ভালো মব খারাপ মব, কোনটা কার মব

‘মব–সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ শিক্ষক বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁরা মব–সন্ত্রাস নিরসনে দ্রুত কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক দল শিক্ষক, যাঁরা বিএনপিপন্থী শিক্ষক প্রতিষ্ঠান সাদা দলের সদস্য, তাঁরা বিবৃতিটি পছন্দ করেননি। তাঁরা বিবৃতিদাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শাস্তি দাবি করেছেন। তাঁদের ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ ও ‘গণহত্যার হুকুমদাতার পৃষ্ঠপোষক’ বলে অভিহিত করেছে সাদা দল। সাদা দলের অভিযোগ নিয়ে নিশ্চয়ই অনেক আলাপ আলোচনা হবে; কিন্তু প্রশ্ন আসবে—এখন কেন?

‘মব–সন্ত্রাস’ নিয়ে কথা বলায় সাদা দল হঠাৎ এত সক্রিয় ও ক্রোধান্বিত হলো কেন? এ বিবৃতি সাদা দল ও নীল দল মিলে একত্রে দিতে পারত; কিন্তু তা কেমন করে হবে? কোন মব খারাপ—সাদা মব না নীল মব? এ নিয়ে তাদের মধ্যে মতান্তর আছে।

যাঁরা মবের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাঁদের অনেকেই সিলেক্টিভলি বা বাছা বাছা মবের বিরুদ্ধে। সরকারের লোকজন যাঁদের দায়িত্ব মব বন্ধ করা; তারাও মব মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। কখনো কখনো মব হয়ে যাওয়ার পর মৃদুস্বরে দু-একটা কথা বলে নিজেদের অক্ষমতা জানান দিচ্ছেন। অনেক সময় মব–সন্ত্রাস হয়েছে পুলিশের উপস্থিতিতেই। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশই মবের শিকার হয়েছে।

প্রশ্ন হতে পারে, কোন মব ভালো বা ভালো মব কি আছে? শেখ মুজিবের বাড়ি ভাঙার মব, মাজার ভাঙার মব, মিউনিসিপ্যালিটি অফিসে তালা দেওয়া ‘ঢাকাবাসী’র মব, বাউলগানের আসর ভাঙা মব, এনবিআরের কর্মচারীদের তালা দেওয়ার মব, একজন গরিব নরসুন্দরকে দল বেঁধে মারার মব— এগুলোর কোনটা ভালো মব?

যাঁরা মব করেন, তাঁদের নিজেদের পক্ষেও যুক্তি আছে। কেউ বিনা কারণে মব করেন না। কেউ কেউ তাঁদের পছন্দ বা অপছন্দের ব্যাপারগুলো নিয়ে অস্থির থাকেন এবং মব করাকে জাতীয় বা নৈতিক দায়িত্ব মনে করেন।

শেখ মুজিবের বাড়ি যাঁরা ভাঙলেন, তাঁদের যুক্তি—শেখ হাসিনা ওখানে গিয়ে আওয়ামী লীগারদের জড়ো হতে বলেছেন; সুতরাং সেটি ফ্যাসিবাদ উৎখাতের জন্য উপযুক্ত টার্গেট। বাড়ি ভাঙার তিন দিন পর আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কাজটা ভালো হয়নি।

যাঁরা টিভি অভিনেতা সিদ্দিককে মেরে–ধরে পুলিশে দিলেন বা যাঁরা নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদাকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিলেন, তাঁদের যুক্তি—তাঁরা একটি জাতীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁরা না ধরলে এই লোকগুলো পালিয়ে যেতেন কিংবা অধরাই থেকে যেতেন।

আরও পড়ুন

লালমনিরহাটে কিছু লোক এক নরসুন্দরকে মেরে পুলিশ দিয়েছেন। নরসুন্দরের একজন খদ্দের বলেন, তিনি ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। নরসুন্দর বলেছেন, চুল কাটার টাকাকড়ি নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হওয়ায় খদ্দের মিথ্যা বলেছেন। কেউ যাচাই–বাছাই করলেন না। সবাই মিলে পিটিয়ে তাঁকে থানায় দেন।

এনবিআরের কর্মচারীরা অনেক দিন ধরে দলবদ্ধ হয়ে মব–সন্ত্রাস করেছেন। তাঁরা মনে করেন, প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দুই ভাগ করে সরকার খুব খারাপ কাজ করছেন। সুতরাং এটিকে জোড়া লাগিয়ে রাখা তাঁরা নিজেদের জাতীয় দায়িত্ব মনে করছেন। সরকার তাদের দাবি মেনে নেওয়ার পরও তারা নতুন দাবি খুঁজে পেলেন এবং পুরো প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন।

‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে দেড় মাস ধরে মব–সন্ত্রাস করে ঢাকা দক্ষিণ মিউনিসিপ্যালিটিতে তালা দেওয়া হয়েছিল, ঢাকাবাসী বঞ্চিত হলেন অনেক জরুরি সেবা থেকে। যাঁরা তালা লাগিয়েছেন তাঁদেরও যুক্তি আছে—‘ঢাকাবাসী’ বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের হাতে ছাড়া অন্য কারও হাতে সেবা গ্রহণ করবে না।

এ নিয়ে আমাদের দুই তরুণ রাজনৈতিক নেতা কথা চালাচালি করেছেন—কে কার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত! যাঁরা প্রবীণ, তারা বলছেন, কার দোষ, কে নির্দোষ—এসব নিয়ে তোমরা বাগ্‌বিতণ্ডা অন্য জায়গায় করো; কিন্তু জনগণ মিউনিসিপ্যালিটিতে ট্যাক্স দিচ্ছে, তোমরা কে এখানে তালা দেওয়ার? কিন্তু কার কথা কে শোনে?

বাউল গান নিয়েও যথেষ্ট মব–সন্ত্রাস হয়েছে। তাঁদের যুক্তি—সৃষ্টিকর্তার গুণগানের জন্য বাউল গান করা লাগবে কেন? একশ্রেণির লোক বাউলসংগীত বন্ধ করাটা তাঁদের নৈতিক দায়িত্ব মনে করেন। তাঁদের কেউ কি লালনের ‘সময় গেলে সাধন হবে না’—গানটা শুনেছেন? সময় থাকতে ধর্মকর্ম করো—লালনের মতো এত সুন্দর করে এ কথাটা আর কে বলতে পারতেন?

এখন দেশের সর্বত্র এক নতুন মবের উৎপাত বেড়ে গেছে, ‘চাঁদা আদায় মব’। এরা দল বেঁধে ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগার বা অন্যদের থেকে চাঁদা আদায় করে, তাঁদেরও যুক্তি আছে। তাঁদের দল অনেক বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে, এখন তাঁদেরই সময় ‘রুজি-রোজগার’ করার।

এগুলো কি সব ‘মব’ বা এগুলোর কোনটা ভালো মব আর কোনটা খারাপ মব? তা নিয়ে আলোচনা করাও ঝুঁকিপূর্ণ। আপনি আবার মব–সন্ত্রাসের শিকার হয়ে যেতে পারেন।

পটিয়ায় একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সদস্যরা। ওসি তাঁকে গ্রেপ্তার করেননি; কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। ওসি আইনমাফিক কাজ করেছেন; কিন্তু প্রশাসন ওসিকে সমর্থন করার সাহস পেল না। ছাত্রদের দাবিমতো ওসিকে অপসারণ করল। এটা কী বার্তা দিল?

একই ভুল করেছিল আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতা সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দিয়ে তারা দেশ ও দেশের সব আইন নিজের করে নিয়েছিল। এর পরিণতি জানতে বেশি পেছনে তাকাতে হবে না।

প্রতিশোধের মব নিয়ে হেফাজতে ইসলামের ভিন্নমত রয়েছে। শেখ হাসিনার দোসরদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ক্ষোভ ও গণপ্রতিরোধকে ‘মব (উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণ)’ বলার মধ্যে ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্র দেখছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন না হওয়া পর্যন্ত দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার গণপ্রতিরোধ জারি থাকবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে দলটি। ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করতে গিয়ে যে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম নিচ্ছে, সেটি তাদের কে বুঝবে?

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘মব জাস্টিস’ নিয়ে সময়োপযোগী বার্তা দিয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, এখন মব জাস্টিসের নামে এক হিংস্র উন্মাদনা মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার পরিবেশকে বিপন্ন করবে। আর যেন একমাত্রিক রাষ্ট্রের পুনঃপ্রবর্তন না হয়, সে জন্য গণতন্ত্রকে গতিশীল ও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।

ঠিক যে সময়ে ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটিতে তালা লাগানো মবের এক মাস উদ্‌যাপিত হচ্ছিল, সেই সময়ে তারেক রহমানের এই বিবৃতিকে তাই কথার কথা মনে করার অবকাশ থেকে যায়।

মব–সন্ত্রাসে যুক্ত ব্যক্তিরা একটি মব করেন, তারপর কীভাবে যেন হাওয়া হয়ে যান। মব হয়ে যাওয়ার পর আমরা সবাই মব নিয়ে হইচই করি, প্রতিক্রিয়া জানাই, তারপর সবাই চুপ। আবার মবের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা আসেন, মব হয়। সব মব নিয়ে কথা বলা বা প্রতিবাদ করা যায় না, যেটি ‘আমাদের মব’ সেটি নিয়ে চুপচাপ থাকাই শ্রেয়, অন্যগুলো নিয়ে কথা বলা যায়। মব নিয়ে সবার অবস্থান যে খুব দৃঢ়, তা বলা যাবে না, কিছু মব–সন্ত্রাস নিয়ে অনেকের অবস্থান বেশ নড়বড়ে।

তারেক রহমানের বিবৃতির কথার রেশ না কাটতেই নূরুল হুদাকে মব করা হয়। জুলাইয়ের ৪ তারিখে ফরিদপুরে একজন শিল্পপতির বাড়িতে চড়াও হয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা–কর্মীরা। আওয়ামী লীগের গোপন মিটিং হচ্ছে—অজুহাত তুলে এই ‘মব–সন্ত্রাস’ ঘটানো হয়।

কুমিল্লার লালমাইয়ে ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় আহ্বায়কের নেতৃত্বে দল বেঁধে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কারণ, কয়েকজন ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক আবেদন করেও যোগ্য বিবেচিত হননি এবং পরিবেশক নিয়োগ পাননি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ‘বিএনপির মব–সন্ত্রাস’ সম্বন্ধে বলেছেন, ‘এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন কিসের? কী নির্বাচন হবে? এ জন্য আগে নির্বাচনের পরিবেশ অবশ্যই তৈরি করতে হবে।’ যখন বাউলসংগীতের আসর বা মাজার ভাঙা হয়, সে সময় জামায়াতের কোনো প্রতিবাদ শোনা যায়নি। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক—কুশল বরণ চক্রবর্তীর পদোন্নতির সাক্ষাৎকারের সময় মব করে ঘেরাও করেন ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। এখানেই পার্থক্য— কার মব ও কোন মব, কার কাছে গ্রহণীয়!

‘আমার মব’, ‘তোমার মব’ সব মবই খারাপ, এ মনোভাব নিয়ে রাজনীতিবিদদের মব সমস্যার সমাধান করতে হবে।

এসব মবের বিরুদ্ধে ৪ জুলাই ঢাকায় প্রতিবাদ সভা করে ‘সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন’ ও ‘মুক্তচিন্তা পরিষদ বাংলাদেশ’ নামের দুটি সংগঠন। বক্তারা বলেন, মব–সন্ত্রাস জাতীয় জীবনে নতুন আপদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এখন প্রধান কাজ মব–সন্ত্রাস বন্ধ করা। এটা বন্ধ করা না গেলে বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। মব–সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমে কথা বলতে এগিয়ে আসতে হলো দুটি অপরিচিত সংগঠনকে। অন্যরা সব কাগুজে বিবৃতি দিয়েই খালাস। এতে আশ্চর্য হওয়ার কি কিছু আছে?

এটা বলা অন্যায্য হবে না যে যাঁরা মব–সন্ত্রাস করেছেন বা করছেন, তাঁদের কাছে আমাদের সরকার খুব অসহায়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রায়ই বলেন, মব–সন্ত্রাস বিষয়ে সরকার অত্যন্ত কঠোর; কিন্তু একটি মনোবল ভেঙে পড়া পুলিশ বাহিনীকে দারুণ চাপের মধ্যে রাখা হয়েছে। তাদের নিয়ে সরকারের পক্ষে মব–সন্ত্রাসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই মব–সন্ত্রাসে যুক্ত ব্যক্তিরা সেলফি তুলে মব–সন্ত্রাস করছেন, তা আবার ফেসবুকে প্রকাশও করছেন।

নির্বাচন কমিশনারকে হেনস্তা করা নিয়ে একজনকে এক রাত থানায় নিয়ে ‘অতিথি’ করা হয়েছিল। পরের দিন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু যাঁদের পরিকল্পনায় নুরুল হুদাকে হেনস্থা করা হয়েছে, তাঁরা অধরাই রয়ে গেলেন।

মব–সন্ত্রাসে যুক্ত ব্যক্তিরা একটি মব করেন, তারপর কীভাবে যেন হাওয়া হয়ে যান। মব হয়ে যাওয়ার পর আমরা সবাই মব নিয়ে হইচই করি, প্রতিক্রিয়া জানাই, তারপর সবাই চুপ। আবার মবের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা আসেন, মব হয়। সব মব নিয়ে কথা বলা বা প্রতিবাদ করা যায় না, যেটি ‘আমাদের মব’ সেটি নিয়ে চুপচাপ থাকাই শ্রেয়, অন্যগুলো নিয়ে কথা বলা যায়। মব নিয়ে সবার অবস্থান যে খুব দৃঢ়, তা বলা যাবে না, কিছু মব–সন্ত্রাস নিয়ে অনেকের অবস্থান বেশ নড়বড়ে।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের সরকারপ্রধান। মব হামলা যখন আমাদের জাতীয় চরিত্রকে তুমুলভাবে কলঙ্কিত করছে, তখন অনেকেই আশা করছিল, তিনি উঁচুগলায় এ নিয়ে কিছু বলবেন। কিন্তু তেমন কিছু বলতে শোনা গেল না। কিছু কথা অধ্যাপক ইউনূস একবার বলে যতটুকু ইমপ্যাক্ট বা প্রভাব তৈরি করতে পারবেন, অন্যরা তা ১০০ বার বলেও পারবেন না।

আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে উঁচু গলায় বলতে হবে—একজন নাগরিকের কোনো অধিকার নেই আরেকজন নাগরিকের গায়ে হাত তোলার। কারণ যা–ই হোক না কেন, কারও কোনো অধিকার নেই সরকারি অফিসে তালা মারার। বাউল সংগীত আমাদের সংস্কৃতির অভেদ্য অংশ, কারও অধিকার নেই বাউলদের সংগীতচর্চায় বাধা দেওয়ার। প্রতিশোধের হিংসাত্মক চর্চা এবার বন্ধ করতে হবে। মবদের মধ্যে ভালো–খারাপ নেই, সব মবই খারাপ এবং শাস্তিযোগ্য।

সরকার কঠোর না হলে ভবিষ্যতে মব–সন্ত্রাসীরাই আমাদের দেশকে শাসন করবেন।

  • সালেহ উদ্দিন আহমদ শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

ই-মেইল: [email protected]