রাজনীতি ও শিক্ষা: ‘ফিরে দেখা’ বনাম ‘ফিরে যাওয়া’

স্বাধীন বাংলাদেশের বয়স ৫২ বছর পার হয়েছে; কিন্তু দেশের রাজনীতিকেরা এখনো নির্বাচনের প্রক্রিয়া ঠিক করতে পারেননি। দেশের শিক্ষাক্রমের পঞ্চম আবর্তন চলছে; কিন্তু এখনো শিক্ষাক্রম কী নীতি-পদ্ধতিতে হলে ভালো হয় তা নিয়ে দ্বন্দ্ব বাড়ছে বই কমছে না।

অর্থাৎ রাজনীতি ও শিক্ষা-উভয় ক্ষেত্রে প্যাঁচ লেগে গেছে। উভয় মাঠ গরম, রাজনীতির মাঠ বেশি গরম বলে সেটাই আগে বলি।

তবে প্রথমে ‘ফিরে দেখা’ ও ‘ফিরে যাওয়া’ নিয়ে একটু বলেনিই। বিজ্ঞানী নিউটন তিন শ বছরেরও আগে বলে গেছেন: ‘আমি যদি অন্যদের চেয়ে কিছু বেশি দূর দেখে থাকি তবে তার কারণ আমি পুরোনো জ্ঞানী লোকদের ঘাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে দেখছি।’

এই ঘাড়ের ওপর দাঁড়ানোর অর্থ হচ্ছে সভ্যতার শুরু থেকে অদ্যাবধি যত জ্ঞান জড় হয়েছে তাকে ভিত্তি ধরে সামনে এগিয়ে যাওয়া। গবেষণা করা এবং গবেষণাপত্র রচনায় এর নাম লিটারেচর রিভিউ।

আগের জ্ঞানের ভিত্তিতে নতুন জ্ঞান অর্জন করতে হয়; কিন্তু ইতিহাস বা বিজ্ঞান কোনোটাই ব্যাক গিয়ারে চলে না, চলে সামনের দিকে। প্রয়াত অধ্যাপক ড. আহমদ শরীফ লিখে গেছেন: পুরোনো মতো আর ফিরে আসে না; পুরোনো জিনিসের রিভাইভাল হয় না।

পুরোনো তথ্যের ভিত্তিতে পথের দিশা পাওয়া যেতে পারে; কিন্তু চলার পথ নতুন,নতুন চিন্তায়, নতুন পথে সামনে এগিয়ে  যেতে হয়।

আরও পড়ুন

রাজনীতি ও সংবিধানে ফিরে দেখা ও ফিরে যাওয়া

ইংরেজ আমলের পূর্ববাংলা অল্পদিনের জন্য পূর্ব পাকিস্তান হয়েছিল। তবে মূলত পূর্ববাংলাই স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ হয়েছে। পাকিস্তান আমলে প্রথম সংবিধান রচনা করতে লেগেছিল প্রায় সাত বছর।

অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে এক বছরেরও কম সময়ে সংবিধান রচিত হয়েছে। বাংলাদেশে এত অল্প সময়ে বড় কাজটি করতে পারার মূলে ছিল একাজে দেশের সবচেয়ে জ্ঞানী লোকদের নিয়ে ৩৪ সদস্যের কমিটি গঠন।

রাজনীতিকেরা প্রায়ই ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার কথা বলেন। বাস্তবে সেখানে ফিরে যাওয়া অসম্ভব; কারণ এর মধ্যে সংবিধান ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। এখন ১৯৭২ সালের সংবিধানের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য ফিরিয়ে আনতে হলেও আনতে হবে ১৮তম সংশোধনী।

আরও পড়ুন

সংশোধনীগুলোর অনেকগুলোই আনা হয়েছে দলীয়, এমনকি ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য। যেমন: পঞ্চদশ সংশোধনী হয়েছে আওয়ামী লীগের ইচ্ছা ও পরিকল্পনায় ; এর উদ্দেশ্য লীগের অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করা।

সংশোধনীর প্রধান অংশ ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায় যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল তা বাতিল করা।

স্বাধীন বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং জনগণ ভালোভাবেই বোঝেন যে ১৯৭৩ সাল থেকে অদ্যাবধি ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।

তাই ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদ সরকারকে হটিয়ে প্রধান তিন রাজনৈতিক জোট নির্বাচনকালীন নির্দলীয় একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা তৈরি করে। ১৯৯৬ সালের ২৮ মার্চ ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ব্যবস্থাটি সংবিধানে যুক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন

সমঝোতামূলক একটি (ফেব্রুয়ারি ১৯৯১) এবং সাংবিধানিক তিনটি (জুন ১৯৯৬, অক্টোবর ২০০১ এবং ডিসেম্বর ২০০৮) মোট চারটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচনের প্রত্যেকটি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।

এসব নির্বাচনে বিজিত দল নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুললেও ওই অসত্য দাবি অচিরেই স্তিমিত হয়ে বাতাসে মিলিয়ে গেছে।


নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সাংবিধানিক ত্রয়োদশ সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট দাখিল করা হয়। রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ বৈধতা দিলে আপিল বিভাগের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক আদালতের বন্ধুদের আটজনের মধ্যে ছয়জনের সুপরামর্শ অগ্রাহ্য করে ৪-৩ বিভক্ত রায়ের ফলে ২০১১ সালে একক সিদ্ধান্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে ১০ মে ২০১১ অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন।

ওই রায়ে অবশ্য সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হয়নি; বলা হয়েছিল ‘ভবিষ্যতের জন্য বাতিল’।

আরও বলা হয়েছিল “জনগণের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ আইন এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ আইনে সকল সনাতন তত্ত্বের ভিত্তিতে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচন পূর্বে উল্লেখিত ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীনে অনুষ্ঠিত হতে পারে”।

তবে “সংসদ ইচ্ছা করলে ‘এরই মধ্যে’ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের বিচারকদের বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে পারে” অংশটি প্রযোজ্য ছিল ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায় দশম ও একাদশ নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরের জন্য।

দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ ২০১০ সালে একটি সংসদীয় কমিটি গঠন করেছিলেন। ওই কমিটির সকল সদস্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার সুপরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তা বিবেচনায় না নিয়ে সরকার ২০১১ সালের ৩০ মে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত এবং এর ফলে সংবিধানের তাড়াহুড়ো (আদালতের পূর্ণ রায় প্রকাশের ১৫ মাস আগে) করে করা পঞ্চদশ সংশোধনী বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার মূল কারণ।

পরপর দুই মেয়াদে অনৈতিক ও অবৈধ আওয়ামী লীগ ‘সরকার’ এখনো জরুরি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে তার নিকট ‘ক্ষমতা’ হস্তান্তর করতে একবারেই রাজি নয়; বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে ‘মৃত’ বলে উল্লেখ করে বিরোধী জোটের আন্দোলন বন্ধ করে দেওয়ার, এমনকি তাদের ‘ষড়যন্ত্রকারী’ ও ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতেই না দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।

বিএনপি আহুত গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ভন্ডুল হওয়ার পর বিষয়টি আর হুমকির পর্যায়ে নেই; কারণ বিএনপির মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে প্রধান বিচারপতির বাসায় ও হাসপাতালে হামলা করার এবং গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানোর মতো ‘নাশকতার’ অভিযোগে মামলা দিয়ে জেলে আটক করা হচ্ছে। বিরোধী জোট কোনোভাবেই আর ভোগাস নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে আগেই বদ্ধপরিকর ছিল। এখন হরতাল, অবরোধ-ইত্যাদিতে জনজীবন নাকাল করে দিচ্ছে।

সরকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রায়ই বিরোধী দলগুলোর ওপর নির্বাচনকে ‘বিতর্কিত’ ও ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ করার অভিযোগ করে থাকে। বাস্তব সত্য হচ্ছে: ২০১৪ ও ২০১৮ সালে গায়ের জোরে অনুষ্ঠান করা দশম ও একাদশ সংসদের তথাকথিত ‘নির্বাচন’ অবিতর্কিত ও প্রশ্নাতীতভাবেই ত্রুটিপূর্ণ।

পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়া?

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম আবর্তনের শিক্ষাক্রম (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি) প্রস্তুত করা হয় ১৯৭৬-’৭৮ সালে; বাস্তবায়ন করা হয় পর্যায়ক্রমে ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮৬-’৮৭ সালে। এরপর শিক্ষাক্রমের আরও তিনটি আবর্তন বেশ যৌক্তিকভাবেই চলেছে।

পঞ্চম আবর্তনে এসে এবার থমকে দাঁড়িয়েছে। এর প্রধান কারণ পরিমার্জন প্রক্রিয়ার শুরু (২০১৯) থেকেই দৃশ্যমান ছিল; সেটি হচ্ছে-এবার শিক্ষাক্রম পরিমার্জন প্রক্রিয়া চলছে জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ মুরুব্বির পরামর্শ ছাড়া। আমি আমার লেখালেখিতে তা প্রকাশও করে আসছিলাম।

সম্প্রতি দু’টো ঘটনায় তা জাতীয়ভাবে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। একটি ঘটনা ঘটিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. অবদুর রাজ্জাক, অপরটি ঘটছে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাবিহীনতার শিকার ভুক্তভোগী অভিভাবকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে সামনে এগোতে শুরু করা থেকে।

সম্প্রতি কয়েকজন ‘শিক্ষাক্রম বিশারদ’ যে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন প্রক্রিয়া প্রবর্তনের কথা বলছেন  তা গত শতাব্দীর প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ ডেভিড কোব (১৯৮৪) তৈরি করেছিলেন বয়স্কশিক্ষা তথা প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য। অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন শিশু-কিশোরদের শিক্ষার জন্য তৈরি না হলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা নির্ভর এই পদ্ধতি মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ওপর হয়তো প্রয়োগ করা যেতো।

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক সংসদ এবং মাঠ উভয় স্থানের বক্তৃতায় ‘নতুন’ নামের শিক্ষাক্রমের পরিকল্পনা মতে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তে কিছু জ্যামিতিক চিত্রের সাহায্যে আজগুবি মূল্যায়ন পদ্ধতির যৌক্তিক সমালোচনা করেছেন। তিনি শিক্ষক ও অভিভাবকদের এ ব্যাপারে মুখ খোলার পরামর্শ দিয়েছেন।

অতি সম্প্রতি অভিভাবকগণ একটি ফোরাম গঠন করে এই শিক্ষাক্রম বাতিল করে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন এবং কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। শিক্ষকগণ চাকরিতে সমস্যা হতে পারে বলে এখনো প্রায় নীরব রয়েছেন। তবে “নির্ভয়ে কথা বলার সুযোগ হলে” তারাও এই শিক্ষাক্রমের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চান।

সম্প্রতি কয়েকজন ‘শিক্ষাক্রম বিশারদ’ যে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন প্রক্রিয়া প্রবর্তনের কথা বলছেন  তা গত শতাব্দীর প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ ডেভিড কোব (১৯৮৪) তৈরি করেছিলেন বয়স্কশিক্ষা তথা প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য। অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন শিশু-কিশোরদের শিক্ষার জন্য তৈরি না হলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা নির্ভর এই পদ্ধতি মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ওপর হয়তো প্রয়োগ করা যেতো।

কিন্তু কাল হয়েছে প্রধান তিনটি কারণে: (১) এটিকে জোর করে প্রাথমিক স্তরেও চালু করার চেষ্টা করায়; (২) ষাট বছরের বেশি কাল যাবৎ প্রচলিত নবম-দশম শ্রেণিতে শাখাভিত্তিক শিখন চলার পর তার পরিবর্তে শাখা উঠিয়ে দিয়ে সবাইকে জোর করে সবকিছুর এক চিমটি করে শিখিয়ে ‘হরফুন মওলা’ বানানোর তৃতীয় ব্যর্থ প্রচেষ্টায় (আগে একবার এমন চেষ্টা করা হয়েছিল গত শতাব্দীর আশির দশকে, আবার ২০০৪-’০৫ সালে); (৩) সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক, গাঁজাখুরি, বাস্তবায়নের সম্পূর্ণ অনুপযোগী মূল্যায়ন পদ্ধতি।

আন্দোলনরত অভিভাবকগণ প্রধান তিনটি দাবি তুলে ধরেছেন: (১) পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে হবে, (২) ব্যবহারিক কাজ ক্লাসেই সম্পন্ন করতে হবে, এর ব্যয়ভার স্কুলকেই বহন করতে হবে এবং (৩) নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের হাতে কোনো নম্বর/মূল্যায়ন থাকতে পারবে না।

আন্দোলনরত অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত জোরের সঙ্গে পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার দাবি করছেন। বাস্তবে এটি অসম্ভব। এবার শিক্ষাক্রম পরিমার্জন একটু আগে শুরু করা হয়েছিল; কিন্তু করোনার অভিঘাত এবং আনাড়ি (ষড়যন্ত্রমূলক!) ব্যবস্থাপনার ফলে সময়-ক্ষেপণ করায় এখন পরিমার্জনের সময় বয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু যেভাবে পরিমার্জন প্রক্রিয়া চলছে তা গ্রহণযোগ্য না হওয়ায়, পরিমার্জন কমিটিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে ২-৩ বছর পুরোনো শিক্ষাক্রম চালিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

ড. আবদুস সাত্তার মোল্লা শিক্ষাক্রম গবেষক এবং অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক (বিসিএস সাধারণ শিক্ষা)।