‘বাবা-মা বানায় ভূত, মাস্টার বানায় পুত’—এই আঞ্চলিক প্রবচন বাংলাদেশের অনেক মানুষ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। শিক্ষক জাতি গড়ার মৌলিক ও প্রধান ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশের অনেক হাই স্কুলে দেখা যায়, সেখানে নির্ধারিত শিক্ষক ছাড়াও বেশ কিছু শিক্ষক রয়েছেন, যাঁরা খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করে থাকেন। তাঁদের স্কুল তহবিল থেকে বেতন দেওয়া হয়।
কিন্তু বেশির ভাগ স্কুলেই দেখা যায়, স্কুল কর্তৃপক্ষ যেসব খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে, তাঁদের বেশির ভাগ শিক্ষকই ছাত্রছাত্রী। এই শিক্ষকদের বয়সও তুলনামূলকভাবে অনেক কম, যে কারণে তাঁদের পক্ষে ক্লাস নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে, বিশেষ করে নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের। এতে যেমন ওই সব স্কুলের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তেমনি কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরাও বঞ্চিত হচ্ছে।
অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের নিয়োগ দেওয়া যেতেই পারে, কিন্তু সে ক্ষেত্রে মান নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জ্ঞানী ব্যক্তিদেরও অতিথি শিক্ষক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে। উচ্চশিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত প্রবাসী ব্যক্তিরা দেশে এলে তাঁদেরও আমন্ত্রণ জানানো যায়। এতে শিক্ষার্থীরা বাইরের জগৎ সম্পর্কে জানতে পারবে। তাদের মধ্যে বিশ্ব নাগরিক হওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়বে।
মো. সোলায়মান, গাজীপুর।