সেশনজট

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে খ্যাত। বিশ্ববিদ্যালয়টি ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্নভঙ্গ ঘটিয়ে চলছে।
উচ্চশিক্ষায় দীক্ষিত হওয়ার যে স্বপ্ন নিয়ে তাঁরা ভর্তি হয়েছিলেন, সেশনজটের কারণে সে স্বপ্ন আজ ধুলোয় লুটোপুটি খাচ্ছে। চার বছরব্যাপী সম্মান কোর্স শেষ করতে সময় লাগছে ছয় থেকে আট বছর। বিভাগভেদে এ পরিসংখ্যানে হেরফের হয়। জীবনের প্রায় আটটি বছর ব্যয় করে সম্মান পাস করেও রক্ষা নেই। মাস্টার্সের একটি বছরে ছাত্রছাত্রীদের পড়তে হয় চরম অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায়।
পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরেও বছর খানেক ফলাফল আটকে থাকার ঘটনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নতুন নয়। এই হলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। কিছু করে দেখানোর স্বপ্ন আজ শুধু দুঃস্বপ্ন বলে মনে হয়।
প্রতিযোগিতার বাজারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় আমরা পাই না বললেই চলে। প্রতিযোগিতায় আমরা পিছিয়ে পড়ি। একই শিক্ষাবর্ষের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সফলতার কথা শুনতে শুনতে নিজেদের স্বপ্নগুলো বিবর্ণ হতে শুরু করে।
২৪ বছর বয়সে যেখানে অনার্স শেষ হয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে তা শেষ করতে এই শিক্ষার্থীর বয়স বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ কিংবা ২৮। অন্যদিকে সরকারি চাকিরতে আবেদনের মেয়াদই থাকে ৩০ বছর পর্যন্ত। গুটিকয়েক বিভাগ ছাড়া এর বেশির ভাগ বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের এ দুর্দশায় পড়তে হচ্ছে।
প্রশাসনের কাছে দাবি, দয়া করে আমাদের স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটাবেন না। আমরা এর প্রতিকার চাই।
ফাতেমা তুজ জোহরা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।