বাংলাদেশে সরকারি চাকরির জন্য যাঁরা আবেদন করেন, তাঁদের বয়স চাওয়া হয় ৩০ বছর। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। কিছু পরীক্ষা ছাড়া বেশির ভাগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রার্থীদের ছুটে যেতে হয় সেখানে। যাতায়াতে ভাড়া বাবদ খরচও নিতান্ত কম নয়। পঞ্চগড় বা কক্সবাজার থেকে যাঁরা পরীক্ষা দিতে আসেন, তাঁদের ক্লান্তি, ভোগান্তি ও আনুষঙ্গিক খরচ তো আছেই, কিন্তু যাঁরা ঢাকা বা আশপাশের জেলা থেকে পরীক্ষা দিতে আসেন, তাঁদের তুলনামূলক ভোগান্তি এবং যাতায়াত খরচ কম।
সরকারি চাকরির আবেদনে ফি-ও আগের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। আগে নবম গ্রেডের চাকরির আবেদনে যেখানে ফি ছিল ৫০০ টাকার মতো, বর্তমানে তা বাড়িয়ে ৭০০ বা তারও বেশি করা হয়েছে। একজন প্রার্থীর অনার্স ও মাস্টার্স শেষ হয় ২৩ থেকে ২৫ বছরে। মাত্র পাঁচ থেকে সাত বছরে এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিতে একজন প্রার্থীকে ঢাকা যাতায়াত করতে হয় অসংখ্যবার। এটা অনেক খরচের ব্যাপার, যা একজন বেকারের পক্ষে সামলানো অসম্ভব।
সরকার ইচ্ছা করলে ইতিবাচক যেকোনো কিছু করতে পারে। সুন্দর ও সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো জেলা বা বিভাগীয় শহরে স্থানান্তরিত করতে পারে। ইচ্ছা করলে একটা না একটা উপায় বের হবেই। অনেকবার অনেকে এ ব্যাপারে লেখালেখি করলেও কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের প্রতি অবহেলা করা হয়। দয়া করে অবহেলা বন্ধ করুন এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিয়ে তাঁদের প্রতি সদয় হোন।
মো. রবিউল ইসলাম
হরিপুর, ঠাকুরগাঁও