শিক্ষায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা

শিক্ষায় সরকার অনেক কিছু করছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে গত এক যুগে ছয়বার পাঠ্যবই পরিবর্তন (গত পাঁচ বছরেই পাঁচবার), প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীসহ চারবার পরীক্ষাপদ্ধতি পরিবর্তন, একাদশে ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি একবার, খাতা মূল্যায়নের পদ্ধতি ও ফলাফলের নিয়মে পরিবর্তন আনা এবং শিক্ষার্থী মূল্যায়নের পদ্ধতি বদলানো হয়েছে তিনবার। অন্যদিকে কিছু পদ্ধতি চালুর পর সমালোচনার মুখে নতুন পদ্ধতি চালু বা আগের পদ্ধতিতে ফিরে আসতে হয়েছে।

ঘন ঘন পাঠ্যবই ও পদ্ধতি পরিবর্তন করায় শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা খাপ খাওয়াতে পারছে না। ফলে কোনো শিক্ষাব্যবস্থা স্থায়ী হচ্ছে না। বিষয় থাকলেও শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীর মনে পরীক্ষাভীতি সৃষ্টি হচ্ছে। কিছু পদ্ধতি বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ, বিভিন্ন কর্মশালাসহ বিভিন্ন খাতে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্যে পৌঁছাতে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সরকারকে। ২০০২, ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১০ সালে যেসব বই পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করা হয়েছিল, সেসব বইয়ের মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির ১২টি পাঠ্যবই সহজীকরণের নামে আগামী শিক্ষাবর্ষে ফের পরিবর্তনের জন্য পরিপত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তা ছাড়া,  শিক্ষামন্ত্রী গত বছরের ২৭ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে পাবলিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (প্রমিতকরণ) নামে নতুন পদ্ধতির কথাও বলেছিলেন। তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে সেই কথা মনে করিয়ে দিই, ‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।’

মো. মোশারফ হোসেন, শেরপুর।