জিয়া হায়দার রহমানের লেখা
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সাহিত্য বা শিল্পের একটি শর্ত
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জিয়া হায়দার রহমান। ২০১৪ সালে প্রকাশিত তাঁর ইন দ্য লাইট অব হোয়াট উই নো উপন্যাস সমালোচক মহলে বেশ প্রশংসিত হয়। বইটি বহু ভাষায় অনূদিত হয় এবং ব্রিটেনের ‘জেমস টেইট ব্ল্যাক মেমোরিয়াল পুরস্কার’–এর মতো সম্মাননাও পান তিনি। সম্প্রতি বাংলা একাডেমিতে ‘দ্য পলিটিকস অব লিটারেচার’ শিরোনামে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তৃতা করেন। তাঁর ওই বক্তৃতানির্ভর একটি লেখা প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য বাংলায় অনুবাদ করে দুই পর্বে প্রকাশ করা হলো। আজ প্রকাশিত হলো শেষ পর্ব।
২০২০ সালের ৭ জুলাই হার্পারস ম্যাগাজিন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে একটি খোলাচিঠি প্রকাশ করেছিল। এ চিঠির ১৫০ জন স্বাক্ষরকারী একটি বিস্তৃত রাজনৈতিক পরিসর থেকে এসেছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে ছিলেন মার্গারেট অ্যাটউড, নোয়াম চমস্কি, সালমান রুশদি, স্টিভেন পিংকার, জে কে রাউলিং ও গ্লোরিয়া স্টেইনমের মতো ব্যক্তিত্ব। যেহেতু আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এবং আমি চিঠিটির মূল বক্তব্যের সঙ্গে একমত ছিলাম, তাই আমিও স্বাক্ষরকারীদের একজন হলাম।
আমি মনে করি এটা ন্যায্যভাবেই বলা যায়, চিঠিটি সেই সময়কার ‘ক্যানসেল কালচার’ নামে পরিচিত একটি ধারণাকে লক্ষ্য করে লেখা হয়েছিল, যে শব্দবন্ধ ও ধারণাটি এখন অবশ্য বেশ সেকেলে মনে হতে পারে। কিন্তু এর প্রধান লক্ষ্য ছিল কলেজ ক্যাম্পাস, মিডিয়া এবং বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় এমন একটি সংস্কৃতি, যা নির্দিষ্ট কিছু দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশকে শাস্তি দিতে চেয়েছিল, বিশেষ করে রাজনৈতিকভাবে রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির।
এর ফলে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কলেজ ক্যাম্পাসে কথা বলা থেকে বিরত রাখা হয়েছিল এবং অন্যদের শিক্ষাজগৎ বা উদারনৈতিক গণমাধ্যম সংস্থা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এগুলো সরকারের পক্ষ থেকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করার উদাহরণ ছিল না, বরং আমার দৃষ্টিতে এবং আমার মতো কিছু প্রগতিশীল ব্যক্তির (যেমন নোয়াম চমস্কি) দৃষ্টিতেও এগুলো ছিল জবাবদিহিহীন পক্ষগুলো দ্বারা ভাবপ্রকাশের ওপর আরোপিত সীমাবদ্ধতা।
কিন্তু এসব সীমাবদ্ধতাকে ছাপিয়ে গেছে পরবর্তী সময়ের আরও গুরুতর বাস্তবতা, যা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে মত প্রকাশ করায় পশ্চিমা বিশ্বের গণমাধ্যম এবং অন্যান্য খাতে কর্মরত ব্যক্তিরা চাকরি হারিয়েছেন বা উপেক্ষিত হয়েছেন আর শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার বা নির্বাসিত করা হয়েছে।
এটি আমরা মূলধারার বা ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যম থেকে জানতে পারিনি, বরং রাজনৈতিক মঞ্চে নতুন শক্তি-ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জেনেছি। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার এই সংকোচন এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রচেষ্টার মাধ্যমে আরও বেড়েছে। কিন্তু এটি শুরু হয়েছিল এবং এখনো অব্যাহত রয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের বাইরের পক্ষগুলোর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রধানত করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো দ্বারা।
আবারও বলছি, এই প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের কাছে জবাবদিহি করে না, যদিও জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে যে এখন জনগণ মূলত ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করে; বরং তারা (প্রতিষ্ঠানগুলো) কেবল সেই পক্ষগুলোর কাছেই জবাবদিহি করে যারা অর্থের জোগান দেয়।
২.
বাংলাদেশে মানুষ এখনো মুক্তভাবে কথা বলতে ভয় পায়—এমনকি শেখ হাসিনার পতনের পরও। এ থেকে বোঝা যায় যে আমাদের সমাজে সামাজিক ও করপোরেট বাধাগুলো কতটা গভীরে প্রোথিত আছে। এই সরকারও বাধাগুলো কমাতে খুব সামান্যই কাজ করেছে; বরং কিছু ক্ষেত্রে তারা পরিস্থিতি আরও নাজুক করে তুলেছে।
যখন বেশ ধুমধামের সঙ্গে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা হয়, তখন আবশ্যকভাবে স্বাক্ষরকারীদের একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়। ছবিতে নজরকাড়া বিষয়টি ছিল ফ্রেমে থাকা ৪৭ জনের মতো ব্যক্তির মধ্যে মাত্র একজন ছিলেন নারী।
চলতি বছরের শুরুর দিকে যখন নারী কমিশনের প্রধান শিরিন হক মৌখিকভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন, তখন সরকারের নিয়োগ দেওয়া এই নারীকে রক্ষার জন্য প্রধান উপদেষ্টা কি দৃঢ়ভাবে কথা বলেছিলেন?
একদমই না; বরং অধ্যাপক ইউনূস নীরব ছিলেন। আর সত্যি বলতে, প্রথম থেকেই নারী কমিশনের সুপারিশগুলো আমলেও নেয়নি ঐকমত্য কমিশন।
নারী কমিশন বা তাদের সুপারিশগুলোর বিষয়ে কি কোনো গুরুত্ব দেন আলী রীয়াজ? নারীদের বিষয়ে কি তাঁর কোনো মাথাব্যথা আছে?
কথায় বলে, একটি ছবি হাজার শব্দের সমান। আমি যখন জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারী ৪৭ জনের ছবিটা দেখি, যেখানে মাত্র একজন নারী, তখন আমার মাথায় এই শব্দগুলোই আসে: লিঙ্গবৈষম্য এবং নারীবিদ্বেষ।
নিজে নীরব থেকে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সমাজকে নীরব থাকতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি এবং তাঁর প্রশাসন এই নীরবতার সংস্কৃতিকে লালন করেছেন এবং তা চলতে দিয়েছেন। বস্তুত উদাহরণ সৃষ্টি করে তিনি এর নেতৃত্ব দিয়েছেন। উদাহরণটি খুব ভালো ছিল না।
আমরা হয়তো মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সাহিত্য বা শিল্পের জন্য একটি শর্ত হিসেবে উল্লেখ করতে পারি। কিন্তু সেই স্বাধীনতা নিশ্চিত করে জবাবদিহি। এ ধরনের স্বাধীনতা সীমিত করতে চাওয়া শক্তিগুলো—তা রাষ্ট্রীয় বা এর বাইরের হোক না কেন, যখন সেগুলো জবাবদিহির আওতায় থাকে, তখন স্বাধীনতাই এগিয়ে যায়।
৩.
অবশ্যই সংবাদমাধ্যমের ওপর রাজনৈতিক ও অন্যান্য চাপ আছে। চাপ আছে সরকারের বাইরে থেকেও। সহিংসতার আশঙ্কাও রয়েছে।
প্রতিদিন সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় চোখ বুলালে এই বিষয় মাথায় আসে যে কৌতূহল জাগানো ‘নিজস্ব প্রতিবেদক’ পরিচয়ে এক সাংবাদিক যেন অবিশ্বাস্য পরিমাণ কাজ করছেন।
নিজের নামে সংবাদ প্রকাশ করাটা সাংবাদিকের কাছে আকর্ষণীয়। কারণ, একজন সাংবাদিকের পেশাজীবন তখনই এগোয়, যখন তিনি নিজের নাম পরিচিত করাতে পারেন। তাহলে কেন তিনি নিজের নাম ত্যাগ করে বেনামি ‘নিজস্ব প্রতিবেদক’ পরিচয়ে লিখবেন?
অবশ্যই মূল কারণটা হলো নিরাপত্তা। অধিকাংশ দিনেই পত্রিকার প্রথম পাতার অর্ধেক খবর, বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য বা তাঁদের সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো ‘নিজস্ব প্রতিবেদক’ পরিচয়ে প্রকাশিত হয়।
ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই উচ্চ নৈতিকতা থেকে অবস্থান নিতে পারেননি প্রধান উপদেষ্টা। তাঁর বাসভবন বা কার্যালয়ের জানালা দিয়ে মলোটভ ককটেল ছোড়া হবে—এমন ভয় পাওয়ার দরকার নেই তাঁর। তিনি যদি নিজেকে জবাবদিহির আওতায় আনতেন, তাহলে তা অন্য নেতাদের কাছে একটি জোরালো বার্তা যেত যে সংবাদমাধ্যমের কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়াটাই দেশের সঠিক নিয়ম।
হ্যাঁ, আপনারাই হয়তো বলবেন, অধ্যাপক ইউনূসের উচিত ছিল শিরিন হকের পক্ষে দাঁড়ানো। আপনারা এটাও বলতে পারেন যে সংবাদ সম্মেলন সামলানোর মেধা নেই তাঁর। হয়তো আপনারা ঠিকই বলছেন।
যাহোক, গত বছরের অনেকটা সময় ছিল রাজনৈতিকভাবে অন্ধদের নেতৃত্বে রাজনৈতিকভাবে মেধাহীনদের পরিচালিত করার একটি উৎসব। এর পরিসমাপ্তি ঘটেছে ঐকমত্য কমিশন নামক প্রহসনের মধ্য দিয়ে।
৪.
আমরা হয়তো মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সাহিত্য বা শিল্পের জন্য একটি শর্ত হিসেবে উল্লেখ করতে পারি। কিন্তু সেই স্বাধীনতা নিশ্চিত করে জবাবদিহি। এ ধরনের স্বাধীনতা সীমিত করতে চাওয়া শক্তিগুলো—তা রাষ্ট্রীয় বা এর বাইরের হোক না কেন, যখন সেগুলো জবাবদিহির আওতায় থাকে, তখন স্বাধীনতাই এগিয়ে যায়।
জবাবদিহি হলো সেই জিনিস, যা সমৃদ্ধ সাহিত্য সংস্কৃতি এবং সমৃদ্ধ রাজনৈতিক সংস্কৃতি—দুটির মধ্যেই পাওয়া যায়। এই দুই সংস্কৃতিই একটি বৃহত্তর জবাবদিহির সংস্কৃতির অংশ। যেখানে জবাবদিহির অভাব থাকে, সেখানেই মধ্যপন্থা জেঁকে বসে।
জবাবদিহি কেবল রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক ব্যর্থতার জন্য সাজা দেওয়ার মাধ্যম নয়, বরং জনপরিসরে জবাবদিহি হলো সেই পদ্ধতি, যার মাধ্যমে আমরা মেধা, মঙ্গলজনক বিষয় বা আমরা যে মূল্যবোধগুলো প্রতিষ্ঠা করতে চাই, সেগুলো চিহ্নিত করতে পারি।
একইভাবে সাহিত্যের সমালোচনা করার জন্য উপযোগী একটি সমৃদ্ধ ও পরিশীলিত সংস্কৃতি ছাড়া কোনো সাহিত্য সংস্কৃতিই বিকশিত হতে পারে না। এরই মধ্যে পশ্চিমে আমরা দেখতে পাচ্ছি, সাহিত্যের সমালোচনার পতনের সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্য সংস্কৃতির পতন হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সব সংবাদপত্র গত ১০ বছরে তাদের সাহিত্য বিভাগে কর্মী ছাঁটাই করেছে। কেউ কেউ পুরো বিভাগই বন্ধ করে দিয়েছে। একই সময়ে সাহিত্যধর্মী বইয়ের বিক্রিও ধসে পড়েছে। দীর্ঘ সমালোচনার স্থান দখল করে নিয়েছে ছোট বাইট-সাইজ বই পর্যালোচনা। এটি সমালোচনা নয়, এটি জবাবদিহি নয়।
৫.
খুব বেশি সময় হয়নি এই বিষয়টি নিয়ে আমি ভাবার সুযোগ পেয়েছিলাম। বক্তব্যের শেষের দিকে একটি গল্প বলব। এর মধ্যে সামান্য আত্মপ্রচার রয়েছে। আশা করি, এ জন্য আপনারা আমাকে ক্ষমা করবেন।
সাহিত্য অধ্যয়নের সঙ্গে জড়িত স্বনামধন্য প্রত্যেক শিক্ষাবিদের কাছে ফ্রেডরিক জেমসন নাম পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্য তাত্ত্বিক ও সমালোচক। গত বছর তিনি পরলোক গমন করেছেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে তিনি ঔপন্যাসিকদের একটি তালিকা তৈরি করেছিলেন। তাঁর মতে, ওই ঔপন্যাসিকেরা বিশ ও একুশ শতকের সেরা।
সেই তালিকা এ বছরের শুরুতে প্রকাশ করা হয়েছে। স্ক্রিনে এটি ঠিক সেভাবেই এসেছিল, যেভাবে সম্ভবত জেমসন লিখেছিলেন। আমার মনে হয়, বিস্তৃত সময়কাল নিয়ে হলেও তালিকাটি বেশ সংক্ষিপ্ত ছিল। তালিকায় যখন আমার নাম দেখলাম, তখন কেঁদে ফেলেছিলাম। অবাকও হয়েছিলাম।
আমি তো প্রকৃত অর্থে ঔপন্যাসিক নই; কারণ, আমি মাত্র একটি উপন্যাস লিখেছি। তবে জেমসন আমার নামের পাশে আমার একমাত্র উপন্যাসের নামটি বন্ধনীর মধ্যে লিখে দিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি আমার এই ভাবনা দূর করেছিলেন যে তিনি হয়তো আমাকে অন্য কারও সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন।
কিন্তু এটি আমাকে এত নাড়া দিল কেন? উপন্যাসটি প্রকাশের পর ১০ বছর পেরিয়ে গেছে। তখন সেটি প্রশংসা ও স্বীকৃতি পেয়েছিল। আমার জীবন এরপর এগিয়েছে লেখালেখির বাইরে বিভিন্ন কাজে। যদিও সম্প্রতি দুটি বই লেখার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। দুটি বইই নন-ফিকশন।
আমি আবেগ আপ্লুত হয়েছিলাম, কারণ যাঁর বিচারবুদ্ধির প্রতি আমার এত শ্রদ্ধা, তাঁর কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পাওয়া আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। লেখক ও শিল্পীরা প্রায় সর্বজনীনভাবে এই সহজ বিষয়টির প্রতি সাড়া দেন।
এটি জবাবদিহির বিপরীত দিক। ‘সমালোচনা’ শব্দটির নেতিবাচক অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে আঘাত করার একটি হুমকি রয়েছে। এমনকি ‘সাহিত্য সমালোচনা’ শব্দ দুটির মধ্যেও সে আশঙ্কা থাকে। কিন্তু এমন আঘাতের ইঙ্গিত থাকা সত্ত্বেও সমালোচনার মাধ্যমে গড়পড়তা থেকে ভালোকে আলাদা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজনৈতিক জবাবদিহি ছাড়া সুশাসন টিকে থাকতে পারে না। সাহিত্যের সমালোচনা ছাড়া সাহিত্য শুকিয়ে যাবে। এই দুটিই আসে জবাবদিহির এক বৃহত্তর সংস্কৃতি থেকে।
কথা বলার স্বাধীনতার অর্থ হলো, অন্যরা আপনার কথার সমালোচনা করার স্বাধীনতা রাখে। এই দুটিই একসঙ্গে বিকশিত না হলে কোনোটিই টিকে থাকতে পারে না।
জিয়া হায়দার রহমান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক
*মতামত লেখকের নিজস্ব
প্রথম পর্ব: সাহিত্য ও রাজনীতি উভয়ের বিকাশের পূর্বশর্ত জবাবদিহির সংস্কৃতি