ইসরায়েলের ওপর আমেরিকার প্রভাব কতটা অবশিষ্ট আছে

গাজার রাফায় রক্তপাত ঠেকাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলের জন্য অনুমোদিত ভারী অস্ত্রের একটি চালান স্থগিত করেছেন। কোন সাহসে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে এখনো অবজ্ঞা করে চলেছেন? ইসরায়েলের ওপর আমেরিকার প্রভাব কতটা অবশিষ্ট আছে, তা নিয়ে লিখেছেন শাকিল আনোয়ার

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়িয়ে চলেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ৬ মে ভারী বিধ্বংসী বোমার এক চালান স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়ার দুই দিন যেতে না যেতেই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক রিপোর্টে বলা হয়, গাজায় আমেরিকান অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল হয়তো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে। যে মিত্রকে আমেরিকা সব সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব অভিযোগ থেকে আড়াল করার চেষ্টা করে গেছে, তাদের সম্পর্কে এমন রিপোর্ট দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলতে চাইছেন তিনি আর ধৈর্য ধরতে রাজি নন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বেশ কিছুদিন ধরেই ইসরায়েলি সরকারকে সাবধান করছেন গাজার দক্ষিণে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের মতো ফিলিস্তিনি শরণার্থীতে ঠাসা শহর রাফায় বড় কোনো সামরিক অভিযান তিনি চান না। কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতি তিনি পাননি। ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট শেষ পর্যন্ত বুধবার গুরুত্বপূর্ণ একটি অস্ত্রের চালান স্থগিত করার ঘোষণা দেন। জানা গেছে, এই চালানে রয়েছে ২০০০ পাউন্ড এবং ৫০০ পাউন্ড ওজনের সাড়ে তিন হাজার বোমাসহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম । গত কয়েক দশকের মধ্যে এমন সিদ্ধান্তের নজির এই প্রথম।

আরও পড়ুন

কিন্তু তাতে ভয় পেয়ে নেতানিয়াহুর সরকার যে পিছু হটছে, এর কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত এখনো নেই।

গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে লড়াই সাত মাস ছাড়িয়েছে এবং সেই যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। বেসামরিক মানুষের মৃত্যু বাড়তে বাড়তে ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে, যার সিংহভাগই নারী ও শিশু। প্রতিদিন আমেরিকান টিভির পর্দায়, সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব মৃতদেহ আর ধ্বংসযজ্ঞের ছবি ছাপা হচ্ছে।

যেভাবে এল বাইডেনের সিদ্ধান্ত

নির্বাচনের বছরে এসব চিত্র নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন শঙ্কিত। কারণ, গাজায় ইসরায়েলকে অস্ত্র আর সমর্থন নিয়ে তাঁর দলের ভেতর বিভক্তি বাড়ছে। জনমত ঘুরে যাচ্ছে। ফলে তিনি এখন এই যুদ্ধের অবসান চাইছেন। জানুয়ারি থেকেই তিনি সেই ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। ঘন ঘন তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে জেরুজালেম পাঠিয়েছেন। নিজে ফোন করেছেন অনেকবার। কান দেননি নেতানিয়াহু। উপায়ান্তর না দেখে যুদ্ধ চলার সময়ই আমেরিকার ঘনিষ্ঠতম মিত্র দেশকে অস্ত্র সাহায্য স্থগিত করার বিরল সিদ্ধান্ত নিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

অক্টোবরে গাজায় সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই আমেরিকা ইসরায়েলকে শতাধিক অস্ত্রের চালান অনুমোদন করেছে বলে মার্কিন গবেষণা সংস্থা কাউন্সিল অব ফরেন রিলেশনস হিসাব দিয়েছে। এর মধ্যে বাংকারবিধ্বংসী বোমার মতো বিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। অস্ত্র সাহায্যকে কৌশল হিসেবে কাজে লাগানোর জন্য বাইডেনের ওপর ডেমোক্রেটিক পার্টির একাংশের চাপ বাড়ছিল। আমেরিকার নির্ভরযোগ্য বেশ কটি সংবাদমাধ্যম জানুয়ারি মাস থেকেই খবর দিচ্ছিল, হোয়াইট হাউস যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ইসরায়েলকে রাজি করাতে অস্ত্র সাহায্যকে ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করছে।

আরও পড়ুন

জানুয়ারির ২৮ তারিখ এনবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছিল, হোয়াইট হাউসের নির্দেশে পেন্টাগন যাচাই করে দেখছে ইসরায়েল কোন কোন অস্ত্র চাইছে, যাতে সেগুলোর চালান আটকে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে বিষয়টি কয়েক মাস ধরে ঝুলছিল। কিন্তু এপ্রিলের শুরুর দিকে ইসরায়েলি বোমায় ত্রাণ সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাতজন ত্রাণকর্মীর নিহত হওয়ার ঘটনায় বাইডেন ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে যে বিবৃতি তিনি জারি করেন, তাতে ইসরায়েল সরকারের কড়া ভাষায় সমালোচনা ছিল। আর এর এক মাস পর অস্ত্র ও ভারী বোমার চালান স্থগিত করার ওই ঘোষণা।

নিউইয়র্ক টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে লিখেছে, একসঙ্গে এত জন ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনা প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ করে তোলে এবং তিনি হয়তো আর ধৈর্য রাখতে পারেননি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বাইডেন কি ইসরায়েলকে রাফার বাইরে রাখতে পারবেন? চাপে কাবু হয়ে পড়বেন নেতানিয়াহু? এর কোনো লক্ষণ এখনো নেই। অদূর ভবিষ্যতেও যে তেমন লক্ষণ দেখা যাবে, তা হলফ করে কেউই হয়তো বলতে পারবেন না।

কারণ, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার জেরে রাজনৈতিকভাবে নেতানিয়াহু নিজে যে কাদায় পড়েছেন, তা থেকে কোনোক্রমে মুখরক্ষা করে বেরিয়ে আসা এখন তাঁর এক নম্বর অগ্রাধিকার। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের পছন্দের গুরুত্ব এখন তাঁর কাছে গৌণ। এখন তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় বিবেচনা নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব।

কিন্তু মৌলিক যে বিষয়টি বেশ কিছুদিন ধরেই গবেষক ও পর্যবেক্ষক মহলে আলোচনা-বিতর্ক হচ্ছে, তা হলো বর্তমানে ইসরায়েলের ওপর আমেরিকার কতটা প্রভাব রয়েছে? একজন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট কি এখন ইসরায়েলকে চাপ দিয়ে তাঁর ইচ্ছেমতো কাজ করাতে পারবেন?

এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই যে ইসরায়েল রাষ্ট্রের সৃষ্টির পর থেকেই দশকের পর দশক আমেরিকার আর্থিক ও সামরিক সাহায্যই ছিল তাদের প্রধান ভরসা। আমেরিকার আর্থিক ও সামরিক সাহায্যের তালিকায় ইসরায়েল সব সময় এক নম্বরে। এখন পর্যন্ত ইসরায়েল আমেরিকার কাছ থেকে কমপক্ষে ৩০০ বিলিয়ন ডলার সাহায্য পেয়েছে। আমেরিকার অত্যাধুনিক ও স্পর্শকাতর অনেক সমরাস্ত্র যে গুটিকয় মিত্রদেশ পায়, ইসরায়েল তার অন্যতম। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রায় শর্তহীন আমেরিকান কূটনৈতিক সাহায্য; যে কারণে আন্তর্জাতিক স্তরে কোনো সমালোচনা-নিন্দার বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করে না ইসরায়েল।

আরও পড়ুন

আমেরিকা-ইসরায়েল টানাপোড়েনের নানা পর্ব

জো বাইডেনের আগেও বিভিন্ন সময়ে বেশ কজন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট সাহায্য আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ইসরায়েলকে তাদের কথা শুনতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছেন এবং অনেকাংশে তাতে ফলও তাঁরা পেয়েছিলেন।

আশির দশকে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের জন্য অস্ত্রের চালান আটকে রেখেছিলেন একাধিকবার। ১৯৮২ সালে ফিলিস্তিনি গেরিলাদের বিরুদ্ধে হামলায় ইসরায়েল যখন লেবাননে নির্বিচার বোমা ফেলা শুরু করে এবং নিহত লোকজনের মৃতদেহ যখন প্রতিদিন টিভিতে দেখানো শুরু হয়, খেপে গিয়েছিলেন রিগ্যান। ক্লাস্টার বোমা এবং ৭৫টি এফ-১৬ বিমানের চালান আটকে দিয়েছিলেন তিনি।

সে সময়ের ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেগিনকে ফোন করে রীতিমতো ধমক দিয়ে বোমাবর্ষণ বন্ধ এবং সৈন্য প্রত্যাহার করতে বলেছিলেন। পছন্দ না হলেও বেগিন শেষ পর্যন্ত তা শুনতে বাধ্য হয়েছিলেন। এর আগে ১৯৮১ সালে আমেরিকার সঙ্গে পরামর্শ না করেই ইরাকের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের বোমা হামলার ঘটনাতেও ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রোনাল্ড রিগ্যান। এফ-১৬ বিমানের চালান আটকে রেখেছিলেন বেশ কিছুদিন।

এরও আগে ১৯৫৬ সালে মিসরের সায়ানাই থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে ইসরায়েলকে চাপ দিতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট আইজেনআওয়ার। মিসরের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে ইসরায়েলকে রাজি করাতে পুরো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার হুমকি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ফোর্ড। এরপর ১৯৯১ সালে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি নির্মাণ নিয়ে বিরোধে প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়র ইসরায়েলের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ গ্যারান্টির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছিলেন।

আমেরিকানির্ভরতা কমাচ্ছে ইসরায়েল

কিন্তু তখন পর্যন্ত ইসরায়েলের ওপর আমেরিকার চাপ যতটা কাজ করত, তা যে এখন তেমন আর করে না, প্রেসিডেন্ট বাইডেন হয়তো এখন সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।

কেন করে না—তার কারণ হিসেবে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন, ইসরায়েল বিশেষ করে দুই দশক ধরে সচেতন চেষ্টায় আর্থিক-সামরিক এবং এমনকি কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও আমেরিকার ওপর নির্ভরতা কমিয়েছে।

বছর তিনেক আগে মার্কিন সাংবাদিক ম্যাক্স ফিশার ইন্টারপ্রেটার সাময়িকীতে গবেষণাধর্মী তাঁর এক প্রতিবেদনে এক এক করে দেখিয়েছিলেন কীভাবে ইসরায়েল নব্বইয়ের দশক থেকে প্রায় গোপনে ধীরে ধীরে ‘সার্বভৌমত্ব’ অর্জনের চেষ্টা করেছে এবং তাঁর মতে, অনেকটাই সফল হয়েছে। অপরিহার্য অস্ত্র ইসরায়েল এখন নিজেরাই বানাচ্ছে। আমেরিকান সাহায্যের অঙ্ক এখনো বিশাল, কিন্তু ১০ বছর ধরে ইসরায়েলের অর্থনীতির যে অসামান্য উন্নতি হয়েছে, তাতে নির্ভরতা অনেক কমেছে। ১৯৮১ সালে যেখানে আমেরিকান সাহায্য ইসরায়েলি অর্থনীতির ১০ শতাংশ ছিল, ২০২০ সালে তা দাঁড়ায় মাত্র ১ শতাংশে।

ম্যাক্স ফিশারের মতে, কূটনৈতিক দুনিয়াতেও ইসরায়েল এখন অনেকটাই স্বাবলম্বী। আমেরিকার অনুমোদন ছাড়াই এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার বেশ কিছু দেশের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছে তারা। এসব দেশকে গোয়েন্দা নজরদারির প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে ইসরায়েল তাদের একটি প্রভাববলয় তৈরির চেষ্টা করছে। ভারতের মতো উপনিবেশবিরোধী দেশও এখন ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র।

সবচেয়ে বড় কথা, ম্যাক্স ফিশার লিখেছেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংঘাত ইস্যুতে এখন ইসরায়েল আমেরিকার মধ্যস্থতা চায় না এবং তারা মনে করে, এই বিরোধ এককভাবে আয়ত্তে রাখার ক্ষমতা তাদের হয়েছে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন জনমত জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, সিংহভাগ ইসরায়েলিও এখন ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি স্থাপনে নিরাসক্ত হয়ে পড়ছে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি অন্যায়কে তারা আগের মতো তেমন গ্রাহ্য করে না। ফলে ইসরায়েলি রাজনীতিকদের ওপর এখন এই ইস্যুতে তেমন কোনো গণতান্ত্রিক চাপ নেই। ফলে ফিলিস্তিন ইস্যুতে আমেরিকাকে অগ্রাহ্য করা এখন তাদের জন্য অনেক সহজ।

গত নভেম্বর মাসেও প্রেসিডেন্ট বাইডেন সংঘাতের একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ হিসেবে একাধিকবার স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কথা বলেছেন। গাজায় যুদ্ধ শেষের পর সেখানে নতুন করে ইসরায়েলি দখলদারি কায়েমের চেষ্টা আমেরিকা সমর্থন করবে না বলে সাবধান করেছেন। নেতানিয়াহু সেসব কথা কানে নেননি।

আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ইসরায়েল

ইসরায়েল নিয়ে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যে পরিবর্তন সাম্প্রতিক সময়ে হয়েছে, সেটি ইসরায়েলকে আরও সাহস জুগিয়েছে। কৌশল বদলে রিপাবলিকান পার্টি এখন শর্তহীনভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন জুগিয়ে যাওয়ার পথ নিয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েল ইস্যুতে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে মেরুকরণ শক্ত হচ্ছে। আর এর সুযোগ নিচ্ছেন নেতানিয়াহু। পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি এবং ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি ইস্যুতে তিনি মার্কিন পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামাকে খোলাখুলি অপমান করার সাহস দেখিয়েছিলেন। পরে নির্বাচনের সময় তিনি ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণা পর্যন্ত চালিয়েছিলেন। আর এ জন্য নেতানিয়াহুকে কোনো পরিণতি ভোগ করতে হয়নি।

আমেরিকা একহাতে ইসরায়েলের অর্থনীতি এবং সামরিক শক্তির ভিত্তি তৈরি করেছে। দশকের পর দশক ধরে তাতে রসদ জুগিয়ে চলেছে। কিন্তু সেই প্রভাব কখনোই তারা ঠিকমতো কাজে লাগায়নি। ফিলিস্তিনি বা আরব ইস্যুতে আমেরিকান নেতারা মাঝেমধ্যেই ইসরায়েলের ওপর নাখোশ হয়েছেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের পক্ষই নিয়েছেন। আর তার ফলে ইসরায়েলের ভেতর আত্মবিশ্বাস জেঁকে বসেছে যে তারা সব ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের ঘনিষ্ঠতম মিত্রের ওপর আমেরিকা কালে কালে তাদের প্রভাব কতটা খুইয়ে বসেছে, তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

  • শাকিল আনোয়ার সাংবাদিক