বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিলেই সরকারি কলেজের উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত হবে?

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ থেকে পাস করা গ্র্যাজুয়েটদের মান নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে কলেজ পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত করার নিমিত্তে ঢাকার সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তির নির্দেশনা দেন। সেই মোতাবেক ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি দেশের ৫৮৩টি সরকারি কলেজ নিজ নিজ জেলা ও বিভাগীয় শহরে অবস্থিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এ নিয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে উপাচার্যরা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, কলেজ পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে এটাই কি সবচেয়ে ভালো সমাধান? এটি বুঝতে হলে আমাদের ধারণা লাভ করতে হবে, বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোয় শিক্ষা কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ কমাতে ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করা হয়।

বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট ৮৮১টি অধিভুক্ত কলেজের মাধ্যমে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার দুই-তৃতীয়াংশ পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৭৩টি সরকারি কলেজে স্নাতক পড়ার সুযোগ রয়েছে।

ব্যাপক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে নানা কারণে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদান করা সম্ভব হয়নি। জেলা শহর, এমনকি উপজেলা পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোয় প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক, উপযুক্ত সিলেবাস, শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগার ও গ্রন্থাগারের সুবিধা বিবেচনায় না নিয়ে উচ্চশিক্ষা চালু করা হয়েছে। মানা হয় না শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত ১: ১৯ হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি কলেজগুলোয় প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ। অর্থাৎ শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত অনুপাত ১: ১১৩; কোথাও কোথাও আরও বেশি। যদিও জাতীয় শিক্ষা নীতি-২০১০-এ এই অনুপাত ১: ৩০ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীপ্রতি মাথাপিছু ব্যয় একেবারেই কম। ইউজিসির ২০২১ সালের তথ্যানুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীপ্রতি মাথাপিছু ব্যয় ছিল ৭০২ টাকা, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৪ টাকা এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪ হাজার টাকা। সনাতন ধরনের প্রশ্নপত্র ও ক্রাশ প্রোগ্রামের আওতায় সিলেবাস শেষ না করে পরীক্ষা সম্পন্ন করা গ্র্যাজুয়েটদের শিক্ষার মান অবনয়নের জন্য কম দায়ী নয়। এ ছাড়া শিক্ষকদের ওপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিয়ন্ত্রণ কিংবা সমন্বয় নেই বললেই চলে।

শিক্ষকেরা কেবল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স পড়ান এবং পরীক্ষা গ্রহণ করেন। তাঁদের নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন ও সুবিধাদি দেখভাল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কলেজগুলোয় ইনকোর্স পরীক্ষা ও উপস্থিতির নম্বর প্রদান করা হয় ক্যাম্পাস ছাত্রনেতাদের চাপ এবং পাশাপাশি অন্য কলেজে প্রদত্ত নম্বরের সঙ্গে তুলনা করে। একক পরীক্ষক পদ্ধতির কারণে চূড়ান্ত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন হয় না সঠিকভাবে।

শিক্ষকেরা যেহেতু ক্যাডারভুক্তির মাধ্যমে নিয়োগ পান, সে কারণে অন্য ক্যাডারের তুলনায় পদোন্নতি, গ্রেড উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা, যার প্রতিফলন ঘটে শিক্ষা কার্যক্রমের নানা পর্যায়ে। ফলে কলেজগুলোর মাধ্যমে দক্ষ শ্রমশক্তির পরিবর্তে সার্টিফিকেট-সর্বস্ব গ্র্যাজুয়েট চাকরির বাজারে প্রবেশ করছে। এটি নিয়ে শিক্ষাবিদ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন উদ্বেগ রয়েছে, তেমনি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানগুলোও একই কথা বলছে।

২০২১ সালে বিআইডিএসের এক জরিপে দেখা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ৬৬ শতাংশই বেকার থাকছে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনসংখ্যা লভ্যাংশ অর্জনের বদলে আমাদের তরুণ জনসংখ্যা ক্রমে বোঝায় পরিণত হচ্ছে। এই সুযোগে অন্য দেশ, বিশেষ করে ভারত ও শ্রীলঙ্কার জনশক্তি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে আধিপত্য বিস্তার করছে।

এ রকম একটি বাস্তবতায় শুধু ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম হাতবদল হলে সারা দেশে গ্র্যাজুয়েটদের দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে তা কোনো ভূমিকা পালন করবে না। কলেজগুলোর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটাতে হলে মূল সমস্যার দিকে নজর দিতে হবে।

শিক্ষকস্বল্পতা দূর না করে, কারিকুলাম যুগোপযোগী না করে, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন না ঘটিয়ে, শিক্ষার্থীর সংখ্যা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না এনে, ভর্তি পরীক্ষা ব্যতীত নিম্নমানের শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে শুধু অধিভুক্ত পরিবর্তন করে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, উত্তরপত্র প্রেরণ ও বিতরণ এবং ফলাফল প্রকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে কলেজ পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার মানের কোনো পরিবর্তন হবে না।

যুগোপযোগী কারিকুলাম, প্রয়োজনীয় শিক্ষক, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগার ও গ্রন্থাগারের সুবিধা, মাথাপিছু ব্যয় বৃদ্ধি এবং ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত মেনে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। একই সঙ্গে পদোন্নতি, গ্রেড উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কলেজশিক্ষকদের মধ্যে যে ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে, সেগুলো নিরসন করতে হবে দ্রুততার সঙ্গে। কেননা, শিক্ষকদের বঞ্চিত রেখে তাঁদের কাছ থেকে ভালো সার্ভিস আশা করা যায় না।

এ ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে গবেষণা করে দেখতে হবে ঢাকার সাত কলেজে কোন পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষায় কী ধরনের মানোন্নয়ন ঘটেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিজেই তার শিক্ষার্থী নিয়ে ভারাক্রান্ত। আবাসিক হলের কক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বারান্দায় শিক্ষার্থীরা থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

সাত কলেজের অধিভুক্ত কোনো কোনো শিক্ষকের ব্যক্তিগত লাভ হলেও সামগ্রিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, কেননা শিক্ষকেরা অধিভুক্ত কলেজ নিয়ে অতিরিক্ত চাপে থাকেন। এ কারণে পাঠদান ও গবেষণায় তাঁদের অবদান সংকুচিত হচ্ছে। অন্যদিকে সাত কলেজ অধিভুক্ত হলেও পাঠদান কিংবা গবেষণা বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোনো ভূমিকা নেই; বরং বিভিন্ন ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেতে হয়েছে কয়েকবার।

আরও পড়ুন

প্রকৃতপক্ষে জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে কলেজগুলোর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা অর্থহীন হয়ে পড়ছে। তা ছাড়া শতবর্ষী কলেজগুলো নবপ্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধীন প্রদান করা হলে একদিকে যেমন ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান কমবে, অন্যদিকে শতবর্ষী কলেজগুলোকে দেখভাল করার পর্যাপ্ত দক্ষতা ও জনবল—কোনোটাই নবীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নেই। উপরন্তু অপেক্ষাকৃত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কম বয়সী উপাচার্য ও জুনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে কলেজগুলোর প্রবীণ অধ্যক্ষ ও সিনিয়র শিক্ষকেরা কীভাবে কাজ করবেন, সেটি খুঁজে বের করা দরকার।

বরিশাল বিভাগে রয়েছে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়—একটি একবারেই নতুন সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যটি কিছুটা পুরোনো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এ দুটির কোনোটিই শতবর্ষী ব্রজমোহন কলেজকে তদারকিতে কাঙ্ক্ষিত ফল বয়ে আনবে বলে মনে হয় না। সাত কলেজ ঢাকা সিটিতে অবস্থিত বিধায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে তদারকি সম্ভব হলেও বিভাগ বা জেলা পর্যায়ে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধীন যে কলেজগুলো দেওয়া হবে, তা জেলা সদর বা উপজেলা শহরে অবস্থিত। সে ক্ষেত্রে সাত কলেজ মডেলের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

কলেজগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অ্যাফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকাও পর্যালোচনা করা দরকার। ২০১৮ সালের আগে কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত অধিভুক্ত কলেজগুলোর ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, গবেষণাগার সংস্কার, উপকরণ প্রদান ও শিক্ষক প্রশিক্ষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ভূমিকা ছিল না বললেই চলে।

বর্তমানে কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় শিক্ষণ উপকরণ (কম্পিউটার, স্মার্ট বোর্ড, ল্যাপটপ, ফটোকপিয়ার, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ইত্যাদি) প্রদান করা হচ্ছে। তবে শিক্ষকস্বল্পতা দূরীকরণ, যথাসময়ে পদোন্নতি ও গ্রেড প্রদানের বিষয়ে শিক্ষকদের হতাশা নিরসনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখার কোনো সুযোগ নেই।

তাহলে প্রশ্ন হলো, অধিভুক্ত পরিবর্তন হলেই কি এসব সমস্যার সমাধান হবে? আসলে সেটি হওয়ার কোনো কারণ নেই। এমনকি বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় শিক্ষক প্রশিক্ষণের যে কার্যক্রম চলমান, সেটিও বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হওয়ার কারণে কলেজগুলো আর পাবে না, যেভাবে প্রশিক্ষণটি বর্তমানে সাত কলেজের শিক্ষকেরা পাচ্ছেন না। আবার জেলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে কলেজগুলোর জন্য কোনো তহবিল পাবে—এ রকম নজির সাত কলেজের ক্ষেত্রে নেই।

সুতরাং শিক্ষকস্বল্পতা দূর না করে, কারিকুলাম যুগোপযোগী না করে, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন না ঘটিয়ে, শিক্ষার্থীর সংখ্যা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না এনে, ভর্তি পরীক্ষা ব্যতীত নিম্নমানের শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে শুধু অধিভুক্ত পরিবর্তন করে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, উত্তরপত্র প্রেরণ ও বিতরণ এবং ফলাফল প্রকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে কলেজ পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার মানের কোনো পরিবর্তন হবে না।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণ করতে হলে কলেজ পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে যাঁরা নিয়োগ প্রাপ্ত হন, তাঁরা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেলেও মাত্র ৩ শতাংশ শিক্ষা প্রশাসনে কাজ করেন। বাকি ৯৭ শতাংশই শিক্ষক, যাঁরা কলেজ পর্যায়ে উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত।

তাই তাঁদের কর্মকর্তার বদলে শিক্ষক হিসেব গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রকাশনা ও উচ্চতর ডিগ্রি জুড়ে দিয়ে সঠিক সময় পরপর পদোন্নতি দিতে হবে। শূন্য পদ না থাকলেও চাকরির শর্ত পূরণ সাপেক্ষে মূল পদ নিয়ে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতি প্রদান করা হলে শিক্ষকদের মধ্যে একদিকে যেমন হতাশা কমবে, অন্যদিকে মেধাবীরা কলেজ পর্যায়ে শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহী হয়ে উঠবেন। সুতরাং এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে সাত কলেজের অধিভুক্তিকে নিয়ে মানসম্মত গবেষণা ফলাফল মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেওয়াই যৌক্তিক হবে। তা না হলে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের কলেজ পর্যায়ের উচ্চশিক্ষা।

  • মু. ইব্রাহীম খলিল সহযোগী অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, বরিশাল
    [email protected]