সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্থায়ী পে কমিশন গঠন করায় বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানাই। সর্বশেষ পে স্কেল হয়েছিল ২০০৯ সালে।
বর্তমানে ২০০৯ সালের পে স্কেল দিয়ে জীবন ধারণ করা অত্যন্ত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা, বস্ত্র, যোগাযোগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়েছে প্রায় কয়েক গুণ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রতি সাক্ষাতে দিতে হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন টেস্ট করাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। ওষুধের দাম বেড়েছে লাগামহীন। যেসব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী ভাড়াবাড়িতে থাকেন, তাঁদের কাছে বর্ধিত বাড়িভাড়া আতঙ্কের বিষয়। এ ছাড়া ছেলেমেয়েদের শিক্ষার ব্যয়ও বেড়েছে। বেতন, ফি, সেশন চার্জ, উন্নয়ন তহবিল, পরীক্ষার ফরম ফি ইত্যাদি প্রতিবছরই বাড়ে।
অথচ সরকারি চাকরিজীবীরা তাঁদের একটি সন্তানের জন্য শিক্ষাভাতা পান ২০০ টাকা এবং দুটি সন্তান হলে পান ৩০০ টাকা, যা নিতান্তই অপ্রতুল। শিক্ষাভাতা অন্তত এক হাজার টাকা করা উচিত। জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। এ কারণে যোগাযোগ ব্যয় আগের তুলনায় বেড়েছে। সরকারি কর্মচারীরা যাতায়াত ভাতা পেয়ে থাকলেও সরকারি কর্মকর্তাদের এখনো এই ভাতা দেওয়া হয় না। সবার জন্যই একটি যৌক্তিক যাতায়াত ভাতার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
পে স্কেল ঘোষণা দেওয়ার পর যাতে বাজারদর, যাতায়াত, চিকিৎসা, বস্ত্র ও শিক্ষার ব্যয় লাগামহীনভাবে না বাড়ে, সে ব্যাপারে সরকারকে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে। আশা করছি, আগামী অর্থবছরের জুলাই মাস থেকে এটি কার্যকর হবে।
মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকা।