এত সুগন্ধি, তবু গরু চুরির গন্ধ দূর হয় না কেন

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আর যতীন সরকারের লেখা থেকে জানা যায় অতীতের গরু চুরির প্রবণতা। করোনাকালে সেই চুরি আরও বেড়েছে।

ঘাস খাওয়ানোর জন্য মাঠে গরু নিয়ে যাচ্ছেন একজন। গত নভেম্বরে মৌলভীবাজারেফাইল ছবি

মানুষ নাকি তার মজ্জাগত অভ্যাসগুলো ছাড়তে পারে না। যেমন কোনো না কোনোভাবে উত্তেজনার সময় খিস্তি মুখ ফসকে বেরিয়ে যায়।

অনেক আগে টেলিভিশনে প্রচারিত একটি নাটকের বিষয়বস্তু ছিল অনেকটা এ রকম—নায়কের দিন ফিরেছে। তবে তিনি গরু চুরির আদিম পেশার ‘মায়া’ ছাড়তে পারেন না। বিলাসবহুল গাড়িতে সওয়ার হয়ে দূরে কোথাও যেতে যেতে আশপাশে মানুষহীন রাস্তায় গরু দেখলে তার মনটা আনচান করে ওঠে। চেনা ব্যবসা হাতছাড়া হওয়ার কষ্টে মনটা তার ককিয়ে ওঠে। মাঝে মাঝে গাড়ি থামিয়ে গরুর গায়ে হাত বোলান। গরু অবশ্য টের পায় যে চোরের হাত বদ খাসলতের হাত। গরুটি ডেকে ওঠে। আর কাছের-দূরের গরুরা হাপুস চোখে তার সর্বনাশ দেখার জন্য তৈরি হয়। পথচারীরা অবাক হন, এক কেতাদুরস্ত প্রাণিপ্রেমী ‘ভদ্রলোককে’ দেখে গরু ডাকে কেন! সরল মানুষ গরুর বলদ মার্কা আচরণে বিরক্ত হয়।

এসবই বিগত দিনের নাটকের কথা, অতীতের কষ্টকল্পিত বিনোদন। এখন দিন পাল্টেছে। কিন্তু নাটকের মতো ঘটনা এখনো দিব্যি ঘটছে। ‘নিউজ’ হচ্ছে হামেশাই।

ব্যক্তিগত গাড়িতে করে গরু চুরি করতে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধরা পড়েছিলেন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বামুই গ্রামের ফারুক মিয়া (৪৫)। ঘটনা গত বছরের ডিসেম্বরের। তাঁর অনেক ধান্দার মধ্যে এটাও একটা। সড়কে চলার পথে কোনো গরু নজরে এলে গাড়িতে তুলে নিয়ে সটকে পড়েন তিনি। সঙ্গে থাকে আরও কয়েকজন। কালো কাচের প্রাইভেট কারের পেছনের সিটগুলো খুলে গরু রাখার ব্যবস্থা রেখেছিলেন। ধরা পড়ার পর জানা যায়, আগের তিন মাসে সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া এলাকা থেকে এভাবে তিনটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গত মার্চে প্রাইভেট কার ব্যবহার করে গরু চুরিতে জড়িত একটি দলকে আটক করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় হাপিশ করা আটটি গরু ও একটি চোরাই গাড়ি। চোরের দলটি গরুগুলো মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ডেফলউড়া গ্রামে সরিয়ে ফেলেছিল।

এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে গরু চুরি বৃহত্তর সিলেটের একটি আধুনিক চর্চা। দেশের অন্যান্য অংশেও একই চর্চার হদিস মিলেছে। সম্প্রতি বরিশালের উজিরপুরের জয়শ্রী এলাকা থেকে গরু চুরি করে প্রাইভেট কারে করে পালাচ্ছিলেন জনৈক মিজানুর রহমান ও তাঁর দুই সহযোগী। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় টহল পুলিশ গাড়িটিকে থামানোর সংকেত দেয়। চোরের গাড়ি পুলিশের দলটিকে চাপা চেওয়ার চেষ্টা করে পালিয়ে যায়। পরে সড়কে ট্রাকের ব্যারিকেড দিয়ে গাড়িটি থামানো হয়। উদ্ধার করা হয় চুরি করা একটি গাভি।

গরু চুরি একটি প্রাচীন খাসলত

সভ্যতার উষালগ্নে সেই প্রাণী পালনের যুগ থেকেই দেশে-বিদেশে, মরু-পাহাড়-বরফ-তৃণভূমিতে প্রাণী অপহরণের চর্চা চলে আসছে। ‘লাইভস্টক লিফটিং’ লিখে গুগলে পাত্তা লাগালেই হুর হুর করে বেরিয়ে আসবে সেসব কাহিনি। এ দেশ শাসন করতে আসা অনেক বড়লাট-ছোটলাটের পিতা অথবা পিতামহের নাম জড়িত আছে সেসব সমর্থিত-অসমর্থিত বয়ানে। এ দেশে তালিকা নষ্টের চল বেশি থাকায় সে রকম দেশি লাট-বেলাটের নাম খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে লোকমুখে বিখ্যাত-কুখ্যাত অনেক উজির-নাজিরের পিতা-পিতামহের নাম শোনা যায় গরুচোর হিসেবে। জেলার বাইরে ‘কাম সারতে’ গিয়ে এদের কেউ কেউ অক্কা পেয়েছেন। কেউ হাত-পা হারিয়ে ফিরেছেন। নামের আগে যোগ হয়েছে হাত কাটা বা পা কাটা শব্দযুগল।

কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৯৬৮ সালের ১০ ডিসেম্বরের তারিখ দিয়ে তাঁর ডায়েরিতে গরুচোর সিন্ডিকেটের বয়ান দিতে গিয়ে লিখেছেন, খুলনা ও যশোরে সংঘবদ্ধ গরুচোরের উৎপাত। একধরনের দালাল আছে যাদের কাছে ধরনা দিলে টাকার বিনিময়ে চোরাই গরু ফেরত পাওয়া যায়।

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আরও লেখেন, গরুর মালিক যদি শিকল দিয়ে গরু বেঁধে রাখেন বা গোয়ালঘরে তালা দিয়ে রাখেন, তবে গরু উদ্ধার করতে গেলে তালাচাবির ক্ষেত্রে পাঁচ টাকা ও শিকলের ক্ষেত্রে ১৫ টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়। দুটো গরু একসঙ্গে চুরি হলে একটি গরুর পূর্ণ বাজারদর দিতে হয়। খুলনার তালা ও ডুমুরিয়া এবং যশোরের কেশবপুর থানায় এই ধরনের গরুচোর সর্বাধিক।

সাপ্তাহিক পত্রিকা সাপ্তাহিক–এর (বন্ধ রয়েছে) নির্বাহী সম্পাদক শুভ কিবরিয়া আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সূত্র ধরে জানিয়েছেন, ১৯৮৫-৮৬ সালে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর অঞ্চলে তিনি একই রকম ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। নিজেদের গরু নিজেদেরই জরিমানা দিয়ে ছাড়িয়ে আনতে হয়েছে।

করোনাকালে গরু চুরির প্রবণতা যে বেড়েছে, তা পাওয়া যায় পুলিশ সদর দপ্তরের মামলার পরিসংখ্যান থেকে। পুলিশের হিসাবে, ২০১৯ সালের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আট মাসে গরু চুরি নিয়ে মামলা হয়েছিল ৬০৮টি। ২০২০ সালের একই সময়ে মামলা দাঁড়ায় ৮১৪। বাড়ার হার ৩৪ শতাংশ। বলা বাহুল্য, সব গরু চুরির ঘটনায় মামলা হয় না।

গরুচোরেরা কি আশ্রয় পায়

শক্তিধরদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছাড়া জীবন্ত এমন একটা ভারী প্রাণী গায়েব করে হজম করা চাট্টিখানি কথা নয়। কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী আমলাতন্ত্র তথা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় গরুচোরেরা ছায়া পায় বলে অনেকের ধারণা। কেন পায়, কী শর্তে পায় সেটা সামাজিক গবেষণার বিষয়। কিন্তু ছায়া আর ভরসা যে পায় তাতে কি কোনো সন্দেহ আছে? সন্দেহ নেই বলেই গণমানুষ একটু ক্ষমতার স্বাদ পেলেই বা কর্তৃত্ববাদিতার স্বাস্থ্যহানির খবর শুনলে প্রথমেই ছুটে যায় গরুচোরদের আর তাদের চরদের শিক্ষা দিতে।

উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে আইয়ুব খানের পতন হলে গ্রামের মানুষ মৌলিক গণতন্ত্রীদের পাশাপাশি গরুচোরদেরও পাকড়াও আর বিনাশ করতে থাকে। সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি প্রথম দিকে (২০০১-০৪) গরুচোরদের ধরে ধরে গাছে লটকাতে থাকে। গরুচোরদের বিরুদ্ধে মানুষ এতই বিরক্ত আর নাখোশ যে গরুচোর আখ্যা দিয়ে যেকোনো ব্যক্তিকে এ দেশে প্রকাশ্যে পিটিয়ে শেষ করে দিলে ‘বেশ হয়েছে’ বলার লোকের অভাব হয় না।

যতীন সরকার তাঁর পাকিস্তানের জন্মমৃত্যু-দর্শন বইয়ে এ রকম এক পরিস্থিতির ছবি এঁকেছেন নিপুণ তুলিতে। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান শহরের শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের গণ্ডি পেরিয়ে তখন ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামাঞ্চলে। আইয়ুব খানের অনুমোদিত মৌলিক গণতন্ত্রীদের পাশাপাশি দিকে দিকে টাউট-বাটপার-চোর-ডাকাতদের তোলা হচ্ছে গণ–আদালতে। তখন জামালপুরের মাদারগঞ্জ থানার গরুচোরদের এক গ্রামকে ঘেরাও করে বসে এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে এসব চোর চারপাশের গ্রামগুলো থেকে গরু চুরি করে আনছিল, এরপর গেরস্তের কাছ থেকে টাকা আদায় করে তবে গরু ফেরত দিত। পুলিশকে বারবার জানিয়েও প্রতিকার না পেয়ে এলাকাবাসী তাই খেপে যায় এবং চিহ্নিত চোরদের বাড়িতে আগুন পর্যন্ত লাগায়।

যতীন সরকার আরও জানাচ্ছেন, চোরদের সরদার জয়নাল অবশ্য বেশ ধার্মিক। হজ করে আসায় এলাকায় তত দিনে তার নাম জয়নাল হাজি। তো, ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী মেরে ফেলতে চাইলে জয়নাল হাজি নামাজ পড়ার জন্য কিছু সময় প্রার্থনা করেন।

আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের চিলেকোঠার সেপাই উপন্যাসে প্রায় একই ঘটনার বয়ান আছে, তবে ভিন্ন পরিণতিতে। উপন্যাসে বাম রাজনৈতিক কর্মী আলিবক্স আয়োজন করেন গণ–আদালত। কাঠগড়ায় থাকে খয়বার গাজী, দীর্ঘদিন ধরে যে লোকটি তার কিছু পোষা রক্তচোষাদের দিয়ে দরিদ্র কৃষকদের গরু চুরি করে মুক্তিপণ আদায় করছিলেন। আদালতের বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার পর খয়বার গাজীও একটি ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তিনি অন্তত পরের দিনের জুমার নামাজটা পড়তে চান। নামাজের অছিলায় খয়বার পালিয়ে গিয়ে জায়গা নেন শহুরে ‘পলিটিশিয়ানের’ দলে। গাজীদের হটানো অত সহজ নয়, গরুচোরদেরও নয়।

নিজের প্রভাববলয় বাড়ানোর জন্য শহুরে নেতারা আজকাল যেমন হেলমেট বা হোন্ডা (মোটরসাইকেল) বাহিনী পোষেন, জমিদারি আমল থেকে তেমনি চোর-ডাকাতের বাহিনী পালার নানা দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। অমুকের কথা না শুনলে, ভোট না দিলে গরু–ছাগল লাপাত্তা হয়ে যায়। আবার অমুকের কাছে গিয়ে ধরনা দিলে নানা শর্তে বমাল ফেরত পাওয়া যায়।

সুনামগঞ্জের হাওরের প্রত্যন্ত এলাকায় বৈশাখে মাছের পোনা ধরার ছলে চোরেরা গরু চুরি করে। পরে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেলে কয়েক দিন পর জবাই করে মাংস বিক্রি করে দেয়। সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, ছাতক ও সিলেটের বিশ্বনাথ এলাকায় এসব চোরের একাধিক শক্তিশালী সিন্ডিকেট আছে।

২০১৯ সালে গরুচোরদের উপদ্রবে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীকে সাহারা দেওয়ার জন্য একাধিক দৈনিক ধারাবাহিকভাবে লেখালেখি শুরু করে। একটি বহুল প্রচারিত দৈনিক এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের তৎকালীন পুলিশ সুপারের কাছে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, গরু চুরি হলে গরুর মালিক পুলিশের কাছে না এসে চোরদের সঙ্গে আপস করে। তবে পুলিশ চোরদের ধরতে সব সময় তৎপর।

পুলিশ সুপারের উক্তি কি কোনো কিছুর ইঙ্গিত করে?

চোরদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনও হয়

নানা ছত্রচ্ছায়ায় গরুচোরেরা এখন এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ সংখ্যায় বেশি হলেও রুখে দাঁড়াতে পারছে না। তারা এখন শহুরে মিন মিনে প্রতিবাদীদের মতো হারমোনিয়াম, মানববন্ধন, মোমবাতিতে আগুন আর সংবাদ সম্মেলনের পথ বেছে নিচ্ছে। এতে পুলিশের গুঁতোর ভয় কম।

সম্প্রতি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গরু চুরি রোধে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলন করেন। মির্জাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের উয়ার্শী, খৈলসিন্দুর, হালুয়াপাড়া, দেউলীপাড়া ও উত্তর রোয়াইলের ভুক্তভোগী ২২ পরিবারের সদস্যসহ শতাধিক এলাকাবাসী এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

এলাকার ২২ পরিবারের ৪৫টি গরু চুরির বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল সেই সংবাদ সম্মেলনে। এঁদের অনেকেই বিভিন্ন ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার টাকায় গরু কিনেছিলেন। চুরি যাওয়ায় পথে বসেছেন। ঋণের টাকা পরিশোধের কোনো পথ আর খোলা নেই। চোরের দল রাতের আঁধারে পিকআপে করে গরু নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীরা প্রথমে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পরে থানায় অভিযোগ দিয়েও চোরের উৎপাত থেকে রেহাই পাননি। মানুষ এখন বড়ই অসহায়।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গরু পাচার একসময় জমজমাট ছিল। কড়াকড়ির মধ্যেও তা বন্ধ হয়নি। ছিটমহালগুলো চোরাই গরু সামলে রাখার কাজে ব্যবহৃত হতো। এখন সে বালাই নেই। এই কাজে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওপারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কিছু অসাধু সদস্য। ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) তদন্তে উঠে এসেছে সেসব কাহিনি। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল সমীর কুমার মিত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন ‘রক্ষক যখন ভক্ষক হয়ে ওঠে তখন আর সুরক্ষা বলে কিছু থাকে না। যে বাহিনী জন্মলগ্ন থেকে দেশের জন্য আর বাংলাদেশের জন্য লড়াই করেছে, বিশ্বের বৃহত্তম সীমান্তরক্ষী বাহিনী, তার কিছু অফিসার পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়বেন, এটা অকল্পনীয়। বিএসএফের জন্য কলঙ্কজনক একটা ঘটনা।’

চোরেরা না জানি কবে কার্গো প্লেনে করে অথবা চার্টার্ড বিমানে চোরাই গরু নিয়ে উড়াল দেয়? তবে যার বা যাদের গরু হারাচ্ছে তারা বড় অসহায়। তাদের পাশে দাঁড়ানো এখন জরুরি। শক্তি চট্টোপাধ্যায় যেমন বলেছেন, ‘মানুষ বড় কাঁদছে, তুমি মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও,/ মানুষই ফাঁদ পাতছে, তুমি পাখির মতো পাশে দাঁড়াও,/ মানুষ বড় একলা, তুমি তাহার পাশে এসে দাঁড়াও।’

লেখক: গবেষক

[email protected]