শিশুকে যৌন হয়রানি: মুখ খুলুন শিশুর হয়ে, শিশুর জন্য

জনজীবনের দুর্ভোগ, বায়ুদূষণ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি—এসব বিষয় নিয়ে আমরা যখন আলোচনায় ব্যস্ত, ঠিক সেই সময় আমাদের সন্তানেরা আশঙ্কাজনক হারে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তথ্যটি অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটিই সত্য।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। যত শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তার প্রায় ৭৬ শতাংশই যৌন নির্যাতনের শিকার। আর এই শিশুদের মধ্যে ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা বেশি। (প্রথম আলো)

এ তথ্য জানার পর মনে যে আশঙ্কাটি প্রথমেই দেখা দিয়েছে, তা হলো আমাদের সন্তান নিরাপদ আছে তো? সত্যটা হচ্ছে আপনার, আমার—কারও সন্তানই নিরাপদে নেই। যদি ভাবেন যে সন্তানকে নিরাপদে ঘরে রেখে এসেছেন, তাকে দেখার লোক আছেন, বাড়িতে আত্মীয়স্বজন আছেন, তাই বাচ্চার কোনো ক্ষতি হবে না, তাহলে এ ভাবনা ভুল। অথবা যদি ভেবে থাকেন, মা-বাবা বাচ্চার পাশেই আছেন, কাজেই বাচ্চা নিরাপদ—না, সেটাও ঠিক নয়। কারণ, নিয়মিতভাবে আপনার-আমার শিশু যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে ঘরে ও বাইরে।

আশঙ্কাজনক তথ্য হচ্ছে, ৭৫ শতাংশ যৌন হয়রানির ঘটনাই ঘটে পরিবারের ঘনিষ্ঠজন, বন্ধু ও আত্মীয়দের মাধ্যমে। কথাগুলো বলেছেন ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক, চাইল্ড অ্যাডোলসেন্ট অ্যান্ড ফ্যামিলি সাইকিয়াট্রি, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। আমরা অনেকেই জানি না, পারিবারিক ও পরিচিত পরিবেশে শিশু কীভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে এবং তা শিশুর ওপর কতটা এবং কীভাবে প্রভাব রাখছে।

ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সিল সেন্টারের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ইশরাত শারমিন রহমান তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছেন, শিশুরা বাইরের মানুষের দ্বারা নয়, বরং পরিবারের খুব কাছের মানুষের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, ৭ থেকে ১৩ বছরের শিশুরা সবচেয়ে বেশি যৌন হয়রানির শিকার হয়।

শিশুর প্রতি যৌন নির্যাতন একটি নীরব মহামারি, যা পরিবার–সমাজে সব সময় গোপনে ঘটছে। অভিভাবকেরা এই যৌন নিপীড়নের ঘটনা সব ক্ষেত্রে যে জানেন না বা বুঝতে পারেন না, তা নয়। অনেক সময় জানলেও পারিবারিক ও সামাজিক লজ্জার কারণে চুপ করে থাকেন। যেমনটা ঘটেছিল ১০ বছরের খুকির (ছদ্মনাম) জীবনে।

আরও পড়ুন

খুকি এসে তার বন্ধুদের কাছে বলেছিল যে তার মামা তাকে বাজে জিনিস দেখিয়েছিল। ও ওর মাকেও জানিয়েছিল, কিন্তু মা এ ঘটনার কথা কাউকে না বলে চুপ থাকতে বলেছিল। শিশুর নিরাপত্তাকে উপেক্ষা ও অবহেলা করে যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলো এড়িয়ে যাওয়া হয় বলে দিনে দিনে এর হার বাড়ছে।

ডিএমপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায় ৭৪ শতাংশ শিশু ‘আপত্তিকর স্পর্শে’র শিকার হয়েছে। প্রায় ৩৪ শতাংশ শিশুকে জোর করে অশ্লীল জিনিস দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, ২৮ শতাংশ শিশুকে যৌনাঙ্গ স্পর্শের মাধ্যমে নির্যাতন করা হয়েছে এবং প্রায় ২৪ শতাংশ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

‘শিশু যৌন নির্যাতন: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে দায়েরকৃত মামলার ওপর একটি গবেষণা’য় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, শিশু নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন হওয়া ও সন্তানদের বেশি করে সময় দেওয়া উচিত। শিশুকে যৌন নির্যাতনের এ চিত্র আমাদের কাছে নতুন না হলেও অনেকেই আমরা বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন নই এবং এ বিষয়ে তেমন কোনো তথ্যও জানি না। সামাজিক ট্যাবুর কারণে এ নিয়ে কথাবার্তাও হয় সামান্য। একে ঘিরে নীরবতার সংস্কৃতি রয়েছে আমাদের পরিবার ও সমাজে।

যৌন হয়রানির শিকার হওয়া সত্ত্বেও কেন শিশু সেটা বলতে ভয় পায় বা বলতে চায় না, এ প্রশ্নের উত্তর অভিভাবককে জানতে হবে। তা না হলে শিশু কতটা ও কীভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে, তা সহজে বোঝা যাবে না। কারণ, শিশুরা, বিশেষ করে যারা খুব অল্পবয়সী, তারা তাদের সঙ্গে মন্দ ও অশ্লীল আচরণ ঠিক বুঝতে পারে না অথবা ঘটনাটি প্রকাশ করতে পারে না। শিশু বুঝতে পারে না কাকে বলবে, কীভাবে বলবে? যাকে বলবে, সে কি তার কথা বিশ্বাস করবে নাকি তাকে ভুল বুঝবে?

পুলিশের প্রতিবেদনে যেহেতু বলা হয়েছে, প্রায় ৭৪ শতাংশ শিশু আপত্তিকর স্পর্শের শিকার হয়েছে, তাই দেরি হওয়ার আগেই শিশুদের ‘ভালো বা নিরাপদ স্পর্শ’ এবং ‘খারাপ বা অনিরাপদ স্পর্শ’ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান দিতে হবে। যদিও অনেকে মনে করেন, তাদের সন্তানের ভালো ও খারাপ স্পর্শ এবং এ–জাতীয় অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে বোঝার মতো বয়স হয়নি, কিন্তু তা ঠিক নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাঁচ বছর বয়স হলেই শিশুর সঙ্গে তার শারীরিক নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কথা বলা শুরু করা যায়। তারা বলেন, বইয়ের ভাষা ব্যবহার না করে বা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথা না বলে শিশুরা বুঝতে পারে, এমন ভাষাতেই শিশুর সঙ্গে কথা বলা উচিত।

মা–বাবা ও অভিভাবকেরা সন্তানকে পরিচিত ও অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে ভদ্র, নম্র ও লাজুক হতে শেখান। কিন্তু আপনার সন্তান যদি মনে করে, বয়স্ক কারও দ্বারা সে অপদস্থ হচ্ছে বা কেউ তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করছে, তাহলে অবশ্যই তাকে সেটা প্রতিহত করা শেখাতে হবে। যেকোনো ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে শিকার হলে শিশু যেন সাহায্যের জন্য চিৎকার করে এবং ‘না’ বলতে পারে, সেটা শেখাতে হবে।

আরও পড়ুন

যৌন হয়রানির শিকার হওয়া সত্ত্বেও কেন শিশু সেটা বলতে ভয় পায় বা বলতে চায় না, এ প্রশ্নের উত্তর অভিভাবককে জানতে হবে। তা না হলে শিশু কতটা ও কীভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে, তা সহজে বোঝা যাবে না। কারণ, শিশুরা, বিশেষ করে যারা খুব অল্পবয়সী, তারা তাদের সঙ্গে মন্দ ও অশ্লীল আচরণ ঠিক বুঝতে পারে না অথবা ঘটনাটি প্রকাশ করতে পারে না। শিশু বুঝতে পারে না কাকে বলবে, কীভাবে বলবে? যাকে বলবে, সে কি তার কথা বিশ্বাস করবে নাকি তাকে ভুল বুঝবে? এ ছাড়া পরিবারের খুব কাছের মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত হবে কি না, এটাও শিশু বুঝতে পারে না। শিশুর অভিভাবকেরা অনেক সময়ই লজ্জা বা কলঙ্কের ভয়ে এবং সামাজিক স্টিগমার কারণে একদম চুপ হয়ে যায়। এমনকি ভুক্তভোগী শিশুটিকেও বলা হয়, সে যেন এ কথা প্রকাশ না করে।

শিশুকে যে ব্যক্তিরা যৌন নিপীড়ন করে, তাঁদের অধিকাংশই বাবা বা মায়ের মতো স্নেহ দানকারীর ভূমিকায় পরিবার ও শিশুর সামনে আসে। এমনও হতে পারে, যৌন হয়রানি করার আগে অপরাধী শিশুকে নানাভাবে স্পর্শ করে অভ্যস্ত করে তুলতে পারে। এ ছাড়া তারা শিশুকে এমনভাবে স্পর্শ করে, যেন শিশু তার অশালীন আচরণ বুঝতে না পারে। এভাবেই তারা ক্রমশ গোপনে গোপনে অপরাধ চালিয়ে যেতে থাকে।

যৌন হয়রানির এ ঘটনা ঘটে শিশুর নিজ গৃহে, আত্মীয় ও বন্ধুদের বাড়িতে, স্কুলে, মাদ্রাসায়, দোকানে, স্কুলে যাওয়ার পথে ও অন্যান্য পরিচিত পরিবেশে। আমরা মনে করি, পুরুষেরাই প্রধানত শিশুদের যৌন হয়রানি করে। কিন্তু নারীদের বিরুদ্ধেও এ অভিযোগ আছে। পরিবারের ভেতরে থাকা বা বাইরে থাকা নারীও হতে পারে যৌন নিপীড়নকারী।

নিপীড়নকারী যদি পরিবারের সদস্য হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না। এ ঘটনা গোপন করা একধরনের অপরাধ। এ ছাড়া এতে সন্তানের মনে বিরূপ প্রভাব পড়ে এবং মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়। অভিভাবককে বুঝতে হবে, যে ব্যক্তি সন্তানের ক্ষতি করে, সেই যে–ই হোক তাকে প্রতিহত করতে হবে।

শিশু নিগ্রহকারী ব্যক্তি জানে, শিশু নিজের হয়রানির কথা কাউকে বলে না বা বলতে চায় না, বললেও শিশুর কথা সাধারণত বিশ্বাস করে না। যারা শিশুর শ্লীলতাহানি করে, তারা তাদের ভালো আচরণ দিয়ে শিশুর পরিবারে কাছের মানুষ ও নির্ভরশীল মানুষ হিসেবে জায়গা করে নেয়। ফলে অভিভাবক শিশুর করা অভিযোগ বিশ্বাস করতে চান না? কারণ, শিশুর প্রতি যৌন অপরাধ সাধারণত এমন ব্যক্তি করে যে পরিবারের সদস্য, বন্ধু, স্বজন, মুরুব্বি অথবা শিশুর মা–বাবার কাছের লোক বা বন্ধু।

বিশ্বাসের সেই সুযোগ অপরাধী যেন গ্রহণ করতে না পারে, সে জন্য অভিভাবককে সন্তানের অভিযোগ ও কারও প্রতি তার আপত্তি থাকলে সেটা শুনতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে। এখন সমাজে যেখানে শিশুর নিরাপত্তা ও সুস্থতা একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। সেখানে অভিভাবকের উচিত, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য জানা এবং শিশুকে তা জানিয়ে দিয়ে সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে তাকে রক্ষা করা।

শিশুকে সব ধরনের ধারণা দিয়ে তাকে প্রস্তুত করতে হবে, যেন সে ভয় না পায়, তথ্য গোপন না করে এবং দুর্বল হয়ে না পড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শিশুকে ‘নিরাপদ বা ভালো স্পর্শ’ ও ‘অনিরাপদ বা খারাপ স্পর্শ’ সম্পর্কে এমন ধারণা দেওয়া, যাতে সে এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে।

আমরা সাধারণত ধারণা করি যে মেয়েশিশুরাই যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের শিকার হয়। কিন্তু এ ধারণা একেবারে ভুল। বাংলাদেশে প্রতি চার মেয়েশিশুর মধ্যে এক শিশু আর প্রতি ছয় ছেলেশিশুর মধ্যে এক শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। মানুষ আগে সামাজিক ট্যাবুর কারণে ছেলেদের যৌন হয়রানি নিয়ে মুখ খুলত না। অবশ্য শুধু ট্যাবু নয়, অনেক অভিভাবকদের মধ্যে ধারণাই ছিল না যে ছেলেশিশুরাও যৌন নির্যাতনের শিকার হতে পারে। তাই তারা মেয়েশিশুদের নিয়েই সাবধান থাকেন এবং তাদেরই সচেতন করেন। সে জন্য বাউফলে মাত্র ১৩ বছর বয়সী ছেলেশিশুটি যখন হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন তার অভিভাবকেরা বুঝতেই পারেননি কেন তাদের কিশোর ছেলেটির এ অবস্থা হলো? ছাত্রটির মলদ্বারে ক্যানসার ধরা পড়ে এবং শিশুটি মারা যায়।

সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে, শিশুটি তার শিক্ষকের দ্বারা ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। সেই ক্ষত থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে সে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর শুধু জানুয়ারিতে আটটি ছেলেশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

শিশুরা বয়ঃসন্ধিকালে যোগাযোগমাধ্যম ও সমবয়সীদের কাছ থেকে দেহ ও যৌনতা সম্পর্কে এমন সব তথ্য পেতে শুরু করে, যা অনেকটাই বিভ্রান্তিকর এবং ভুল।

আধুনিক বিজ্ঞান বলে, শিশুকে যৌন নির্যাতনকারীর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য শিশুর শরীর ও মনের সুরক্ষা নিয়ে বারবার আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক কৌশলগুলো শিশুকে প্রাথমিক স্তর থেকেই শেখানো উচিত। কিন্তু সাধারণত দেখা যায়, যৌন নির্যাতন প্রতিরোধের কৌশলগুলো শিশুকে শেখানোর ব্যাপারে মা-বাবার সম্পৃক্ততার উদাহরণ খুব কম।

শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আমরা যত তাড়াতাড়ি অপরাধীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব, তত তাড়াতাড়ি অপরাধীকে ঠেকাতে পারব। কাজেই কোনো শিশু, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার হলে তা গোপন না করে মুখ খুলতে হবে আমাকে, আপনাকে। সবাইকে জানাতে হবে এ অপরাধের কথা এবং সাহায্য চাইতে হবে শিশুর হয়ে, শিশুর জন্য।

শিশুকে বকা না দিয়ে, লুকিয়ে থাকতে না বলে শিশুকে বলুন, তার প্রতি যে অন্যায় ও খারাপ আচরণ করা হয়েছে, এ জন্য শিশুর কোনো দোষ, ভয় বা লজ্জা নেই। লজ্জা বা দোষ সেই ব্যক্তির, যে এই খারাপ আচরণ করেছে। মা–বাবা বা অভিভাবকের মূল দায়িত্ব হলো শিশুর জন্য এমন পরিবেশ তৈরি করা, যেন শিশু কোনোরকম ভয় না পেয়ে তাদের জীবনের ভালো ও মন্দ দুই অভিজ্ঞতাই শেয়ার করতে পারে।

  • শাহানা হুদা যোগাযোগবিশেষজ্ঞ ও কলামলেখক