অভিমত
নগরের জলাবদ্ধতার দায় কার কতটুকু
ভারী বৃষ্টি হলেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন নগরে জলজট যেন আমাদের নিয়তি। ভুল পরিকল্পনার পাশাপাশি জলাধার-জলাশয় শেষ করে দেওয়া হয়েছে। কংক্রিটের শহর ও গাছের বিনাশও এ জন্য কম দায়ী নয়। পানিনিষ্কাশনের কিছু নালা থাকলেও সেগুলো আবর্জনায় ভরা।
দেশের বিভিন্ন শহর বিশেষ করে রাজধানীতে বারবার জলজটের জন্য কে দায়ী? নিজেকে বাঁচিয়ে যে যাকে পারছে দায়ী করছে। নালা ওয়াসার, খাল করপোরেশনের, রাস্তা কোথাও করপোরেশনের আবার কোথাও সড়ক বিভাগের। আগের হালকা জলজটের সময় একটি ফেসবুক পোস্ট অনেকের দৃষ্টি কেড়েছিল। চাকা লাগানো তক্তার ওপর বসে চলাফেরা করেন, এমন একজন প্রতিবন্ধী বৃষ্টিতে ভিজে নগরের একটি নালার মুখ থেকে প্লাস্টিকের কাপ আর পলিথিন সরিয়ে সড়কটিকে জলজটমুক্ত রাখার চেষ্টা করছিলেন।
বলা বাহুল্য, এসব বর্জ্য এসেছিল অতি সক্ষম মানুষের হাত ঘুরে। কারওয়ান বাজারের ফুটপাতের চায়ের দোকানে বসে চা খেতে খেতে উচ্ছন্নে যেতে বসা দেশটা নিয়ে আমাদের কচলাকচলি শেষে ‘ওয়ান টাইম’ (এককালীন) চায়ের কাপটা কোথায় ফেলি আমরা? যা কিছু ফেলি, সবই রাস্তায় পানিপ্রবাহের পথে এসে দাঁড়িয়ে যায়। শহরের বেশির ভাগ বাড়িওয়ালা, মসজিদ কমিটি, অফিস–ইমারত তাদের ছাদে জমা বৃষ্টির পানি নল দিয়ে রাস্তা ফেলে।
সর্বশেষ ২১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতটা ছিল রাজধানীতে মহাজলজটের রাত। বারোটা বাজানো সেই রাতে ঢাকায় কারও কারও বাসায় ফিরতে ২২ সেপ্টেম্বর হয়ে যায়। শুকনো ঘর অনেকে পাননি। গরম খাবার তো দূর অস্ত। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অনেক এলাকায় আঁধার নেমেছিল। এক সিএনজি অটোরিকশাচালকের পরিবারের একটা শিশু মাত্র বেঁচে আছে। শেষ হয়ে গেছে পুরো পরিবার। সব দেখে ঢাকায় পড়তে আসা এক বিদেশি শিক্ষার্থী ওই দিনটাকে বলেছেন ‘ব্ল্যাক থার্সডে’। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন এই মেডিকেল শিক্ষার্থী দেখেছেন তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসা মৃতদের মরদেহ। আহতদের আর্তনাদ।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, সেদিন রাতে ঢাকায় ৬ ঘণ্টায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। তাতেই ডুবে যায় ঢাকা, বন্ধ হয়ে যায় গাড়ির চাকা।
‘বেশি বৃষ্টি হলে ডুববেই’
এত বৃষ্টি হলে রাস্তাঘাট তলাবেই। এটিই এখন মোক্ষম অজুহাত। যাঁরা বৃষ্টির খবর রাখেন, তাঁরা বলছেন, ঢাকার আদত হয়ে গেছে জলজটের। বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় জমে যাচ্ছে পানি। পানিতে যেখানে–সেখানে আটকে যাচ্ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল। এমনকি পানি বেশি হলে আটকে যাচ্ছে প্রাইভেট কারও। ২১ সেপ্টেম্বরের তুলনায় অনেক কম বৃষ্টিতেও প্রায় দুই মাস আগে একই ঘটনা ঘটেছিল। ঈদের ছুটি কাটিয়ে যেদিন ঢাকায় ফিরছিল মানুষ, সেদিন ঢাকা তলিয়ে যায় মাত্র ৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে। গত ১ জুলাইয়ের সেই বৃষ্টিতে অনেক বাসাবাড়ির নিচতলা ডুবে যায়। সেই জলজটে সবচেয়ে বেশি নাকাল হয়েছিল মিরপুরবাসী। শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর-১, মিরপুর–১০ গোলচত্বর এমনকি মহল্লার অলিগলি পানির নিচে চলে যায়। গাড়ি নষ্ট হয়ে রাস্তায় ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।
২০২১ সালের ১ জুন সকালে বৃষ্টি শুরু হলে ঢাকা অচল হয়ে যায়। বৃষ্টির শুরুতেই এমন অচল অবস্থা আগে কখনো দেখা যায়নি। আগের দিন সোমবার ৩১ মে ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছিল মাত্র ২১ মিলিমিটার। পরদিন দাপুটে বৃষ্টি নামলে নিমেষে অনেক জায়গা হাঁটুসমান কিংবা তারও বেশি পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। বিশেষ করে মিরপুর, ধানমন্ডি, রাজারবাগসহ অনেক এলাকা যান চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। বনানীতে ঢোকার মুখে ও নৌবাহিনীর সদর দপ্তরের সামনের সড়কও পানিতে তলিয়ে যায়। সেদিন সাভার ইপিজেড এলাকার মূল সড়ক কয়েক কিলোমিটার এলাকা ডুবে ছিল। মোদ্দাকথা, বৃষ্টির পরিমাণ ২১, ৮২ বা ১১৩ মিলিমিটার যা–ই হোক—সরার জায়গা না থাকলে জট পাকাবে পানি।
নগর–পরিকল্পনাবিদ ও বাংলাদেশে প্ল্যানার্স ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক আদিল মুহাম্মদ খান ২০২১ সালে বলেছিলেন, ‘ঢাকার যা অবস্থা, তাতে শুধু যে অতিবৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা হবে—এ ধারণাটাই বরং ভুল। ভুল পরিকল্পনার পাশাপাশি জলাধার–জলাশয় সব শেষ করে দেওয়া হয়েছে। এখন যতই প্রাতিষ্ঠানিক কাজ চলুক না কেন, হঠাৎ বৃষ্টি হলে তা সামাল দেওয়া বর্তমান পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থার পক্ষে অসম্ভব।’
গত শতকে (১৯৮৮) স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পর রাজধানীকে বন্যার হাত থেকে রক্ষায় ঢাকার পশ্চিমাঞ্চল শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। রাজধানীর ভেতরের পানি নিকাশের জন্য তৈরি করা হয় দুটি পাম্পস্টেশন। একটি গোড়ান চটবাড়ী, অন্যটি কল্যাণপুরে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, দুটি পাম্পস্টেশনে পৌঁছানোর দায়িত্ব পানির ওপরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হয়তো ভেবে নেওয়া হয়েছিল, নদী যদি নিজের পথ খুঁজে সাগরে পৌঁছাতে পারে তাহলে রাজধানীর পানি কেন পারবে না। পাম্পস্টেশনে পানির সংযোগ করার বিষয়টি নিয়ে এখন আর কেউ ভাবেও না। এখানেই শেষ নয়, পাম্পস্টেশনের চৌহদ্দিতে পানি সাময়িক জমা হওয়ার জন্য দুটি জলাধার করা হয়েছিল, তা–ও ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। ফলে বৃষ্টির পানিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমনকি দিনভর শহরের ভেতরেই ‘বিশ্রাম’ নিতে হচ্ছে। পানির আর দোষ কী?
জলজট কি শুধু ঢাকায়
দেশের অন্যান্য শহরের জলজটের কথা কেন গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হচ্ছে না, সেখানে কি জলাবদ্ধতা নেই? এ প্রশ্নের জবাবে একজন সাংবাদিক বন্ধু জানালেন, ‘আমরা ঢাকাই থাকি, তাই ঢাকা নিয়েই আচ্ছন্ন থাকি।’ আসলে রাজধানীর ভোগান্তির চালচিত্র সহজলভ্য। আবার এটাও সত্যি, ঢাকায় তো এখন সব।
বৃষ্টিতে যে শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগর ডুবছে, তা নয়, জলজট এখন জেলা শহরগুলোরও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলা শহরে পরিকল্পনার কতটা অভাব, সেটি বর্ষা আসলেই চোখে পড়ে। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই অনেক জেলা শহরে হাঁটু বা কোমরসমান পানি জমে যাচ্ছে। কেউ কেউ এটাকে ‘পার্ট অব দ্য গেম’ বা উন্নয়ন উন্নয়ন খেলার স্বাভাবিকপ্রাপ্তি বলছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এক দশক ধরে নগরায়ণের যে ধারা চলছে, সেখানে জেলা শহরগুলোর প্রতি কোনো মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে দিনে দিনে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
মফস্সলের শহর নোয়াখালীর বসুরহাট হোক আর পর্যটন শহর কক্সবাজার কিংবা পাহাড়ি শহর বান্দরবান অথবা ব্রিটিশদের হাতে গড়া সমতলের শহর যশোর—জলজট কাউকেই ছাড়ছে না। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর কাছাকাছি থাকার সুবাদে সেখানকার অধিবাসীদের চেষ্টায় অবকাঠামো উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধার বিচারে বসুরহাটকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেই বসুরহাটে বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন এলাকায় মানুষের বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে। রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে যায়। সড়ক যোগাযোগ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।
যশোরে বৃষ্টি হলেই বাসিন্দারা আতঙ্কে থাকেন। নাগরিকদের জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে স্বস্তি দিতে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে যশোর পৌরসভা। কিন্তু কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না। একটু ভারী বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, বিপণিবিতান ও অলিগলি। ভারী বৃষ্টি হলেই শহরের খড়কি, পিটিআই, নাজির শংকরপুর, খড়কি রূপকথা মোড় থেকে রেললাইন, বেজপাড়া চিরুনিকলসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে জলজট নিত্যদৃশ্য।
যশোর শহরের ভেতর দিয়ে ভৈরব ও মুক্তেশ্বরী নামে দুটি নদ-নদী প্রবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে ভৈরব নদ দিয়ে শহরের উত্তরাংশ ও মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে শহরের দক্ষিণাংশের পানি নিষ্কাশিত হয়। কিন্তু গত দেড় দশক শহরের দক্ষিণাংশের পানি মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে নামছে না। পয়োনিষ্কাশন নালা দিয়ে শহরের পানি হরিণার বিল হয়ে মুক্তেশ্বরী নদীতে যেত। কিন্তু ২০১০ সালে হরিণার বিলে যশোর মেডিকেল কলেজ হয়। এরপর আশপাশে আরও অনেক স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এতে বিল দিয়ে পানি আগের মতো নিষ্কাশিত হতে পারছে না।
একই অবস্থা কুষ্টিয়া শহরের। শহরের মাথা থেকে পা পর্যন্ত বিস্তৃত পদ্মার শাখা গড়াই নদে পানি নেই। কিন্তু শহরের সবচেয়ে উঁচু সড়ক হাই রোড (সিরাজউদ্দৌলা সড়ক) ডুবে যাচ্ছে বৃষ্টির পানিতে। একাত্তরের শহর ডোবা বন্যা কিংবা ১৯৮৮ সালের দেশ তলানো বন্যায়ও হাই রোড ডোবেনি।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সাজানো–গোছানো শহর হিসাবে রাজশাহীর বেশ নামডাক আছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বরের বৃষ্টিতে সেই শহর তলিয়ে গেল। সেদিন সকালে ৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। বিকেলে নামে অঝোরে বৃষ্টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছিল ৪৫ দশমিক ২ মিলিমিটার। চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে একদিনে এটিই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। মুহূর্তেই নগরীর সাহেব বাজার, বর্ণালি মোড়, লক্ষ্মীপুর, উপশহর, ছোট বনগ্রাম, দড়িখড়বোনা, রেলগেট এলাকার সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। বলতে গেলে নগরের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই গভীর রাত পর্যন্ত জলজট ছিল। পাশে বহমান পদ্মায় পানি কম। কিন্তু ক্ষণিকের বৃষ্টিতে রাজশাহী নগরের হাবুডুবু অবস্থা।
কেন পানি আটকাচ্ছে
পানিনিষ্কাশনের দায়িত্বে থাকা কর্তারা মনে করছেন, বর্ষার পানি তাঁরা নালা দিয়ে নিয়ে যাবেন। এটা একটা অসম্ভব কল্পনা। বিজ্ঞান বলে, বৃষ্টির পানির ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ গাছ আর মাটি নিয়ে নিতে পারে। কিছুটা বাষ্পীভবনের মাধ্যমে মেঘ হয়ে যায়। ওয়াসা বা জলনিকাশিদের ভাগে থাকার কথা মাত্র ১০ শতাংশ পানি। এটাকেই হাইড্রোলজির ভাষায় বলে ‘রানঅফ ওয়াটার’ বা ভূ–উপরিস্থ বৃষ্টির পানি। এই পানি মাটি ভিজিয়ে গড়াতে গড়াতে পাশের নালা-খাল বা নদীতে গিয়ে পড়ে। এই ভূ-উপরিস্থ পানি দ্রুত সরে যেতে যে ধরনের নিষ্কাশনব্যবস্থা বা খাল-নালা থাকার কথা, তার ধারেকাছেও আমাদের নেই। যা আছে তা–ও ময়লা-আবর্জনায় পূর্ণ হয়ে বন্ধ থাকে। ফলে জলাবদ্ধতা এখানে অবশ্যম্ভাবী।
যশোরের বৃষ্টির পানি পাশের ভৈরব বা মুক্তেশ্বরী নদী পৌঁছাতে পারছে না। কুষ্টিয়া শহরের পানি যেমন পারছে না গড়াই নদে যেতে আর রাজশাহীর বৃষ্টির পানি পদ্মার পথ খুঁজে পাচ্ছে না। তা ছাড়া গাছপালা বিনাশ আর মাটির ওপর কংক্রিট থাকায় ৫০ থকে ৬০ শতাংশ বৃষ্টির পানিও নালা আর খালের অপেক্ষায় থাকছে। দেরি হচ্ছে পথ খুঁজে নামতে।
সমাধানের পথ কী
আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হলে জলজট ছিল একই কথার এপিঠ–ওপিঠ। সেদিন এখন আর নেই। হল কর্তৃপক্ষ আক্কেল খাটিয়ে সমাধানের সূত্র বের করেছে। তারা বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
চীনের সঙ্গে আমাদের দহরম-মহরমের অন্ত নেই। তাদের কাছে থেকে আমরা ‘স্পঞ্জ সিটি’র ধারণাটা নিতে পারি। সেখানে ফুটপাত, এমনকি রাস্তা এমন নির্মাণসামগ্রী দিয়ে তৈরি হচ্ছে, যার ভেতর দিয়ে বৃষ্টির পানি মাটি শুষে নিতে পারে। আমরা তার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি বাড়িতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য আধার নির্মাণ বাধ্যতামূলক করতে পারি।
জাপানের খেলার মাঠগুলো আসলে একেকটা পুকুরের মতো। আদতে খেলার মাঠের নিচের ২০-৩০ ফুট মাটি প্রথমে সরিয়ে নেওয়া হয়। তারপর মাটির বদলে পাথর-নুড়ি আর বালু দিয়ে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে এমনভাবে স্তরবিন্যাস করা হয় যে আগের তুলনায় মাঠের নিচে এখন প্রায় ১০ গুণ বেশি পানি শোষণ বা ধারণ করা সম্ভব।
এ অবস্থায় আমাদের যা করা দরকার—
১. পানিপ্রবাহের পথ নিরবচ্ছিন্ন ও নির্বিঘ্ন রাখা
২. বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নতি করা
৩. উন্মুক্ত পদ্ধতিতে খালের ব্যবহার
৪. জলাধার তৈরি করা
৫. বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা
৬. পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ও আইনের প্রয়োগ
● গওহার নঈম ওয়ারা লেখক ও গবেষক
ই–মেইল: [email protected]