজনা করি। শিল্পীদের সহযোগিতায় এই ছবিটি আমি সম্পূর্ণ করতে পেরেছিলাম।

‘এই সময়ে ভানুবাবুর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ হয়। তখন বুঝেছিলাম যে তিনি কেবল কৌতুক অভিনেতা নন, তিনি বাংলাদেশের সিনেমার পর্দায়, থিয়েটারের মঞ্চে, যাত্রার আসরের একজন সার্থক হাসির রাজা।

‘ভানুবাবুকে আমি কেবল কৌতুক অভিনেতা হিসেবে দেখছি তা নয়, তাঁকে আমি একজন বলিষ্ঠ দেশপ্রেমিক বলে মনে করি।’

এই দেশপ্রেমিক মানুষটি, পরবর্তীকালে যিনি খ্যাতিমান অভিনেতা হয়ে গোমড়ামুখের বাঙালিকে রসসাগরে ভাসিয়ে দেবেন, সেই ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানস গঠন হয়েছিল ঢাকায়। কেবল মানস গঠন নয়, ঢাকাতেই রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ঢাকার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমি যখন ঢাকায় অভিনয় করতাম, তখন আমার প্রথম সারির দর্শক ছিলেন অধ্যাপক সত্যেন বসু, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌, ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার, কবি মোহিতলাল মজুমদার, কবি জসীমউদ্‌দীন, অর্থনীতিবিদ এইচ এল দে, ড. এস কে দে প্রমুখ। তাঁরা আমার অভিনয় দেখে বলেছিলেন, তোর হবে।’

ভানুর হয়েছিলও বটে। চলচ্চিত্র ও মঞ্চজগতে কৌতুকরসের অভিনয়ে একটি সর্বাগ্রগণ্য নাম ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। ঢাকার ভানু কলকাতায় গিয়ে সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন ১৯৪৬ সালে। সে বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি সুশীল মজুমদার পরিচালিত ‘জাগরণ’-এ অভিনয় শুরু করার মাধ্যমে চলচ্চিত্রের অঙ্গনে তাঁর পা পড়ে। একই বছর সংগীতশিল্পী নীলিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি।

১৯৪৬ সাল থেকে ভানুর চলচ্চিত্রাভিনয়ের যে যাত্রা, সেখানে দিনে দিনে যুক্ত হয়েছে অজস্র পালক। ১৯৪৯ সালে বিমল রায় পরিচালিত ‘মন্ত্রমুগ্ধ’, প্রেমেন্দ্র মিত্র পরিচালিত ‘সেতু’ প্রভৃতি ছবিতে কাজ করার পর থেকে আর তাঁকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের লেখা গল্প থেকে ‘কাঞ্চন মূল্য’ নামে একটি চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেন ভানু। তা ছাড়া বাংলা সিনেমা ছাড়াও কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সত্যেন বোস পরিচালিত ‘বন্দিশ’ ও দুলাল গুহ পরিচালিত ‘এক গাঁও কি কাহানি’ ভানু অভিনীত অন্যতম হিন্দি চলচ্চিত্র। অন্যদিকে, এই অভিনেতার বিখ্যাত শ্রুতিনাটকের সংখ্যাও অনেক, যেখানে ঢাকার বা ‘বাঙাল’ ভাষা ব্যবহার করে তিনি হাস্যরসের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। একটা উদহারণ দেওয়া যাক:

ভানু: আমি তো বাঙাল। আপনে কী?

চরিত্র: আমি আবার কী? বাঙালি।

ভানু: তাইলে কী খাড়াইল?

চরিত্র: কী আবার খাড়াইল?

ভানু: কথাডারে ব্যাকরণে ফেলান। আমি হইলাম বাঙাল আর আপনে হইলেন বাঙালি। তার মানে আমি হইলাম পুং লিঙ্গ আর আপনে হইলেন স্ত্রী লিঙ্গ।

বস্তুত, প্রবল রসবোধের কারণে ভানুর ছবিগুলো ফ্লপ হওয়া একটু কঠিনই ছিল। ২৫০টির মতো চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। এসব চলচ্চিত্রের সংলাপ উচ্চারণ ও ডেলিভারিতে তিনি ব্যবহার করেছেন ঢাকাইয়া উচ্চারণ ও ভাষাভঙ্গী, যা একই সঙ্গে তাঁর অভিনয়কে জীবন্ত ও স্বতন্ত্রও করে তুলেছে। ‘সিরিয়াস অভিনয়ে একটু বেশি কাঁদলে ক্ষতি নেই, কম কাঁদলেও চলবে। কিন্তু কমিক চরিত্রের অভিনয়ে প্রপরশন জ্ঞানটা ভীষণ প্রয়োজন। খুব ভালো অভিনেতা না হলে ভালো কমেডিয়ান বা কৌতুক অভিনেতা হওয়া সম্ভব নয়।’ এ কথাগুলো বোধ করি ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা স্মরণ রেখেই বলা হয়েছে।

আর অভিনয় প্রসঙ্গে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল এমন, ‘অ্যান আর্টিস্ট মাস্ট ডিক্লাস হিমসেলফ। অভিনেতা যদি চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হতে না পারেন, তবে তার পক্ষে কোনো শিল্প সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। কেউ কেউ অবশ্য সহজাত শিল্পপ্রতিভা নিয়েই আসেন, আর অন্যদের কঠোর চেষ্টার দ্বারা শিল্পী পর্যায়ে উন্নীত হতে হয়।’

আমাদের ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় সহজাত শিল্পপ্রতিভা নিয়েই এসেছিলেন। ১৯৪১ সালে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা শুরু হয়। এ কারণে সে বছরের ১৪ অক্টোবর ঢাকা থেকে এক বস্ত্রে এক পরিচিতজনের গাড়ির পেছনের সিটের পাদানিতে শুয়ে কলকাতায় যান ঢাকার ভানু। কলকাতায় তিনি চলে গিয়েছিলেন বটে, কিন্তু বুকের ভেতর নিয়ে গিয়েছিলেন একখণ্ড ঢাকা। আর স্মৃতিময় সেই ঢাকার গন্ধ বুকে নিয়েই ১৯৮৩ সালের ৪ মার্চ তিনি চলে যান পৃথিবী ছেড়ে।

কালজয়ী জুটি উত্তম-সুচিত্রার সঙ্গে একটি সিনেমা আছে ভানুর। সেই চলচ্চিত্রের স্মৃতি উল্লেখ করে এক লেখায় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে একটা মন্তব্য করেছিলেন সুচিত্রা সেন। সেটুকু তুলে ধরে এ লেখার ইতি টানব, ‘শুরু হয়েছিল সেই “সাড়ে চুয়াত্তর” দিয়ে। পঞ্চাশের দশকের প্রথম দিক সেটা। তাঁর সেই বিখ্যাত সংলাপ তখন—এমনকি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফিরে চলছে—“মাসিমা, মালপোয়া খামু”। এরপর দিন, মাস, বছর কাটছে, ভানুবাবু মানুষকে হাসিয়েই চলেছেন—অনাবিল মুক্ত হাসি। দুঃখে যারা বিহ্বল, বেদনায় যারা বিধুর, ভানুবাবু তাদের মুখেও হাসি জুগিয়ে চলেছেন।’

হাস্যকৌতুকে একাই এক শ যিনি, জন্মশতবর্ষে সেই ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়—‘ঢাকার ভানু’র প্রতি জানাই সশ্রদ্ধ প্রণতি।

সূত্র: গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুবের ভানু সংকলন’, ‘চৌরঙ্গী’: ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ সংখ্যা ও ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’ আর্কাইভ।

অন্য আলো ডটকমে লেখা পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]