১ নভেম্বর, ২০১৪ প্রথম আলোর চিঠিপত্র কলামে পে-কমিশন শিরোনামে একটি চিঠি প্রকাশিত হয়। এতে পেনশনভোগী এবং গ্র্যাচুইটি ও পিএফভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসর-উত্তর পাওনার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় পেনশনভুক্ত চাকরিজীবীদের অবসরকালীন আনুতোষিক বৃদ্ধি করেছে।
কিন্তু ওই প্রজ্ঞাপন এবং পে-কমিশন ২০১৪-এর সাম্প্রতিক সুপারিশমালায় গ্র্যাচুইটি-পিএফভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি বৃদ্ধির ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। ফলে সরকারের বিভিন্ন সেক্টর, করপোরেশন এবং স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় কর্মরত নন–পেনশনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সীমাহীন হতাশা বিরাজ করছে।
বর্তমান নিয়মে গ্র্যাচুইটিভুক্ত চাকরিজীবীরা প্রতিবছর চাকরির জন্য দুই মাসের মূল বেতন ও পিএফ হিসেবে জমাকৃত অর্থ পাবেন।
এতে দেখা যায়, একই সময়ে চাকরিতে যোগদান করে অবসরের সময় একজন নন–পেনশনভুক্ত চাকরিজীবী পেনশনভুক্ত চাকরিজীবীর চেয়ে গ্রেডভেদে প্রায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত কম পাবেন। একসঙ্গে চাকরিতে যোগদান করে সহকর্মীর চেয়ে এত কম টাকা পাওয়া খুবই মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক।
ফলে মানবিক দিক বিবেচনা করে গ্র্যাচুইটির পরিমাণ প্রতিবছর চাকরির জন্য তিন মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ নির্ধারণ করা হোক। পেনশনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো নন–পেনশনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও অবসরকালীন চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব বোনাস প্রদানের অনুরোধ করছি।
এম এইচ সরকার, বগুড়া।