আমাদের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক উভয় মাধ্যমই নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বর্তমানে লক্ষণীয় ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত হোক, গণমাধ্যমে নারীবিষয়ক সংবাদ কখনো এমনভাবে তুলে ধরে, যা অনেক ক্ষেত্রেই নারীর জন্য অসম্মানজনক হয়ে ওঠে।
আরও দেখা যায়, নারীর প্রতি সহিংসতার খবরগুলো গণমাধ্যম যথাসম্ভব চাঞ্চল্যকরভাবে প্রকাশ করে। সহিংসতার শিকার মানুষটির পোশাক, স্বভাব-চরিত্র ইত্যাদি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়, যা প্রচলিত ধারণাগুলো উসকে দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত নারীটির ঘটনা যখন গণমাধ্যমে আসে, তখন অপরাধের বীভৎসতা সাধারণ মানুষকে হতবাক করে দিলেও পরক্ষণে তাদের দৃষ্টি অন্যদিকে চলে যায়।
গণমাধ্যমের অন্যতম মাধ্যম সিনেমা, নাটক ও বিজ্ঞাপনে কখনো নারীকে শক্তি রূপে উপস্থাপন করা হয় না, কখনো যদি তা করাও হয়, তাহলে দেখা যায় তার ভিত্তি হচ্ছে নারীর সৌন্দর্য; মেধা, বুদ্ধি ও মনন নয়। এটা নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরিতে সহায়ক নয়।
সিনেমায় ধর্ষণ কিংবা ভিলেনের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার দৃশ্য আমাদের তরুণদের নয়, সব বয়সের পুরুষদের প্রভাবিত করছে। তারা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, জোর প্রদর্শন পুরুষত্ব প্রকাশের অংশ। এই বিকৃতির উদাহরণ হচ্ছে, ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ
ও তা ছড়িয়ে দেওয়া। গণমাধ্যম মানুষের রুচি নির্মাণ করে, তাই এর ভূমিকা অপরিসীম। সংশ্লিষ্ট মানুষেরা এটা ভেবে দেখবেন আশা করি।
নাদিয়া বিনতে কবির
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।