রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ

রাজনীতি জনমানুষের কল্যাণের জন্য। কিন্তু রাজনীতির সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁরা কি সবাই সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা ভাবেন? কলেজ বা ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা রাজনীতি-সম্পৃক্ত হয়ে টেন্ডারবাজি বা গোলাগুলিতে লিপ্ত হন। হরতাল চলাকালীন রাস্তার বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ বা আগুন ধরিয়ে জ্বালাও-পোড়াও করে থাকেন।

এতে রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট নয় এমন মানুষেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানুষ পোড়ে, শিশু মরে, প্রাণ হারান ছাত্ররা। রাজনীতি করতে হলে নেতার নাগরিক আচরণ, ব্যক্তিত্ব, চিন্তাভাবনা এবং বক্তব্য কতটা মানবীয় ও উদারপন্থী হওয়া আবশ্যক, তা অবশ্যই নিশ্চিত করা উচিত।
আর লেখাপড়ার পাশাপাশি উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণদের ধ্যানধারণা এবং চিন্তাভাবনার মূলে পরিবর্তন আনা সম্ভব। কারণ, আজকের তরুণেরাই আগামীর পথপ্রদর্শক। বিদ্যালয়, হাসপাতাল, পুলিশ সবই আমাদের দেশে আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাজনীতি শিক্ষার কোনো প্রতিষ্ঠান আমাদের এখানে গড়ে ওঠেনি।
সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা বাস্তবায়ন করতে হলে ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, পেশাজীবী প্রতিটি ক্ষেত্র বিবেচনা করে এই স্বাধীন দেশে জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা জরুরি প্রয়োজন। পরবর্তীকালে আদর্শ নেতৃত্ব খুঁজে বের করতে হলে জেলা ও থানা পর্যায়েও এর শাখা স্থাপন করা যেতে পারে।
মো. মকবুল, ঢাকা।