বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জে ভোগান্তি দূর করুন

সাধারণত যাঁদের বাসা বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার রয়েছে, তাঁদের সেই মিটারে টাকা রিচার্জ করার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কেননা, আগে এ টাকা রিচার্জ করার বেলায় গ্রাহকের নিজস্ব মুঠোফোনে আসা এসএমএসের ২০ ডিজিটের টোকেন নম্বর চেপে মিটারে টাকা রিচার্জ করা হতো। এতে ভোগান্তিতে কম পড়তে হতো গ্রাহকদের।

কিন্তু বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই টোকেনের ডিজিটের সংখ্যা ২২০ থেকে ২৪০ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা মিটারে প্রবেশ করাতে গিয়ে অনেকে ভুল করছেন। অনেকে আবার মিটারে এই ডিজিটগুলো প্রবেশের সঠিক নিয়মও জানেন না কিংবা এ বিষয়ে অবগত নন। এ কারণে তাঁদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে চরম বিরক্তি আর ভোগান্তি চিহ্ন।

এতে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে গ্রাহকদের ভোগান্তি। পরপর তিনবার চেষ্টা করার পর ভুল হলে লক করে দেওয়া হচ্ছে মিটারের সংযোগ। এতে অন্ধকারময় জীবন কাটাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। বাসা বা প্রতিষ্ঠানের মালিকই নন শুধু, ভাড়াটেরাও যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়ছেন। বিদ্যুৎ খাতে এ কেমন ডিজিটালাইজেশন!

অবশ্য এ বিষয়ে কথা বলেছেন পিডিপির কর্মকর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিদ্যুতের ট্যারিফ পরিবর্তন হলে প্রথমবার টোকেনে ডিজিটের সংখ্যা বেশি এসে থাকে। তবে পর্যায়ক্রমে এই ডিজিটের সংখ্যা কমে আসে।

এ ছাড়া কোনো গ্রাহক যদি এ রকম জটিলতায় পড়েন, তবে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা গিয়ে তাঁদের এ সমস্যা সমাধান করছেন এবং তাঁদের রিচার্জের সঠিক নিয়ম শিখিয়ে দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি তাঁরা বলেছেন, ২২০ কিংবা ২৪০ ডিজিটের টোকেন নম্বর মিটারে একসঙ্গে না টিপে, পরপর ২০টি টোকেন নম্বর প্রবেশ করার পর এন্টার ক্লিক করেও সহজে এ সমস্যার সমাধান পেতে পারেন গ্রাহকেরা।

এক জরিপে দেখা গেছে, গত বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত দেশে গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৩১ লাখ। এর মধ্যে প্রিপেইড মিটারের আওতায় এসেছেন ৫১ লাখ ৭ হাজার ৪৫২ জন। সে হিসাবে দেশের প্রায় ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় এসেছেন। এ ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ ভোগান্তি আসলে একটি কারিগরি ত্রুটি।

একটু ধৈর্য ধরে এর সমাধান খুঁজতে হবে এবং সহযোগিতা চাইতে হবে সংশ্লিষ্ট অফিস কর্মকর্তাদের। তাঁরা সব সময় এর সমাধানে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর। তাঁরা আরও বলেন, ধীরে ধীরে সব মিটারকে অনলাইনে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন। মিটারগুলো অনলাইনে নিয়ে গেলে ভবিষ্যতে এই ভোগান্তি গ্রাহকদের আর পোহাতে হবে না।

তৌহিদ-উল বারী
বাকলিয়া সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম