যানজটমুক্ত ঢাকা

যানজট বলতে আমরা বুঝি, কোনো যন্ত্রচালিত বাহন যদি বাহকের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও চালাতে না পেরে ট্রাফিক সিগন্যালে মিনিটের পর মিনিট বসে থেকে যে জট তৈরি করে, তাকে। এই যানজট নগরবাসীর জন্য একটি মারাত্মক সমস্যা। দেশের উন্নয়নে নগরবাসীর ভূমিকা অপরিহার্য। অতএব নগরবাসী এই সমস্যা মোকাবিলা না করতে পারলে অন্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না। এই সমস্যা মোকাবিলার জন্য নিচের কয়েকটি বিষয় আমলে নেওয়া যায়:
১. যে রুটে বাস চলাচল করে, সেই রুটে রিকশা চলাচল নিষেধ করতে হবে। কেননা, চারটি রিকশা মিলে যে স্থান দখল করে, সেই স্থানে একটি বাস রাখা যায়। একটি বাসের ধারণক্ষমতা ৫০ জন হলেও চারটি রিকশার ধারণক্ষমতা মাত্র আটজনের। অতএব ঢাকাবাসীর জন্য যানজট নিরসনে ভালো দিকটি হবে বাসের রুটে রিকশা ঢুকতে না দেওয়া।
২. এমন কিছু প্রথম শ্রেণির লোক ঢাকায় বাস করেন, তাঁদের বহু প্রাইভেট কার কেনার সামর্থ্য থাকলেও প্রতিটি যৌথ পরিবারের জন্য একটি প্রাইভেট কার কেনার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। কারণ, তিনটি প্রাইভেট কার যে স্থান দখল করে, সেখানে একটি বড় বাস রাখা যায়। তিনটি প্রাইভেট কারের ধারণক্ষমতা ২০ জন থাকলেও একটি বাসের ধারণক্ষমতা ৫০ জন, আবার অনেক সময় একটি প্রাইভেট কারে চালক ছাড়া আর কেউ থাকেন না। অতএব প্রথম সারির লোকের জন্য একটি গাড়ি কেনার অনুমতি দেওয়া হলে প্রাইভেটকারের সংখ্যা কমে যাবে, তবেই যানজট নিরসন করা সম্ভব হবে।
৩. প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণির লোকাল বাস চালু করতে হবে। এই বাসগুলো দোতলা হতে পারে। অবশ্যই প্রথম শ্রেণির বাসটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত হবে, দ্বিতীয়টি একটু নিম্ন শ্রেণির হবে, আর তৃতীয়টি দ্বিতীয়টির চেয়ে একটু নিম্ন হবে। লোকাল যে বাসটি থাকবে, সেটি নন সিটিং থাকবে। আর প্রতিটি চৌরাস্তায় ফ্লাইওভার করা হলে অবশ্যই ঢাকাবাসী এই যানজটের কবল থেকে রক্ষা পাবে।
যানজট নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সব মন্ত্রী ও প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, বরিশাল।