ঘুরে আসুন বড়লেখা

হাওর-বাঁওড় আর চায়ের দেশ মৌলভীবাজার, এই জেলার একটি অনিন্দ্যসুন্দর উপজেলা বড়লেখা। পাহাড়ের বুকে সবুজ চা-বাগানের চাদর, হাওরের বিস্তীর্ণ জলরাশি, বৃষ্টিস্নাত ঘন বন ও নির্মল ঝরনার পানি বড়লেখার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। এখানে এলে আপনি দেখতে পাবেন সমুদ্রের মতো জলরাশিকে বুকে নিয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে হাকালুকি হাওর। শরতের দিনগুলোতে হাওরের সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়ে যায়। বাতাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জলরাশির ক্রমাগত দোল খাওয়া দেখার মতো, এ যেন শুধু হাকালুকিতেই দেখা সম্ভব। বর্ষাকালের বিপুল জলরাশির কারণে একে সাগর মনে করে ভুল করাটা অস্বাভাবিক নয়। বিস্তৃত জলরাশির মাঝে মাঝে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে দু-একটি হিজল ও তমালগাছ।

বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলীতে অবস্থিত বাংলাদেশের বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত। জলপ্রপাতটিকে ঘিরে সরকারি উদ্যোগে এখানে ‘মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক’ গড়ে তোলা হয়েছে।

আমরা কমবেশি অনেকেই মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের সঙ্গে পরিচিত, কিন্তু অনেকেই জানি না মাধবকুণ্ডের খুব কাছেই লুকিয়ে আছে প্রকৃতির আরেক বিস্ময় ‘পরিকুণ্ড জলপ্রপাত’। সবুজে আবৃত ও পাথারিয়া পাহাড় দিয়ে ঘেরা এ জলপ্রপাতটি মাধবকুণ্ড থেকে মাত্র ১০–১৫ মিনিটের হাঁটার দূরত্বে অবস্থিত। শুধু মাধবকুণ্ড থেকে পূর্ব দিকে ১০ মিনিটের মতো হাঁটলেই পেয়ে যাবেন এই ঝরনাটি। মাধবকুণ্ড যাওয়ার রাস্তা খুবই সহজ। বড়লেখা শহর থেকে সিএনজিচালিত অটো নিয়ে ৩০০ টাকা ভাড়াতেই মাধবকুণ্ড চলে যেতে পারেন। সেখানে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের রেস্টহাউস ও রেস্তোরাঁও রয়েছে।

পর্যটন স্থান ছাড়াও বড়লেখায় দেখার মতো আরও স্থান আছে। সময় নিয়ে গেলে সেগুলোও দেখে আসতে পারেন।

 আরিফ আহমদ, সিলেট।