আর একটু বেশি ভালোবাসা

একপক্ষীয় এই কড়া নাড়া প্রমাণ করে, আমার প্রতি তোমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ অবশিষ্ট নেই। অনেক দিন পর পর, যখন নিজেকে স্মরণ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি, মনকে কিছুতেই আর সামলে রাখতে পারি না, তখন নির্লজ্জের মতো লিখি তোমায়, জানতে চাই কেমন আছ? তুমি ছোট্ট করে উত্তর দাও। যান্ত্রিক ভদ্রতা করে পাল্টা খবর নাও, বুঝতে পারি আমাকে উপেক্ষা করছ না, কিন্তু বিশেষভাবে মনেও তো রাখছ না। কত ছুতোয় তোমাকে ছুঁতে চেয়েছি, তুমি উদাসীন নির্লিপ্ততায় বিষাদ ভেজা বাতাসে মিলিয়ে গেছ। তবে আমার কি দায় পড়েছে, হৃদয়ের কোনায় ছোট্ট একটা সুইয়ের মতো তোমাকে সারাক্ষণ বিঁধিয়ে রাখার? একটু এদিক–সেদিক হলেই যেখান থেকে শিশিরের মতো চুইয়ে পড়ে রক্ত, আর আমাকে আড়ষ্ট ও বেদনার্ত করে। আমি সেই নাইটিঙ্গেলের মতো বুকের সব রক্ত দিয়ে প্রেমের গোলাপকে লাল করে তুলি, আর তুমি মুগ্ধ থাকো হিরার আংটির উজ্জ্বলতায়।

নিজেকে এবার মুক্ত করলাম, ভাঙলাম স্বরচিত আসক্তির কারাগার। তোমাকে ভুলে যাওয়ার কষ্ট খুব বুকে বাজছে কিন্তু মুক্তির আনন্দে তা আবার হালকা হয়ে যাচ্ছে। ভালোবাসার অন্য অর্থ হয়তো ভুলে যাবার স্বাধীনতা। এখন থেকে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ডানা মেলে আকাশে ভাসতে ভাসতে তোমাকে নিশ্চয়ই আর একটু বেশি ভালোবাসব, আরও বেশি বিভ্রমে পথ হারাব।